কলকাতা, 18 জুন: আবাসিক এলাকায় ওয়ো রুম ভাড়া দেওয়ার প্রসঙ্গ উঠল কলকাতা পৌরনিগমের মাসিক অধিবেশনে। এ নিয়ে সরব হলেন খোদ শাসক দলের কাউন্সিলর। 107 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্না জানান, তাঁর পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি ঘর ওয়ো রুম হিসেবে ভাড়া দেওয়া হচ্ছে । তার ফলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
তিলজলা, কসবাও হালতু এলাকার কিছু অংশ নিয়ে 107 নম্বর ওয়ার্ড ৷ শনিবারের অধিবেশনে কাউন্সিলর জানান, এলাকার তিন তলা ও চার তলা বাড়ির 100টিরও বেশি ঘর এই রকম সংস্থার আওতাধীন ৷ একদিন বা দু’দিন নয়, সাধারণত ঘণ্টা হিসাবে ভাড়া দেওয়া হয় ৷ এই হোটেলের রুমে যুবক-যুবতিরা কয়েকঘণ্টা সময় কাটাতে আসেন ৷ একে ঘিরেই নানা ধরনের কুপ্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান।
সেই ঘটনা তুলে ধরেই এই ব্যবসার লাগাম দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন কাউন্সিলর। তিনি আরও জানান, ওয়ো সংখ্যা উত্তোরোত্তর বেড়ে যাওয়ায় সাধারণের বসবাসের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেই এলাকাবাসী তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, যাঁরা এই সমস্ত গেস্ট হাউস আসছেন তাঁরা নেশাগ্রস্থ অবস্থায় অকথ্য ভাষায় গালি করছেন । এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা বেড়েছে । এর ফলে এলাকার মহিলা থেকে কম বয়সি ছেলে-মেয়ে সন্ধ্যার পর বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছে না ।
এই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কাউন্সিলরের প্রশ্ন, "আমার ওয়ার্ডে কাছাকাছি কোনও বিমান বন্দর, তীর্থস্থান, রেলওয়ে স্টেশন নেই । সেখানে এত ওয়ো সংস্থা গেস্ট হাউস অনুমতি পাচ্ছে কীভাবে? সেগুলো কি কর্পোরেশনের খাতায় নথিভুক্ত আছে ? এতে কি কর্পোরেশন উপকৃত হচ্ছে ? এলাকাবাসীর সমস্যা কীভাবে লাঘব করা সম্ভব ? নতুন করে গেস্ট আর অনুমতি না দেওয়া যাতে হয় সেই ব্যাপারে নজর দেওয়ার কথা বলেন ৷" ইতিমধ্যেই কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মালা রায়ের কাছে কাউন্সিলর 68টি এমন গেস্ট হাউসের তালিকা জমা করা হয়েছে ।
আরও পড়ুন: তিন দিনে তিন, লন্ডনে ফের কুপিয়ে হত্যা ভারতীয়কে
যদিও উত্তরে মেয়র স্পষ্ট করে দেন এই ধরনের ব্যবসা বন্ধ সম্পর্কিত কোনও পৌর আইন নেই ৷ মেয়র আরও বলেন,"রেসিডেনসিয়াল এলাকায় গেস্ট হাউস আইনি বাধা নেই । এখন অনলাইন লাইসেন্স হয়। এখন সরকারও বাড়ি বাড়ি হোম স্টে করার জন্য উৎসাহ দিচ্ছে । ফলে এগুলো বন্ধ করা সম্ভব নয় ।"