ETV Bharat / state

যৌন হেনস্থার অভিযোগের দ্রুত হিয়ারিংয়ের দাবিতে অবস্থান প্রেসিডেন্সিতে

যৌন হেনস্থার অভিযোগের ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ জানাতে হবে । এই দাবি নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগকারিনীসহ প্রায় 15 পড়ুয়া ।

অবস্থান বিক্ষোভ
author img

By

Published : Jun 6, 2019, 12:44 AM IST

কলকাতা, 6 জুন : অবিলম্বে যৌন হেনস্থার অভিযোগের ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ জানাতে হবে । এই দাবিতে গতকাল বিকেল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগকারিণী সহ প্রায় ১৫ পড়ুয়া ।

চলতি বছরের মে'র প্রথমদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ ছিল 16 মে । কিন্তু হিয়ারিংয়ের আগের দিন মেইল করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানানো হয়, ওই দিনের হিয়ারিং স্থগিত রাখা হয়েছে । তারপর থেকে হিয়ারিংয়ের আর কোনও তারিখ দেয়নি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারই প্রতিবাদে গতকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ুয়ারা ।

অভিযোগকারিণী বলেন, "কালকে বিকেল থেকে আমরা অবস্থানে বসেছি। আমাদের ১৬ মে একটা হিয়ারিংয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছিল । ১৫ তারিখ রাতে সেই হিয়ারিংটা বাতিলের কথা জানানো হয় । প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কমিটি এগেনস্ট সেক্সয়াল হ্যারাসমেন্ট (PUCASH)-র তরফে বলা হয়, আমরা মাঝে যে অবস্থান করেছিলাম তার জন্য কমিটির সদস্যরা সেফ ফিল করছেন না। তার জন্য হিয়ারিং বাতিল করে দেয় । ১৬ তারিখ আমরা আসি। সেখানে আবার দাবি রাখি, যত দ্রুত সম্ভব যেন হিয়ারিংয়ের তারিখ জানানো হয় । তখন কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি । বলেছিল, দেখছি । কমিটির সদস্যরা এখনও সেফ ফিল করছেন না ।"

ওই ছাত্রী আরও বলেন, "তারপরই শুরু হয়ে যায় পরীক্ষা। পরীক্ষার পরে গতকাল আবার ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতির কাছে যাওয়া হয় । তিনিও বলেন,সদস্যরা এখনও নাকি সেফ ফিল করছেন না । এখনও কিছু জানাননি । তখন আমরা ডিন স্যারকে বলি, আমাদের সাথে এরকম করলে তো হবে না । আপনি হিয়ারিংয়ের তারিখ দিন । তিন মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় । সেখানে একমাস কেটে গেছে । এখনও পর্যন্ত কিছুই শুরু হয়নি । এই জুনে আমার স্টুডেন্টশিপও শেষ হয়ে যাবে । তখন উনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসবেন । আমরা ওনার কথামতো বসে ছিলাম। কিন্তু, উনি কথা না বলেই বেরিয়ে যান । ঘরে তালা দিয়ে ওনার স্টাফরাও বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই আমরা অবস্থানে বসি ডিন স্যারের ঘরে সামনে । আজকেও সারাদিনে কোনও রেসপন্স পাইনি । আর বাইরে থেকেও যাঁরা সমর্থন জানাতে আসতে চাইছিলেন তাঁদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না ।"

যত দ্রুত সম্ভব অন্তত হিয়ারিংয়ের একটা তারিখ দিতে হবে । না দিলে অবস্থান চলবে বলে জানাচ্ছেন ওই ছাত্রী। তাঁর বক্তব্য, "আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব যতক্ষণ না আমাদের কোনও ডেট দেন । বা কবে থেকে শুরু হবে প্রক্রিয়া, কতদিন লাগবে এইসব জানানো হয় । আমরা তো বলছি না, যে অভিযুক্ত তাঁকে এক্ষুনি বার করে দিন বা ওই রকম পদক্ষেপ করুন । আমরা তো বলছি একটা হিয়ারিং করুন । এটা তো করতেই হবে । এটা না করে তো কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যাবে না । আমরা সেটারই একটা তারিখ চাইছি । সেটাও ওনারা করতে প্রস্তুত নয় । সেটা যতক্ষণ না দেবে আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব ।"

কলকাতা, 6 জুন : অবিলম্বে যৌন হেনস্থার অভিযোগের ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ জানাতে হবে । এই দাবিতে গতকাল বিকেল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগকারিণী সহ প্রায় ১৫ পড়ুয়া ।

চলতি বছরের মে'র প্রথমদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে । সেই ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ ছিল 16 মে । কিন্তু হিয়ারিংয়ের আগের দিন মেইল করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানানো হয়, ওই দিনের হিয়ারিং স্থগিত রাখা হয়েছে । তারপর থেকে হিয়ারিংয়ের আর কোনও তারিখ দেয়নি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ । তারই প্রতিবাদে গতকাল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ুয়ারা ।

অভিযোগকারিণী বলেন, "কালকে বিকেল থেকে আমরা অবস্থানে বসেছি। আমাদের ১৬ মে একটা হিয়ারিংয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছিল । ১৫ তারিখ রাতে সেই হিয়ারিংটা বাতিলের কথা জানানো হয় । প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি কমিটি এগেনস্ট সেক্সয়াল হ্যারাসমেন্ট (PUCASH)-র তরফে বলা হয়, আমরা মাঝে যে অবস্থান করেছিলাম তার জন্য কমিটির সদস্যরা সেফ ফিল করছেন না। তার জন্য হিয়ারিং বাতিল করে দেয় । ১৬ তারিখ আমরা আসি। সেখানে আবার দাবি রাখি, যত দ্রুত সম্ভব যেন হিয়ারিংয়ের তারিখ জানানো হয় । তখন কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি । বলেছিল, দেখছি । কমিটির সদস্যরা এখনও সেফ ফিল করছেন না ।"

ওই ছাত্রী আরও বলেন, "তারপরই শুরু হয়ে যায় পরীক্ষা। পরীক্ষার পরে গতকাল আবার ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুণ কুমার মাইতির কাছে যাওয়া হয় । তিনিও বলেন,সদস্যরা এখনও নাকি সেফ ফিল করছেন না । এখনও কিছু জানাননি । তখন আমরা ডিন স্যারকে বলি, আমাদের সাথে এরকম করলে তো হবে না । আপনি হিয়ারিংয়ের তারিখ দিন । তিন মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হয় । সেখানে একমাস কেটে গেছে । এখনও পর্যন্ত কিছুই শুরু হয়নি । এই জুনে আমার স্টুডেন্টশিপও শেষ হয়ে যাবে । তখন উনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসবেন । আমরা ওনার কথামতো বসে ছিলাম। কিন্তু, উনি কথা না বলেই বেরিয়ে যান । ঘরে তালা দিয়ে ওনার স্টাফরাও বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই আমরা অবস্থানে বসি ডিন স্যারের ঘরে সামনে । আজকেও সারাদিনে কোনও রেসপন্স পাইনি । আর বাইরে থেকেও যাঁরা সমর্থন জানাতে আসতে চাইছিলেন তাঁদেরও ঢুকতে দিচ্ছে না ।"

যত দ্রুত সম্ভব অন্তত হিয়ারিংয়ের একটা তারিখ দিতে হবে । না দিলে অবস্থান চলবে বলে জানাচ্ছেন ওই ছাত্রী। তাঁর বক্তব্য, "আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব যতক্ষণ না আমাদের কোনও ডেট দেন । বা কবে থেকে শুরু হবে প্রক্রিয়া, কতদিন লাগবে এইসব জানানো হয় । আমরা তো বলছি না, যে অভিযুক্ত তাঁকে এক্ষুনি বার করে দিন বা ওই রকম পদক্ষেপ করুন । আমরা তো বলছি একটা হিয়ারিং করুন । এটা তো করতেই হবে । এটা না করে তো কোনও সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যাবে না । আমরা সেটারই একটা তারিখ চাইছি । সেটাও ওনারা করতে প্রস্তুত নয় । সেটা যতক্ষণ না দেবে আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব ।"

Intro:কলকাতা, ৫ জুন: চলতি বছর মে মাসের প্রথমদিকে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন প্রেসিডেন্সিরই এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় হিয়ারিংয়ের তারিখ ছিল গত 16 মে। কিন্তু হিয়ারিংয়ের আগের দিন ই-মেইল করে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে জানানো হয় যে, ওই দিনের হিয়ারিং স্থগিত রাখা হয়েছে। তারপর থেকে হিয়ারিংয়ের আর কোনো ডেট দেয়নি প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবিলম্বে হিয়ারিংয়ের তারিখ জানাতে হবে এই দাবিতে গতকাল বিকেল থেকে অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন অভিযোগকারী ছাত্রী সহ প্রায় ১৫ জন পড়ুয়া।Body:অভিযোগকারী ছাত্রী বলেন, "কালকে বিকেল থেকে আমরা অবস্থানে বসেছি। আমাদের ১৬ মে একটা হিয়ারিংয়ের তারিখ দেওয়া হয়েছিল। ১৫ তারিখ রাতে সেই হিয়ারিংটা ক্যানসেল করে দেয়। বলে, আমরা মাঝে যে অবস্থান করেছিলাম তার জন্য PUCASH-এর সদস্যরা সেফ ফিল করছেন না। তার জন্য ওরা হিয়ারিং ক্যানসেল করে দেয়। ১৬ তারিখ আমরা আসি। সেখানে আবার দাবি রাখি, যত দ্রুত সম্ভব যেন হিয়ারিং ডেট জানানো হয়। তখন কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। বলেছিল দেখছি, কমিটির সদস্যরা এখনও সেফ ফিল করছেন না।"

ওই ছাত্রী জানাচ্ছেন, তারপরেই শুরু হয়ে যায় পরীক্ষা। পরীক্ষার পরে গতকাল আবার ডিন অফ স্টুডেন্টস অরুন কুমার মাইতির কাছে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, "কালকে আমার পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। কালকে আমরা আবার যায়। সেখানে বলে এখনও নাকি সেফ ফিল করছে না লোকজন। এখনও কিছু জানায়নি। তখন আমরা ডিন স্যারকে আমাদের সাথে এরকম করলে তো হবে না। আপনি হিয়ারিংয়ের তারিখ দিন। তিন মাসের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে হয়, সেখানে ১ মাস কেটে গেছে, এখনও অব্দি কিছুই শুরু হয়নি। এই জুন মাসে আমার স্টুডেন্টশীপও শেষ হয়ে যাবে। তখন উনি বলেন, আমাদের সঙ্গে কথা বলতে আসবেন। আমরা ওনার কথামতো বসে ছিলাম। কিন্তু, উনি কথা না বলেই বেরিয়ে যান। ঘরে তালা দিয়ে ওনার স্টাফেরাও বেরিয়ে যান। তারপর থেকেই আমরা অবস্থানে বসে ডিন স্যারের ঘরে। আজকেও সারাদিনে কোনো রেসপন্স পাইনি। আর বাইরে থেকেও যাঁরা সমর্থন জানাতে আসতে চাইছিল তাঁদেরকেও ঢুকতে দিচ্ছে না।"

যত দ্রুত সম্ভব অন্তত হিয়ারিংয়ের একটা তারিখ দিতে হবে। না দিলে অবস্থান চলবে বলে জানাচ্ছেন ওই ছাত্রী। তাঁর বক্তব্য, "আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব না যতক্ষণ না আমাদের কোনও ডেট দেন। বা কবে থেকে শুরু হবে প্রক্রিয়া, কতদিন লাগবে। আমরা তো বলছি না যে, যে অভিযুক্ত তাঁকে এক্ষুনি বার করে দিন বা ওই রকম স্টেপ নিন। আমরা তো পাতি বলছি একটা হিয়ারিং করুন। এটা তো করতেই হবে। এটা না করে তো কোনো সিদ্ধান্তেই পৌঁছানো যাবে না। আমরা সেটারই একটা ডেট চাইছি। সেটাও ওনারা করতে প্রস্তুত না। তো সেটা যতক্ষণ না দেবে আমরা অবস্থান চালিয়ে যাব।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.