ETV Bharat / state

কোরোনার থাবায় শাড়ির দোকানে বিষাদের পয়লা

author img

By

Published : Apr 14, 2020, 3:47 PM IST

কোরোনা সংক্রমণের জেরে চলছে লকডাউন । বন্ধ দোকানপাট । নেই নতুন জামাকাপড় কেনার ভিড় । বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ।

ছবি
ছবি

কলকাতা, 14 এপ্রিল : এবছরের নববর্ষ যেন চেনা ছন্দ হারিয়েছে । প্রতিবছরের সেই উৎসব-আনন্দ এবার কোথাও যেন ম্লান । কোরোনার আতঙ্কে কার্যত স্তব্ধ শহর । না দোকানে ভিড় না হালখাতার অনুষ্ঠান, না লক্ষ্মী-গণেশ পুজো । আপাতত ঘরবন্দী হয়েই নববর্ষ পালন করছেন মানুষজন । গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটসহ শহরের সব ছোটো-বড় বাজার বন্ধ । নেই চৈত্র সেলে দোকানিদের হাঁক-ডাক । নেই নতুন জামাকাপড় কেনার ভিড় । সর্বত্র জনশূন্য । এর জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ।

কলকাতার 100 বছরের পুরোনো বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল বলেন, "ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীরাই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন । এই কথাটি যেমন ঠিক তেমন এই কথাটাও খুব সত্যি যে এই মুহূর্তে লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । তবে আর্থিক ক্ষতির একটা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ পড়বে । আমাদের ব্যবসার সার্বিক কাঠামোটা চেনের মতো । ছোট তাঁতি থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী, ডিস্ট্রিবিউটার ও বিক্রেতার উপর নির্ভরশীল । তাই একজন ছোটো শিল্পী থেকে শুরু করে সবার উপরই এর প্রভাব পড়বে । তবে সব থেকে বেশি খারাপ পরিস্থতি ছোটো কারিগরদের । তাঁদের অবস্থা খুব শোচনীয় । তাই আমাদের সংস্থার সব কর্মীদের অনলাইনে টাকা লেনদেন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের পাশে থাকার চেষ্টা করছি ।"

স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল আরও বলেন, "লকডাউনের পর সাধারণ মানুষের হাতে তেমন টাকা থাকবে না । সেটাই স্বাভাবিক । তবে আমাদের অনেক পুরোনো প্রতিষ্ঠান । যাতে ক্রেতাদের হাতে তাঁদের সাধ্যের মধ্যে তাঁদের পছন্দের জিনিসটা তুলে দিতে পারি সেই চেষ্টাই থাকবে । এবছর বিয়ের মরশুমে যাতে নিজেদের আপনজনকে ভালো বেনারসি বা শাড়িটি তুলে দিতে পারেন ক্রেতারা সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে ।"

আর একটি পুরোনো শাড়ি প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতিভা দুদুরিয়া বলেন যে, "ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে । তবে এই মুহূর্তে আমরা এমন একটি পরিস্থিতির সঙ্গে যার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই । আমাদের প্রতিষ্ঠানে একশোর উপর কর্মী রয়েছেন । চিন্তা হচ্ছে, কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ? কবে উঠবে লকডাউন ? তবে লকডাউন উঠে গেলেই যে আবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার হাল ফিরবে তেমনটা নয় । এবছর হয়তো আর হাল ফিরবে না । আগামী বছর আবার নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে হবে।"

কলকাতা, 14 এপ্রিল : এবছরের নববর্ষ যেন চেনা ছন্দ হারিয়েছে । প্রতিবছরের সেই উৎসব-আনন্দ এবার কোথাও যেন ম্লান । কোরোনার আতঙ্কে কার্যত স্তব্ধ শহর । না দোকানে ভিড় না হালখাতার অনুষ্ঠান, না লক্ষ্মী-গণেশ পুজো । আপাতত ঘরবন্দী হয়েই নববর্ষ পালন করছেন মানুষজন । গড়িয়াহাট, হাতিবাগান, নিউমার্কেটসহ শহরের সব ছোটো-বড় বাজার বন্ধ । নেই চৈত্র সেলে দোকানিদের হাঁক-ডাক । নেই নতুন জামাকাপড় কেনার ভিড় । সর্বত্র জনশূন্য । এর জেরে বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বস্ত্র ব্যবসায়ীরা ।

কলকাতার 100 বছরের পুরোনো বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল বলেন, "ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীরাই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছেন । এই কথাটি যেমন ঠিক তেমন এই কথাটাও খুব সত্যি যে এই মুহূর্তে লকডাউন ছাড়া আর কোনও উপায় নেই । তবে আর্থিক ক্ষতির একটা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ পড়বে । আমাদের ব্যবসার সার্বিক কাঠামোটা চেনের মতো । ছোট তাঁতি থেকে পাইকারি ব্যবসায়ী, ডিস্ট্রিবিউটার ও বিক্রেতার উপর নির্ভরশীল । তাই একজন ছোটো শিল্পী থেকে শুরু করে সবার উপরই এর প্রভাব পড়বে । তবে সব থেকে বেশি খারাপ পরিস্থতি ছোটো কারিগরদের । তাঁদের অবস্থা খুব শোচনীয় । তাই আমাদের সংস্থার সব কর্মীদের অনলাইনে টাকা লেনদেন করার ব্যবস্থা করা হয়েছে । এছাড়াও আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেকের পাশে থাকার চেষ্টা করছি ।"

স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল আরও বলেন, "লকডাউনের পর সাধারণ মানুষের হাতে তেমন টাকা থাকবে না । সেটাই স্বাভাবিক । তবে আমাদের অনেক পুরোনো প্রতিষ্ঠান । যাতে ক্রেতাদের হাতে তাঁদের সাধ্যের মধ্যে তাঁদের পছন্দের জিনিসটা তুলে দিতে পারি সেই চেষ্টাই থাকবে । এবছর বিয়ের মরশুমে যাতে নিজেদের আপনজনকে ভালো বেনারসি বা শাড়িটি তুলে দিতে পারেন ক্রেতারা সেদিকেই আমাদের নজর থাকবে ।"

আর একটি পুরোনো শাড়ি প্রতিষ্ঠানের মালিক প্রতিভা দুদুরিয়া বলেন যে, "ছোটো-বড় সব ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হচ্ছে । তবে এই মুহূর্তে আমরা এমন একটি পরিস্থিতির সঙ্গে যার উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই । আমাদের প্রতিষ্ঠানে একশোর উপর কর্মী রয়েছেন । চিন্তা হচ্ছে, কবে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে ? কবে উঠবে লকডাউন ? তবে লকডাউন উঠে গেলেই যে আবার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসার হাল ফিরবে তেমনটা নয় । এবছর হয়তো আর হাল ফিরবে না । আগামী বছর আবার নতুন উদ্যমে চেষ্টা করতে হবে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.