নয়াদিল্লি, 7 নভেম্বর: কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতির স্বামী বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছেন ৷ এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন আবেদনকারী প্রৌঢ়া এবং তাঁর মেয়ে ৷ সোমবার ফৌজদারি মামলার তদন্তভার সিআইডির হাতেই রাখল শীর্ষ আদালত ৷ এর সঙ্গে রাজ্য সরকারকেও মুখবন্ধ খামে এই তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সম্পত্তিগত বিবাদ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছে বলে জানা গিয়েছে ৷ মামলার পরবর্তী শুনানি ডিসেম্বরে ৷ এর মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে শীর্ষ আদালতে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে ৷
64 বছর বয়সি ওই আবেদনকারী প্রৌঢ়া এবং তাঁর কন্যা সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেন, কলকাতা হাইকোর্টের এক বিচারপতি এবং তাঁর আইনজীবী স্বামী ফৌজদারি মামলায় নাক গলানোর চেষ্টা করছেন ৷ তাঁরা তাঁদের পদমর্যাদার অপব্যবহার করে 2টি ফৌজদারি মামলার বিচারে প্রভাব খাটাচ্ছেন ৷ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে আবেদনকারীরা তাঁদের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন ৷
সোমবার এই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চ সিআইডিকে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ৷ রাজ্য তদন্তকারী সংস্থা যেন কোনওভাবে কোনও চাপের কাছে মাথা নত না-করে ৷ এমন কোনও ঘটনা ঘটলে তাও যেন শীর্ষ আদালতে জানায় সিআইডি, নির্দেশ দেশের সর্বোচ্চ আদালতের ৷
ওই প্রৌঢ়ার দাবি, তাঁর বাবার মৃত্যুর পর সম্পত্তির একটি অংশ তিনি পেয়েছেন ৷ তবে প্রৌঢ়ার দাদা তাঁকে ওই সম্পত্তির ভাগ দিতে চাইছেন না ৷ দাদা এবং তাঁর পরিবার প্রৌঢ়াকে হেনস্থা করছে ৷ এমনকী বিভিন্ন সময়ে প্রৌঢ়াকে এবং তাঁর মেয়েকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হচ্ছে ৷ তাঁদের মারধর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ ৷ এই দৃশ্যের ফুটেজ সিসিটিভি ক্যামেরায় রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রৌঢ়া ৷ এই অবস্থায় আত্মীয়দের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছেন প্রৌঢ়া ৷
তাঁদের অভিযোগ, আত্মীয়দের আইনজীবী চেষ্টা করেন, ঠিকঠাক পথে তদন্ত যেন না-হয় ৷ তাই তদন্তকারী সংস্থার উপর প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন তিনি ৷ এমনকী বিচারপতিও সিআইডি-কে ফৌজদারি মামলার তদন্ত বন্ধ করার নির্দেশ দেন ৷ তিনি জানান, এই মামলাটি পারবারিক অশান্তি, ফৌজদারি নয় ৷
আরও পড়ুন: গত 2 মাসে 3688 শুনানির মুলতুবির আর্জি আইনজীবীদের, তারিখ পে তারিখ চান না সিজেআই
