ETV Bharat / state

21-র আগে দলকে চাঙ্গা করতে মমতার একুশে ভার্চুয়াল - TMC's annual July 21 rally

কোরোনা আবহে ধর্মতলায় সমাবেশ হচ্ছে না । শহিদ স্মরণে ভার্চুয়ালি বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।

মমতা
মমতা
author img

By

Published : Jul 3, 2020, 6:42 PM IST

Updated : Jul 4, 2020, 5:39 AM IST

কলকাতা, 3 জুলাই : 21 শে ফাঁকা ধর্মতলা ।

মঞ্চ থাকবে । বেদী থাকবে । থাকবে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণও ।

কিন্তু, থাকবে না জনসমুদ্র । যাবে না ছোঁয়া প্রিয় নেত্রীকে । সরাসরি পাওয়া যাবে না তাঁর আশীর্বাদ । ময়দানে সকাল থেকে পড়বে না বাসের লাইন । দেখা যাবে না রাত থেকে রাস্তার ধারে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় । মিছিল করে দূর গাঁ থেকে আসার ছবিও দেখা যাবে না । হবে না রাস্তার ধারে রান্নাও ।

আসলে সভা হবে ভার্চুয়াল । ফাঁকাই থাকবে শহিদ মঞ্চের পাদদেশ ।

21 শে জুলাই । চার-পাঁচদিন আগে থেকেই শুরু হয় ধর্মতলায় প্রস্তুতি । ঠুকঠাক, খটখাট আওয়াজে ঘুম ভাঙে এলাকার । এই ক'দিন প্রায় রোজই চলে মঞ্চ সাজানোর কাজ। ঢেলে সাজানো হয় 21 শে-র সভাকে । শুধু ধর্মতলা কেন । মঞ্চ হয় আরও অনেক । দলীয়কর্মী-সমর্থকদের কথা ভেবে, তাদের সাহায্য করার কথা ভেবে ।

শুধু মঞ্চের বাহ্যিক কাজ নয় । মঞ্চও থাকে কার্যত তারকা খচিত । সাংসদ, বিধায়ক ছাড়াও 21শে-র মঞ্চে হাজির হন টলিউডের অনেকেই । দেখা যায় গায়ক, চিত্রশিল্পীথেকে সাংবাদিক অনেককেই । মধ্যমণি অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর চারিদিকে শুধু কালো মাথা । গিজগিজ করছে কর্মী সমর্থক । স্তব্ধ হয়ে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা। থমকে যায় মধ্য কলকাতা ।

কিন্তু এবার সেই চিত্র দেখা যাবে না । বাস ঘুরবে না অন্য পথে । মেট্রোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করতে হবে না । ভাটা পড়বে না নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতে । 21 শে জুলাই দূর থেকেই কর্মীদের বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । 30 বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িথেকে ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য পেশ করবেন নেত্রী । ধর্মতলায় শহিদ স্মরণে শুধুমাত্র তৈরি হবে শহিদ বেদী ।

একসময় 21শের মঞ্চে সক্রিয় থাকতে দেখা যেত তৎকালীন তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের কিন্তু আজ তাঁরা গেরুয়া শিবিরে । ভার্চুয়াল জনসভা করছেন মুকুল রায় । ভোকাল টনিক দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরকে । ঘুঁটি সাজাচ্ছেন 21-র বিধানসভার । কোরোনা আবহে শহিদ দিবসে এবার ধর্মতলায় হচ্ছে না সমাবেশ । তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কীভাবে এই বিশেষ দিন পালন করা হবে তা জানানো হয়নি । তবে জানা যায় সমাবেশ না হলেও কীভাবে বিশেষ এই দিনটিকে পালন করা যায় তা নিয়ে উদ্যোগী ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব । অনেকেই মনে করেছেন মুকুল রায়রা BJP থেকে যেভাবে ভার্চুয়াল জনসভা করছে সে পথেই এগোবে রাজ্যের শাসক দল । তবে, সে বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছিল তারা । আজ দলের বিধায়ক, সাংসদ ও নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরই ঠিক হয় ভার্চুয়াল সমাবেশ হবে ।

এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য পেশ করবেন দলের প্রথম সারির নেতারা । 30 বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি থেকেই ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো । ধর্মতলা চত্বরে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা । ব্লকে ব্লকেও বসানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিন । সেখানেই শোনা যাবে নেত্রীর ভাষণ । জেলাগুলি থেকে আসবে না কোনও বাস । হবে না কোনও জমায়েত । এমনকী কোরোনা নির্দেশিকা মেনে ব্লকগুলিতেও একসঙ্গে মাত্র 25 জনই জমায়েত করতে পারবেন ।

21 শের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক যেন এক সুতোয় বাঁধা । 1993-এ যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে 13 জনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই এই দিনটি নানা রাজনৈতিক উত্থান পতনের সাক্ষী । এই জনসভার ভিড়ই বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অগ্রগতি । সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা দেখে একটু হলেও আঁচ করা যেত 21-এর পর রাজ্যের ক্ষমতা যাচ্ছে কার হাতে। এবার 21-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ 21 শে জুলাই ছিল ।

দলের একাধিক রণকৌশল সামনে আসতে পারত । ভিড় বলে দিত কে আসছে গদিতে । গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শেষ সুযোগ ছিল এটাই। কিন্তু কোরোনার প্রভাবে ভাটা পড়ল সেই জনসমুদ্রে।

কলকাতা, 3 জুলাই : 21 শে ফাঁকা ধর্মতলা ।

মঞ্চ থাকবে । বেদী থাকবে । থাকবে তৃণমূল নেত্রীর ভাষণও ।

কিন্তু, থাকবে না জনসমুদ্র । যাবে না ছোঁয়া প্রিয় নেত্রীকে । সরাসরি পাওয়া যাবে না তাঁর আশীর্বাদ । ময়দানে সকাল থেকে পড়বে না বাসের লাইন । দেখা যাবে না রাত থেকে রাস্তার ধারে কর্মী-সমর্থকদের ভিড় । মিছিল করে দূর গাঁ থেকে আসার ছবিও দেখা যাবে না । হবে না রাস্তার ধারে রান্নাও ।

আসলে সভা হবে ভার্চুয়াল । ফাঁকাই থাকবে শহিদ মঞ্চের পাদদেশ ।

21 শে জুলাই । চার-পাঁচদিন আগে থেকেই শুরু হয় ধর্মতলায় প্রস্তুতি । ঠুকঠাক, খটখাট আওয়াজে ঘুম ভাঙে এলাকার । এই ক'দিন প্রায় রোজই চলে মঞ্চ সাজানোর কাজ। ঢেলে সাজানো হয় 21 শে-র সভাকে । শুধু ধর্মতলা কেন । মঞ্চ হয় আরও অনেক । দলীয়কর্মী-সমর্থকদের কথা ভেবে, তাদের সাহায্য করার কথা ভেবে ।

শুধু মঞ্চের বাহ্যিক কাজ নয় । মঞ্চও থাকে কার্যত তারকা খচিত । সাংসদ, বিধায়ক ছাড়াও 21শে-র মঞ্চে হাজির হন টলিউডের অনেকেই । দেখা যায় গায়ক, চিত্রশিল্পীথেকে সাংবাদিক অনেককেই । মধ্যমণি অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । আর চারিদিকে শুধু কালো মাথা । গিজগিজ করছে কর্মী সমর্থক । স্তব্ধ হয়ে যায় উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা। থমকে যায় মধ্য কলকাতা ।

কিন্তু এবার সেই চিত্র দেখা যাবে না । বাস ঘুরবে না অন্য পথে । মেট্রোর জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষাও করতে হবে না । ভাটা পড়বে না নিত্যযাত্রীদের যাতায়াতে । 21 শে জুলাই দূর থেকেই কর্মীদের বার্তা দেবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । 30 বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়িথেকে ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য পেশ করবেন নেত্রী । ধর্মতলায় শহিদ স্মরণে শুধুমাত্র তৈরি হবে শহিদ বেদী ।

একসময় 21শের মঞ্চে সক্রিয় থাকতে দেখা যেত তৎকালীন তৃণমূলের সেকন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের কিন্তু আজ তাঁরা গেরুয়া শিবিরে । ভার্চুয়াল জনসভা করছেন মুকুল রায় । ভোকাল টনিক দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরকে । ঘুঁটি সাজাচ্ছেন 21-র বিধানসভার । কোরোনা আবহে শহিদ দিবসে এবার ধর্মতলায় হচ্ছে না সমাবেশ । তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । কীভাবে এই বিশেষ দিন পালন করা হবে তা জানানো হয়নি । তবে জানা যায় সমাবেশ না হলেও কীভাবে বিশেষ এই দিনটিকে পালন করা যায় তা নিয়ে উদ্যোগী ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব । অনেকেই মনে করেছেন মুকুল রায়রা BJP থেকে যেভাবে ভার্চুয়াল জনসভা করছে সে পথেই এগোবে রাজ্যের শাসক দল । তবে, সে বিষয়ে এতদিন পর্যন্ত মুখে কুলুপ এঁটেছিল তারা । আজ দলের বিধায়ক, সাংসদ ও নেতাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তারপরই ঠিক হয় ভার্চুয়াল সমাবেশ হবে ।

এই ভার্চুয়াল সভায় বক্তব্য পেশ করবেন দলের প্রথম সারির নেতারা । 30 বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি থেকেই ভাষণ দেবেন তৃণমূল সুপ্রিমো । ধর্মতলা চত্বরে থাকবে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা । ব্লকে ব্লকেও বসানো হবে জায়ান্ট স্ক্রিন । সেখানেই শোনা যাবে নেত্রীর ভাষণ । জেলাগুলি থেকে আসবে না কোনও বাস । হবে না কোনও জমায়েত । এমনকী কোরোনা নির্দেশিকা মেনে ব্লকগুলিতেও একসঙ্গে মাত্র 25 জনই জমায়েত করতে পারবেন ।

21 শের সঙ্গে মমতার সম্পর্ক যেন এক সুতোয় বাঁধা । 1993-এ যুব কংগ্রেসের মহাকরণ অভিযানে পুলিশের গুলিতে 13 জনের মৃত্যু হওয়ার পর থেকেই এই দিনটি নানা রাজনৈতিক উত্থান পতনের সাক্ষী । এই জনসভার ভিড়ই বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের অগ্রগতি । সভায় আসা কর্মী-সমর্থকদের সংখ্যা দেখে একটু হলেও আঁচ করা যেত 21-এর পর রাজ্যের ক্ষমতা যাচ্ছে কার হাতে। এবার 21-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ 21 শে জুলাই ছিল ।

দলের একাধিক রণকৌশল সামনে আসতে পারত । ভিড় বলে দিত কে আসছে গদিতে । গেরুয়া শিবিরকে চ্যালেঞ্জ জানানোর শেষ সুযোগ ছিল এটাই। কিন্তু কোরোনার প্রভাবে ভাটা পড়ল সেই জনসমুদ্রে।

Last Updated : Jul 4, 2020, 5:39 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.