কলকাতা, 28 মার্চ: তিলজলা থানায় হামলার ঘটনায় এখনও পর্যন্ত 20 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ উল্লেখ্য, এলাকার 7 বছরের বালিকাকে যৌন নির্যাতন ও খুনের ঘটনা (Tiljala Child Murder Case) প্রকাশ্যে আসতেই তিনজলা থানায় দফায় দফায় হামলা চালানো (Attack on Tiljala Police Station) হয় ৷ সেই ঘটনায় প্রাথমিকভাবে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ তার প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নামেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ জনরোষে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় সড়ক থেকে রেলপথ ৷ পুলিশ-জনতা-রেলপুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায় ৷
এই ঘটনাক্রমে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী ও আধিকারিক আহত হন ৷ উন্মত্ত জনতার বিরুদ্ধে পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কর্মীদের কর্তব্য পালনে বাধা এবং কর্তব্যরত সরকারি কর্মীদের উপর হামলার মতো গুরুত্ব অভিযোগ আনা হয় ৷ এরপর সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে আরও 17 জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, থানায় হামলার সময়কার ফুটেজ দেখে ধৃতদের চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ পুলিশের দাবি, যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই থানায় হামলার ঘটনায় যুক্ত ছিলেন ৷
তবে, পুলিশের এই পদক্ষেপে আমজনতার ক্ষোভ বাড়ছে ৷ বাসিন্দারা এখনও মনে করছেন, সময় থাকতে পুলিশ যদি তৎপর হত, তাহলে 7 বছরের ওই নাবালিকাকে পৈশাচিক নির্যাতন সহ্য করতে হত না ৷ এভাবে অকালে তার মায়ের কোল খালি হত না ৷ ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ তাদের দাবি, জেরায় যৌন নির্যাতন ও খুনের কথা স্বীকারও করেছেন অভিযুক্ত ৷ সামনে এসেছে সন্তানলাভের আশায় নরবলি দেওয়ার মতো ঘৃণ্য প্রথা ! তবুও খুনের কারণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত 100 শতাংশ নিশ্চিত নয় পুলিশ ৷ তাদের বক্তব্য, সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: যৌন হেনস্থার পর মাথা থেঁতলে শ্বাসরোধ করে হত্যা, ময়নাতদন্তের মিলল তথ্য
এদিকে, এই ঘটনার জেরে মঙ্গলবারও থমথমে রয়েছে তিলজলা থানার অন্তর্গত বন্ডেল গেট এলাকা ৷ শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এদিন নতুন করে কোনও অশান্তি ছড়ায়নি ৷ তবুও ঝুঁকি নিতে নারাজ প্রশাসন ৷ তাই সারা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ৷ পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন ৷ পাশাপাশি, ট্রেন চলাচলে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তার জন্য বন্ডেল গেট চত্বরে শিয়ালদা জিআরপির তরফে টহল দেওয়া হয়েছে ৷ বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে পার্ক সার্কাস স্টেশন চত্বর পর্যন্ত মোতায়েন রয়েছে আরপিএফ ৷