ETV Bharat / state

বিপদসীমা থেকে অনেকটাই নিচে নেমেছে জলস্তর, স্বস্তিতে জেলা প্রশাসন

দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস ৷জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ তবে কাল থেকে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলিতে সেই ভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে জেলা প্রশাসনগুলি ৷ বৃষ্টি না হওয়ায় নদীতে জলস্তর আরও খানিকটা নেমেছে ৷যার জেরে স্বস্তি ফিরেছে জেলা প্রসাশনিক ভবনগুলিতে ৷

west bengal
west bengal
author img

By

Published : Aug 25, 2020, 10:52 PM IST

কলকাতা, 25 অগাস্ট : বঙ্গোপসাগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকে তিনদিনের জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল কলকাতা আবহাওয়া অফিস ৷ উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও বীরভূম, ঝাড়গ্রামে সহ কলকাতাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস । জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ ভারী বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কিন্তু সকাল থেকে তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকটাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলিতে ৷ একনজরে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলির পরিস্থিতি..

গত তিনদিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কেটেছে বীরভূমে । নদ-নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা থেকে অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে । কিন্তু এখনও যেহেতু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সেহেতু ফের যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে প্লাবণের আশঙ্কা রয়েছে । তবে আগাম সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন ।

বন্যাপ্রবণ জেলাগুলির পরিস্থিতি

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ৷ ঘাটাল মহকুমা শাসক অসীম পাল জানান, "নতুন করে কোনও এলাকা প্লাবিত হয়নি । আলাদা করে রিলিফ ক্যাম্প বা ত্রাণশিবির করার প্রয়োজন হয়নি । নদীর জলস্তর নামায় প্লাবিত এলাকাগুলির জমা জল কমতে শুরু করেছে । ভারী বৃষ্টি না হলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে । প্রশাসন সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ।" ঘাটাল পৌরসভার 17টি ওয়ার্ডের মধ্যে 12টি ওয়ার্ডে এখনও জল রয়েছে । ঘাটাল ব্লকের অজবনগর 1 ও 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, মোহনপুর, দেওয়ানচক 1 ও 2 গ্রাম পঞ্চায়েত,মনসুকা এলাকা এখনও প্লাবিত ৷

হুগলির বিভিন্ন এলাকাও ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে ৷ রূপনারায়ণ এবং দারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধির জেরে জগৎপুর, মারোখানা, ধ্যাননগরী ও রাজবাটি সহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোট 12 টি গ্রামের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ তবে তিনদিনে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নদগুলিতে জলস্তর অনেকটাই কমেছে ৷ আরামবাগ SDO নৃপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, "বিভিন্ন বিভাগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে । বৃষ্টিপাত ও DVC-এর জল ছাড়ার দিকেও নজর রাখা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । গ্রামের মানুষ অধিকাংশই নিজেদের বাড়িতে রয়েছেন । তবে, পরিস্থিতি জটিল হলে তাদের ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা রয়েছে ।

পূর্ব মেদিনীপুরেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদল ঘটছে ৷ বৃষ্টি কমতেই রুপনারায়ণ, কংসাবতী ও চন্ডিয়া নদীতে জলস্তর নামতে শুরু করেছে । কয়েকদিনের টানা বর্ষণের জেরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল জেলার এই তিনটি নদী । সেই সঙ্গে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কংসাবতী নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায় । কিন্তু গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত জেলায় তেমনভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কংসাবতী নদীর জলস্তর অনেকটাই কমেছে । যার ফলে স্বস্তি ফিরেছে জেলা প্রশাসনে ।

কলকাতা, 25 অগাস্ট : বঙ্গোপসাগর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার জেরে দক্ষিণবঙ্গে আজ থেকে তিনদিনের জন্য ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছিল কলকাতা আবহাওয়া অফিস ৷ উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া ও বীরভূম, ঝাড়গ্রামে সহ কলকাতাতেও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া অফিস । জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা ৷ ভারী বৃষ্টির ফলে দক্ষিণবঙ্গের নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা ছাড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ কিন্তু সকাল থেকে তেমনভাবে বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকটাই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলিতে ৷ একনজরে বন্যাপ্রবণ জেলাগুলির পরিস্থিতি..

গত তিনদিন বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা কেটেছে বীরভূমে । নদ-নদীগুলিতে জলস্তর বিপদসীমা থেকে অনেকটাই নিচে নেমে এসেছে । কিন্তু এখনও যেহেতু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে সেহেতু ফের যদি ভারী বৃষ্টিপাত হয় তাহলে প্লাবণের আশঙ্কা রয়েছে । তবে আগাম সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে জেলা প্রশাসন ।

বন্যাপ্রবণ জেলাগুলির পরিস্থিতি

পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমার ক্ষেত্রেও পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক ৷ ঘাটাল মহকুমা শাসক অসীম পাল জানান, "নতুন করে কোনও এলাকা প্লাবিত হয়নি । আলাদা করে রিলিফ ক্যাম্প বা ত্রাণশিবির করার প্রয়োজন হয়নি । নদীর জলস্তর নামায় প্লাবিত এলাকাগুলির জমা জল কমতে শুরু করেছে । ভারী বৃষ্টি না হলে দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে । প্রশাসন সবরকমের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ।" ঘাটাল পৌরসভার 17টি ওয়ার্ডের মধ্যে 12টি ওয়ার্ডে এখনও জল রয়েছে । ঘাটাল ব্লকের অজবনগর 1 ও 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত, মোহনপুর, দেওয়ানচক 1 ও 2 গ্রাম পঞ্চায়েত,মনসুকা এলাকা এখনও প্লাবিত ৷

হুগলির বিভিন্ন এলাকাও ফিরছে স্বাভাবিক ছন্দে ৷ রূপনারায়ণ এবং দারকেশ্বর নদের জলস্তর বৃদ্ধির জেরে জগৎপুর, মারোখানা, ধ্যাননগরী ও রাজবাটি সহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মোট 12 টি গ্রামের নিচু এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে ৷ তবে তিনদিনে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় নদগুলিতে জলস্তর অনেকটাই কমেছে ৷ আরামবাগ SDO নৃপেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, "বিভিন্ন বিভাগ পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে । বৃষ্টিপাত ও DVC-এর জল ছাড়ার দিকেও নজর রাখা হয়েছে । তবে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । গ্রামের মানুষ অধিকাংশই নিজেদের বাড়িতে রয়েছেন । তবে, পরিস্থিতি জটিল হলে তাদের ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করার ব্যবস্থা রয়েছে ।

পূর্ব মেদিনীপুরেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি বদল ঘটছে ৷ বৃষ্টি কমতেই রুপনারায়ণ, কংসাবতী ও চন্ডিয়া নদীতে জলস্তর নামতে শুরু করেছে । কয়েকদিনের টানা বর্ষণের জেরে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল জেলার এই তিনটি নদী । সেই সঙ্গে মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কংসাবতী নদীর জলস্তর বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছে যায় । কিন্তু গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত জেলায় তেমনভাবে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কংসাবতী নদীর জলস্তর অনেকটাই কমেছে । যার ফলে স্বস্তি ফিরেছে জেলা প্রশাসনে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.