কলকাতা, 2 সেপ্টেম্বর: রাজ্যজুড়ে চলছে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাট। আগামিকাল, রবিবারের মধ্যে লোডশেডিংয়ের সমস্যার সমাধান না-হলে সোমবার ধরনায় বসবে বিরোধী শিবির। আজ, শনিবার এমনটাই হুঁশিয়ারি দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ, সল্টলেকের পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র (ইজেডসিসি)-তে অল বেঙ্গল ভিএলই (সিএসসি) ইউনিয়নের প্রথম রাজ্য সম্মেলন ও সমাবেশে অংশগ্রহণ করে একাধিক বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুবাই ও স্পেন সফর প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, "ভাদ্র মাসের পচা গরমে, লোডশেডিং থেকে বাঁচতে মমতা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। এইভাবে বিনিয়োগ আসে না। বিনিয়োগ আসে পরিবেশ এবং জমি নীতির উপর।" শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী কোনও বিরোধী দলের বিধায়ক বা সাংসদদের ডাকেন না। অধীর চৌধুরী আর আবু হাসান খান হয়তো ভাগ্যবান। এর পরে হয়তো তাঁরা ডাক পাবেন। বগটুইতে বিজেপির কোনও ভোট নেই, মাত্র 17 টি ভোট। বগটুইয়ে মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার আগে 55 জন বিধাকদের নিয়ে বিজেপি গিয়েছে।"
এরপরই তাঁর মন্তব্য, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবীন্দ্র সঙ্গীতেও পালটে দিচ্ছেন। কতবড় স্পর্ধা। ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে বড় দায়িত্ব দেওয়া হল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, "তৃণমূল কোনও রাজনৈতিক দল নয় ওটা একটা কোম্পানি। এটা বুঝেই আমি ওই দলটা ছেড়েছিলাম। আমি এই মুখ্যমন্ত্রীকে অনেকদিন ধরেই চিনি। উনি 2010 সালে আর কাউকে ক্যবিনেট মন্ত্রী করবেন না বলে নিজে মন্ত্রী হয়েছিলেন। আমি দীর্ঘদিন অ্যাডমিনিস্ট্রেনে ছিলাম। আপনাদের এই সর্বনাশ করার মূলে আইপ্যাক, ভাইপো আর মুখ্যমন্ত্রী। ভেদাভেদের রাজনীতি মমতা বন্দোপাধ্যায় করে। বিজেপি করে না।"
তাঁর আরও কথা, "পরশু থেকেই গোটা রাজ্যে লোডশেডিং শুরু হয়েছে ৷ এর কারণ হচ্ছে দেউলিয়া সরকার। রাত যত অন্ধকার হবে আলো তাড়াতাড়ি আসবে। আমি দক্ষিণ কাঁথিতে দাঁড়ালে 50 হাজার ভোটে জিততাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর আনন্দ আছে। বিরোধীদের এজেন্ডা দুর্নীতি এবং পরিবারবাদ। আর বিজেপি বিকাশবাদের কথা বলে।"
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের 'এক দেশ এক ভোট' কমিটি থেকে সরে দাঁড়ালেন অধীর চৌধুরী