কলকাতা, 6 নভেম্বর : ২০২০ শিক্ষাবর্ষের জন্য চলছে পাঠ্যবই মুদ্রণের কাজ । যে বইগুলি মুদ্রণের জন্য যাবে সেগুলিতে কোনও ভুল ত্রুটি আছে কি না, তা চিহ্নিত করে চটজলদি সংশোধন করার উদ্দেশে গতকাল বিকাশ ভবনে বৈঠক করল সিলেবাস রিভিশন কমিটি । জানা গেছে, এই বৈঠকে পর্যালোচনা করার জন্য কমিটির সদস্যদের প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বিভিন্ন বিষয়ের বই দেওয়া হয়েছে । তাঁরা বইগুলি পর্যালোচনা করে দ্রুত রিপোর্ট জমা করবেন কমিটির কাছে ।
পাঠ্যবইয়ের সব তথ্য খতিয়ে দেখতে জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গড়ে দেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কমিটির প্রতিটি পাঠ্যবই যাচাই করে দেখে তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে । গতকাল সেই রিভিশন কমিটির বৈঠক শেষে জীবন মুখোপাধ্যায় বলেন, "বই তো অনেকগুলো । সেগুলো আমরা আগে দেখি । প্রাথমিক স্তরে আমরা সব বিষয়ের বই পর্যালোচনা করে দেখব । আমরা সদস্যদের বই দিয়ে করে দিয়েছি । তাঁরা সেগুলি পর্যালোচনা করে রিপোর্ট দেবেন । এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি কিছু হয়নি । কোথায় কী ভুল আছে তার দেখা পর পরামর্শ নেওয়া হবে ।"
বৈঠকে উপস্থিত আর এক ব্যক্তি বলেন, "গতকাল সমগ্র শিক্ষা মিশনের অন্তর্ভুক্ত সিলেবাস রিভিশন কমিটির বৈঠক হল । এক থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকে যে ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলি আগামীদিনে চটজলদি কিছু অন্ততপক্ষে যাতে সংশোধন করে দেওয়া যায় সেই নিয়ে আলোচনা হল। আগামীদিনে এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত মূল্যায়ন করে যাতে গ্রহণযোগ্য একটা জায়গায় সিলেবাস কারিকুলামকে নিয়ে যাওয়া যায় সেটাই সরকারের ও এই কমিটির উদ্দেশ্য ।"
অষ্টম শ্রেণির ইতিহাস বিষয়ের পাঠ্যপুস্তকে ‘বিপ্লব ও সন্ত্রাসবাদ’ নামক অধ্যায়ে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর নামের উল্লেখ নিয়ে অনেক আগেই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল । তারপরেই জীবন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে এই কমিটি তৈরি করা হয় । ইতিমধ্যেই একাধিক বৈঠক হয়ে গেছে এই কমিটির । ক্ষুদিরাম বসুর নাম 'বিপ্লব ও সন্ত্রাসবাদ' অধ্যায়ে থাকার পাশাপাশি বাংলা ব্যাকরণের ক্ষেত্রে কিছু ভুল, গণিতে কিছু কিছু ভাষাগত ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে । গণিতে প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরের অমিল থাকার মতো ত্রুটিও চিহ্নিত হয়েছে । সেগুলি ঠিক করে দেওয়া হবে বলে জানান বৈঠকে উপস্থিত ওই আধিকারিক ।
তিনি আরও বলেন, "যেসব ত্রুটি-বিচ্যুতি আছে সেগুলি আগে সংশোধন করা হবে । সেই ত্রুটি-বিচ্যুতি কিছু চিহ্নিত করা হয়ে গেছে । কিছু চিহ্নিতকরণ করার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । খুব অল্পদিনের মধ্যেই রিপোর্ট দিতে হবে । যে বইগুলো প্রিন্ট হবে সেগুলোর মধ্যে যদি কোনও বানানগত বা তথ্যগত ভুল থাকে তা আগেই সংশোধন করে দেওয়া হবে । পরে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করে আর কী রদবদল করা যায় তা ভাবা হবে । সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে ।"