কলকাতা, 26 জুলাই : বুদ্ধিজীবীদের প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠানো নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি ৷ এই পরিস্থিতিতে বুদ্ধিজীবীদের চিঠি লেখার পিছনে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কারণ দেখছেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় ৷ আজ কলকাতার রাসবিহারীর বাসভবনে তথাগত রায় বলেন, "গণতান্ত্রিক দেশে প্রধানমন্ত্রীকে যে কেউ চিঠি লিখতে পারে ৷ কিন্তু তথাকথিত বুদ্ধিজীবী যখন এইরকম চিঠি লেখেন তখন তাঁদের চিঠির মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকবে ৷ এর পিছনে রাজনৈতিক কারণ রয়েছে ৷ অর্থনৈতিক কারণও থাকতে পারে ৷"
তথাগত রায় বুদ্ধিজীবীদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ৷ বলেন, "49 জন বুদ্ধিজীবীর চিঠিতে সব থেকে আপত্তিজনক ব্যাপারটা হচ্ছে, তাঁরা জয়শ্রীরামকে খুব নিন্দা করেছেন । জয়শ্রীরাম একটা যুদ্ধের ধ্বনি হয়ে উঠেছে । কিন্তু এই একপেশে মন্তব্য কাম্য নয় । একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি এই ধরনের কথা বলতেই পারেন । কিন্তু এরা তো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী নন । রাজনৈতিক কর্মী বলে পরিচয়ও দেন না । তাহলে এই একপেশে মনোভাব কেন ? এর পিছনে অবশ্যই রাজনৈতিক কারণ রয়েছে ৷ অর্থনৈতিক কারণও থাকতে পারে ৷" তিনি আরও বলেন, "কয়েকমাস ধরে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে এই ধরনের কথা চলছে ৷ যখন বামফ্রন্ট ক্ষমতায় ছিল ৷ আমি তো প্রবল বিরোধী ছিলাম ৷ তখন তারা খুনখারাপি, ধর্ষণ, মিথ্যা সাক্ষ্য অনেক কিছু করেছে ৷ তবে ইদানিং কুকথার রাজনীতি শুরু হয়েছে ৷ এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ৷ একজন হাতের ভঙ্গিমায় দেখাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার বাঁশ দিয়েছে ৷ এগুলো কী ?"
মেঘালয়ের রাজ্যপালের সংযোজন, "এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ । উত্তর কোরিয়া বা সৌদি আরব নয় । যে কেউ প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখতেই পারে ৷ তবে তার একটা ভারসাম্য থাকবে ৷ যারা একটি নিরপেক্ষতার ভেক ধরে আছেন, তাঁদের এই ডবল স্ট্যান্ডার্ড বিষয়টি বাদ দিতে হবে ৷ জয়শ্রীরাম স্লোগানের থেকে দশলাখ গুণ বেশি খুন হয়েছে অন্য এক ধ্বনিতে ৷ আমরা সবাই তার শরিক ৷ আমার পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ধর্মীয় কারণে বিতাড়িত হয়েছি৷ তাই সব বিষয়ে কথা বলা দরকার ৷ একদিক বলা ঠিক নয় ৷"