কলকাতা, 31 মে : রাজ্যের নতুন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন সৌরভ দাস । আজই নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে অনুমোদন দেন রাজ্যপাল ।তারপরই দায়িত্বভার বুঝে নেন নতুন নির্বাচন কমিশনার ।
নিয়মানুযায়ী, রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের পদে কোনও ব্যক্তি সর্বোচ্চ 6 বছর থাকতে পারেন , অথবা 65 বছর বয়স পর্যন্ত । 2018 সালের 31 মার্চ অবসর নেন প্রাক্তন IAS সৌরভ দাস। তারপর থেকেই তিনি ওই দপ্তরের OSD হিসেবে কাজ করছিলেন । তাঁকে নিয়োগ করায় তিনি 2023 সাল পর্যন্ত কাজ চালাতে পারবেন । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রাক্তন পঞ্চায়েত সচিব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন । প্রাক্তন নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাতের সময় তার সরকারের পক্ষে আইনি জটিলতা বিষয়ক ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ ।
1982 ব্যাচের IAS অমরেন্দ্র 2014 সালের মে মাসে ভূমি সংস্কার কমিশনারের পদ থেকে অবসর নেন । সূত্র জানাচ্ছে, তিনি না কি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পছন্দের লোক হওয়ায় তাঁকে নজিরবিহীনভাবে ওই পদে আরও এক বছরের বেশি সময় পুনর্নিয়োগ করে রাখা হয় । 2015 সালের অগাস্ট মাসে ওই পদ থেকে অব্যাহতি পান মুখ্যমন্ত্রীর এক সময়ের ঘনিষ্ঠ এই অফিসার । সেই সময় তাঁকে গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভেবেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । কিন্তু সেই সময় তিন পুরসভার নির্বাচনের বিতর্কের জেরে সরে যান তৎকালীন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার সুশান্ত রঞ্জন উপাধ্যায় । তাঁর পরিবর্তে অস্থায়ী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । পরে তাঁর জায়গায় স্থায়ী দায়িত্ব পান অমরেন্দ্র । গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অমরেন্দ্র ভূমিকা নিয়ে রাজ্য জুড়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক । রাজ্যের বিরোধী দলগুলো কমিশনের ভূমিকা নিয়ে ছুঁড়ে দিয়েছিল তীব্র কটাক্ষ । এমনকি তাকে নাকি ধমকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ এক নোটিফিকেশন বাতিল করতে বাধ্য করে শাসকদল ।
সূত্রের খবর, সেই সময় আইনি জটিলতা চলাকালীন নির্বাচন কমিশনের শীর্ষকর্তাদের থেকে নানা বিষয়ে খোঁজখবর নিতেন সৌরভ । নির্বাচন কমিশনার কী কী সুবিধা পান সে বিষয়েও খোঁজখবর নিতেন তিনি ।