কলকাতা, 27 এপ্রিল : কয়েকদিন আগেই সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের সংস্থান রয়েছে । মঙ্গলবার নবান্নের বিবৃতিতে মূলত তাঁর বক্তব্যেরই পুনরাবৃত্তি দেখা গেল । এদিন সন্ধ্যায় নবান্নের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয় । সেই বিবৃতিতে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রাজ্যে অক্সিজেনের কোনো অভাব নেই । কোথাও ঘাটতি নেই জোগানেরও ।
এদিন রাজ্য সরকারের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করোনা রোগীর চিকিৎসায় অপরিহার্য অক্সিজেন । এই কথা মাথায় রেখে, বিগত কয়েক মাসে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মহকুমা স্তর পর্যন্ত 105টি সরকারি করোনা হাসপাতালে পাইপলাইন দ্বারা অক্সিজেন সরবরাহ (এমজিপিএস) সুনিশ্চিত করা হয়েছে । এর ফলে রাজ্যে মোট 12500 করোনা আক্রান্ত রোগীদের 24 ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে অক্সিজেন পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে ।
নবান্ন আরও জানিয়েছে, আগামী 15 মে-এর মধ্যে নতুন 41টি সরকারি হাসপাতালে অক্সিজেন গ্যাস পাইপলাইন বসানো হবে । তাতে আরও 3000 করোনা রোগীর সুচিকিৎসা নিশ্চিত হবে । রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, পরিকাঠামো সম্পন্ন হলে 15500 করোনা রোগীকে 24 ঘণ্টা নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন পরিষেবা দেয়া সম্ভব হবে । এর থেকে এটা পরিষ্কার রাজ্যে অক্সিজেনের কোনও অভাব নেই ।
এদিন রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, রাজ্যে আরও 55টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করা হচ্ছে । সোমবারই নবান্নের বৈঠকের পর জানা গিয়েছিল, রাজ্য সরকারের তরফে নতুন অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়ে কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে । রাজ্য 90টি অক্সিজেন প্লান্ট তৈরি করতে চেয়েছিল । সেক্ষেত্রে 55টি অক্সিজেন প্লান্টের ছাড়পত্র কেন্দ্রের কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে ।
আরও পড়ুন : নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করব না, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের
এছাড়াও এই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অতীতে জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতালের ক্ষেত্রে অক্সিজেন পেতে গেলে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম নীতি পালন করতে হত । তবে সেই নিয়ম নীতি অনেকটাই শিথিল করল রাজ্য সরকার । রাজ্যের তরফে এদিন বলা হয়েছে, সমস্ত সরকারি মেডিকেল কলেজ, জেলা হাসপাতাল, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল বা মহকুমা হাসপাতালের মুখ্য আধিকারিকরা এবার নিজেরাই সিএমএস অনুমোদিত হারে অক্সিজেন সংগ্রহ করতে পারবেন, অবশ্যই অর্থ দফতরের নির্দেশিকা তাদের মানতে হবে । এক্ষেত্রে এলাকাভিত্তিক অক্সিজেন সরবরাহের নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হল । এখন যে কোনও হাসপাতাল তাদের ইচ্ছামত পাইপ লাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের সম্প্রসারণ করতে পারবে ।