কলাকাতা, 27 মার্চ: তিলজলায় সাত বছরের এক নাবালিকার গলাকাটা দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে রবিবার রাতেই উত্তাল হয়ে উঠেছিল তিলজলা থানা চত্বর। তদন্তে গাফিলতি এই অভিযোগকে সামনে এনে এলাকার জনতা রীতিমতো থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করেছিল। আর এবার এই ঘটনায় পরপর তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ (Three Separate Cases Have Been Filed) ।
থানায় ঢুকে হামলা চালানোর হুমকি, নাবালিকাকে অপহরণ করে খুন এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করল তিলজলা থানার পুলিশ। ওই নাবালিকাকে অপহরণের আগে যৌন হেনস্তা করা হয়েছে ৷ প্রাথমিকভাবে ওই নাবালিকার দেহ দেখে আপাতত এমনটাই অনুমান হোমিসাইডের গোয়েন্দাদের। ফলে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকটি সূত্র থেকে সোমবার সকালে দাবি করা হয় নাবালিকার খুনের সঙ্গে তন্ত্র সাধনার যোগ আছে ।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত সংশ্লিষ্ট ফ্ল্যাটের মালিক অলক কুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেহটি দেখে হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়েছিল। পরে নাবালিকাকে যৌন হেনস্কতার ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে। এবং শেষে কোনও ভোঁতা ও ভারী বস্তু দিয়ে ওই নাবালিকার মাথা কার্যত থেঁতলে দেওয়া হয় এবং দেহ লোপাটের জন্য কোনও ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঠান্ডা মাথায় নাবালিকার গলা কাটা হয় ৷
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে অপহরণ করে 'খুন', পুলিশি গাফিলতির অভিযোগে উত্তাল তিলজলা
পরে সেই দেহটি একটি সুটকেসে রেখে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা আরও জানাচ্ছেন যে স্ক্রু ড্রাইভার জাতীয় কোনও বস্তু দিয়ে ওই নাবালিকার মাথায় বেশ কয়েকবার ফুটো করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় আর অন্য কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা, সেই বিষয়ে জানার জন্য ধৃত অলক কুমারকে লাগাতার জেরা করছে পুলিশ। পাশাপাশি পুলিশের দাবি, অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছিল। জানা গিয়েছে, প্রায় 12 ঘণ্টার পর ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। যেই আবাসন থেকে ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসনের 32টি রুমে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল তিলজলা থানার পুলিশ। সেখানে একটি ফ্ল্যাট তালা বন্ধ অবস্থায় ছিল আর তা দেখে সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের ৷ এর পরেই দরজা খুলতেই ঘটনাটি সামনে আসে।