কলকাতা, 8 জুন: ব্রেন টিউমার নাম শুনলেই ভয় পেয়ে যান বহু মানুষ । তবে টিউমার দু'রকমের হয় । কারোর ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার করলেই এই রোগ থেকে সুস্থ হয়ে থাকা যায় । আবার কারোর ক্ষেত্রেও প্রয়োজন হয় রেডিয়েশন বা কেমো । তবে কেন এই রোগ বাসা বাঁধে মানুষের মস্তিষ্কে ? চিকিৎসকদের মতে এর জন্য দায়ী অতিরিক্ত চাপ ।
বর্তমানে এই 'চাপ' শব্দটি মানুষের মুখে মুখে । জীবন হোক বা অফিসের কাজ, অতিরিক্ত চাপ এর জেরে নাজেহাল বর্তমান প্রজন্ম । কিন্তু এই অতিরিক্ত চিন্তা বা স্ট্রেস থেকেই হতে পারে ব্রেন টিউমার । চিকিৎসকের মতে, স্ট্রেস বা কোনও ট্রমা থেকে ব্রেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায় । বিশিষ্ট নিউরোলজিস্ট চিকিৎসক নদী চৌধুরি বলেন,"স্ট্রেস দুই ধরণের হয়, একটি হল ফিজিক্যাল ট্রমা আরেকটা হল ক্রনিক সাইকো সোশ্যাল স্ট্রেস । এই দুটো ধরণের স্ট্রেসের ফলেই আমাদের শরীরে ইমিউনিটি কমে যায় । তখন আমাদের শরীরের মধ্যে সেলস মলিকিউল বলে কিছু জিনিস থাকে তার সমস্যা হয় । এর থেকেই টিউমার তৈরি হয় ।"
তবে এর সঙ্গে আরও একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ইলেকট্রনিকের ব্যবহার । ইদিনিং মোবাইল, ওয়াইফাই ও ল্যাপটপের ব্যবহার সব থেকে বেশি । কাজ, পড়াশোনা-সর্বত্রই ইলেকট্রনিকের ব্যবহার লক্ষ করা যায় । এই বিষয়ে বিশিষ্ট নিউরো সার্জেন্ট চিকিৎসক নীরূপ দত্ত বলেন, "করোনার পর ব্রেন টিউমারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি চোখে পড়ছে ।" তার কারণ হিসাবে অনুমান মানুষ এখন অনেকাই যন্ত্র নির্ভর হয়ে গিয়েছে । চিকিৎসকের কথায়, "ইলেকট্রনিকের গ্যাজেট থেকে ব্রেন টিউমার হয় । কারণ এর বহু সমীক্ষা হলেও একটা পরে সেটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তবে মোবাইলের থেকেও ওয়াইফাই বেশি বিপজ্জনক টিউমারের ক্ষেত্রে।"
আরও পড়ুন: ব্রেন টিউমার মানেই কিন্তু মৃত্যু নয় ! বার্তা চিকিৎসকের
কিন্তু এই অসুখ থেকে বিরত থাকতে হলে অবশ্যই স্ট্রেস মুক্তির বিভিন্ন জিনিস ও শারীরিক পরিশ্রমের মধ্যে থাকতে হবে । তবে যদি কখনও দেখা যায় শরীরে ব্যালেন্সের অভাব হচ্ছে বা চোখে কম দেখছেন তাহলে অবশ্যই যথাযথ সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন । এরসঙ্গে এই বিষয়ে নিয়ে আরও বেশি সতর্ক ও সচেতনতা বাড়াতে হবে বলেই মন করছেন চিকিৎসকরা ।