কলকাতা, 30 জুলাই : ভ্যাকসিন দেওয়ার নামে দেবাঞ্জন তার শিবিরে আসা ভ্যাকসিন-গ্রাহকদের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে যা দিয়েছিল, তা কোভিড-19 ভ্যাকসিন (Covid 19 Vaccine) কোভিশিল্ড (Covishield) নয় । সেরাম ইনস্টিটিউট-এর (Serum Institute of India, SII) সঙ্গে কথা বলে তা নিশ্চিত করে জানতে পেরেছে কলকাতা পুলিশের সদর দফতর (Kolkata Police Headquarters) লালবাজার ।
জানা গিয়েছে, ধৃত দেবাঞ্জন দেবের বাড়ি এবং কসবার অফিসে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক ভায়াল উদ্ধার করেছিল গোয়েন্দারা । তদন্তের স্বার্থে উদ্ধার হওয়া ভায়ালগুলি সেরাম ইনস্টিটিউট-এ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল লালবাজারের তরফে । গতকাল তার রিপোর্ট আসে । সূত্রের খবর দেবাঞ্জন কোভিড-19 ভ্যাকসিনের নামে যা দিয়েছে, তার একটিও কোভিশিল্ড নয় । তাহলে সেগুলি কী ? এই নিয়ে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন । ইতিমধ্যে উদ্ধার হওয়া ওই ভায়ালগুলি ড্রাগ কন্ট্রোল সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে । লালবাজার সূত্রের খবর, আসলে সেই উপাদান বস্তুটি কী, তা সেখান থেকে নিশ্চিত করে জানা যাবে ।
আরও পড়ুন : ভুয়ো টিকাকরণকে হাতিয়ার করেই সরকার বিরোধী আন্দোলনে জোর বিজেপির
সম্প্রতি দক্ষিণ কলকাতার কসবা এবং উত্তর কলকাতার সিটি কলেজে ভুয়ো ভ্যাকসিন (Fake Vaccine) সেন্টার খোলা হয় । আর এই ঘটনায় নাম উঠে আসে দেবাঞ্জন দেবের । নিজেকে আইএএস (IAS) হিসেবে পরিচয় দিয়ে গাড়িতে নীল বাতি লাগিয়ে ঘুরে বেড়াত সে । এমনকি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, কলকাতা পুরসভায় দেদার যাতায়াত ছিল তার । একাধিক পুর আধিকারিকের সঙ্গে নিয়মিত ওঠাবসা ছিল ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডের প্রধান দেবাঞ্জনের । পাশাপাশি নিজেকে রাজ্য সরকারের আমলা বলে পরিচয় দিয়ে কলকাতার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানেও সামিল হয়েছিল দেবাঞ্জন । তাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক তথ্য পায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অভিনেত্রী মিমি দেবাঞ্জনের শিবিরে গিয়েছিলেন ৷