কলকাতা , 17 জুন : গতবছর মার্চ মাসে পরীক্ষা হওয়ার পর বন্ধ হয়ে যায় সব স্কুল । তারপর 25 মার্চ থেকে সংক্রমণ সামাল দিতে দেশ জুড়ে শুরু হয় লকডাউন । তারপর থেকেই বন্ধ পুলকার গাড়িগুলি । বন্ধ স্কুল আর তাই লাগাতার 17 মাস বন্ধ পুলকার ব্যবসা । চরম দুর্দশার মধ্যে দিন কাটছে পুলকার মালিক ও চালকদের । তাই এবার বিকল্প ব্যবসার কথা মাথায় রেখে অল বেঙ্গল পারমিটের অনুমতি ও নিজেদের গাড়িগুলিকে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করার পারমিট চাইতে চলেছে পুলকার সংগঠন । রাজ্যে একাধিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু শিথিলতা আনা হলেও স্কুল ও কলেজগুলি কবে খুলবে তার কোনও ঠিক নেই । ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা । স্কুলের উপর নির্ভরশীল কয়েক হাজার পুলকার ও তার কর্মীরা । এই মানুষগুলির কপালে এখন চিন্তার গভীর ছাপ, সংসার চালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে ।
2016 সালে তৎকালীন পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী পুলকারগুলিকে অল বেঙ্গল পারমিট দিয়েছিলেন অর্থাৎ এই গাড়িগুলি অন্যান্য জেলায় যাতায়াত করতে পারবে । তবে 2018 সালে সেই পারমিট বন্ধ করে দেওয়া হয় ।
আরও পড়ুন...Narada Case : বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করার অভিযোগ ভিত্তিহীন, দাবি মদনের আইনজীবীর
পুলকার ওনার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সুদীপ দত্ত বলেন যে, "আমাদের আয়ে-উপার্জনের পথ একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে । তার উপরে আমাদের বেশিরভাগ গাড়ি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার থেকে ধার করে কেনা । সময়মত সেই ইএমআই (EMI) এর অর্থ মেটাতে না পারলে রাস্তার থেকে আমাদের গাড়ি তুলে নিচ্ছে সংস্থা । পাশাপাশি সংসার চালানোও অসম্ভব হয়ে উঠছে । তাই আয়ের বিকল্প পথ হিসেবে আমরা পরিবহন মন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছি । অল বেঙ্গল পারমিট পেলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে পুজোর ছুটি বা শীতের ছুটিতে ভ্রমণের জন্য গাড়িগুলিকে ভাড়ায় দেওয়া যেতে পারে ।
তিনি আরও বলেন, "আমাদের পিঠ একেবারে দেওয়ালে ঠেকে গেছে । আমরা চিঠিতে আমাদের গাড়িগুলিকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপান্তরিত করে পরিষেবা দেওয়ার জন্য পারমিটের আবেদন করব ।"