ETV Bharat / state

Adenovirus in Kolkata: অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলায় রাজ্যের পরিকাঠামো যথেষ্ঠ নেই, অভিযোগ বিজেপির

author img

By

Published : Mar 3, 2023, 10:48 PM IST

রাজ্য অ্যাডিনো ভাইরাস ত্রাসের সৃষ্টি করে (Adenovirus Situation in Kolkata)৷ এই ভাইরাসে আক্রান্ত প্রতিদিনই শিশুমত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসছে ৷ ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে সাংবাদিক সন্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার কথা বলেছেন ৷ সচেতন থাকতে বলেছেন ৷

Adenovirus in Kolkata
বিসি রায় হাসপাতালে ডেপুটেশন জমা চিকিৎসকদের

কলকাতা, 3 মার্চ: শহরের বিসি রায় হাসপাতালে প্রতিদিনই শিশুমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে (Deputation On Adenovirus) । আজ বিসি রায় হাসপাতালে একবছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতার বিসি রায় সরকারি হাসপাতালে 4 জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । জানা গিয়েছে, যে বৃহস্পতিবার হাওড়া হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে বিসি রায় হাসপাতালে পাঠানো হয় । এখানে ভর্তি করা হলে আজ সকাল 11টা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়েছে । মসলন্দপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল শিশুটিকে।

এই ইস্যুতেই আজ বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলার পক্ষ থেকে বি সি রায় হাসপাতালে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে । বঙ্গ বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার পক্ষ থেকে নেতা তথা উত্তর কলকাতা জেলার বিজেপি সভাপতি তমগ্ন ঘোষ, ডক্টর অর্চনা মজুমদার এবং কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং মিনা দেবী পুরোহিত-সহ আরও অন্যান্যরা এদিন হাসপাতালে গিয়ে সুপারের সঙ্গে দেখা করেন । বেশ কিছুক্ষন বিসি রায় হাসপাতালের সুপার দিলীপ রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা । বিসি রায় হাসপাতালের সামনে বিজেপির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানো হয় ।

এই প্রসঙ্গেই পৌরপিতা সজল ঘোষ বলেন, "আমরা সুপারকে অভিনন্দন জানাতে চাই ৷ তাঁরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মাথা ঠান্ডা করে লড়াই চালাচ্ছেন । কিন্তু যে হারে শিশু মৃত্যু হচ্ছে তাতে এই একটা দুটো হাসপাতালে সামাল দেওয়া সম্ভব নয় । সরকার পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি । অন্যান্য সবকিছুর মতো সরকার এখানেও ব্যর্থ । আমরা হাসপাতালের পাশে আছি এবং থাকব । কোনও রকম প্রয়োজন হলে আমরা হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আমরা ।"
পাশাপাশি চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার বলেন, "যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে সরকারি হাসপাতালের চেয়ারে বসে সব সত্যি কথা বলছেন বলে আমি মনে করি না । তবে এখানে যে বাচ্চা মারা যাচ্ছে সেটা ওনারা মেনে নিয়েছেন । নাইসেডে কিছু পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে যেটা যথেষ্ট নয় । 500 বেড থাকা সত্বেও বহু বহু রোগী ভর্তি হচ্ছে । বেড যথেষ্ট নয় । সরকার পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি । তাই আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যে কেন্দ্র সরকারের যে পরিকাঠামো রয়েছে বা ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলিকে অন্তত ব্যবহার করতে । আমরা সব ভাবে হাসপাতাল ও রোগীদের পাশে থাকতে প্রস্তুত।"
আরও পড়ুন : করোনার মতো এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্যও প্রশিক্ষণের ভাবনা রাজ্যের

অন্য দিকে আজ মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় এদিন । মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, " যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস ও অন্যান্য ভাইরাল ফিভার মহামারী মোকাবিলা করতে ও লোকবল বৃদ্ধি-সহ সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিতে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে ।"

বিগত দুই মাস যাবত ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে । অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে । বিগত কয়েকদিনে প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও শিশু হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো জনিত চূড়ান্ত অব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে । বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ারে একই বেডে দুইজনের বেশি শিশুকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে । সেখানে আইসিইউ-তে অধিকাংশ রোগীকে ভেন্টিলেশন, বাইপ্যাপ অথবা হাই কনসেনট্রেশন অক্সিজেন মাস্ক দিতে হচ্ছে । সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের পোর্ট পর্যন্ত খারাপ । এহেন চূড়ান্ত অব্যবস্থা একটি টার্সিয়ারি শিশু হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে, যাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।

কলকাতা, 3 মার্চ: শহরের বিসি রায় হাসপাতালে প্রতিদিনই শিশুমৃত্যুর ঘটনা সামনে আসছে (Deputation On Adenovirus) । আজ বিসি রায় হাসপাতালে একবছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে । 24 ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই কলকাতার বিসি রায় সরকারি হাসপাতালে 4 জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে । জানা গিয়েছে, যে বৃহস্পতিবার হাওড়া হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে বিসি রায় হাসপাতালে পাঠানো হয় । এখানে ভর্তি করা হলে আজ সকাল 11টা নাগাদ শিশুটির মৃত্যু হয়েছে । মসলন্দপুর থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল শিশুটিকে।

এই ইস্যুতেই আজ বিজেপির উত্তর কলকাতার জেলার পক্ষ থেকে বি সি রায় হাসপাতালে ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয়েছে । বঙ্গ বিজেপির উত্তর কলকাতা জেলার পক্ষ থেকে নেতা তথা উত্তর কলকাতা জেলার বিজেপি সভাপতি তমগ্ন ঘোষ, ডক্টর অর্চনা মজুমদার এবং কাউন্সিলর সজল ঘোষ এবং মিনা দেবী পুরোহিত-সহ আরও অন্যান্যরা এদিন হাসপাতালে গিয়ে সুপারের সঙ্গে দেখা করেন । বেশ কিছুক্ষন বিসি রায় হাসপাতালের সুপার দিলীপ রায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন তাঁরা । বিসি রায় হাসপাতালের সামনে বিজেপির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দেখানো হয় ।

এই প্রসঙ্গেই পৌরপিতা সজল ঘোষ বলেন, "আমরা সুপারকে অভিনন্দন জানাতে চাই ৷ তাঁরা এই প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও মাথা ঠান্ডা করে লড়াই চালাচ্ছেন । কিন্তু যে হারে শিশু মৃত্যু হচ্ছে তাতে এই একটা দুটো হাসপাতালে সামাল দেওয়া সম্ভব নয় । সরকার পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি । অন্যান্য সবকিছুর মতো সরকার এখানেও ব্যর্থ । আমরা হাসপাতালের পাশে আছি এবং থাকব । কোনও রকম প্রয়োজন হলে আমরা হাসপাতাল ও চিকিৎসকদের সাহায্য করতে প্রস্তুত আমরা ।"
পাশাপাশি চিকিৎসক অর্চনা মজুমদার বলেন, "যে অবস্থা দাঁড়িয়েছে তাতে সরকারি হাসপাতালের চেয়ারে বসে সব সত্যি কথা বলছেন বলে আমি মনে করি না । তবে এখানে যে বাচ্চা মারা যাচ্ছে সেটা ওনারা মেনে নিয়েছেন । নাইসেডে কিছু পরীক্ষা করতে পাঠানো হচ্ছে যেটা যথেষ্ট নয় । 500 বেড থাকা সত্বেও বহু বহু রোগী ভর্তি হচ্ছে । বেড যথেষ্ট নয় । সরকার পরিকাঠামো তৈরি করতে পারেনি । তাই আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলেছি, যে কেন্দ্র সরকারের যে পরিকাঠামো রয়েছে বা ব্যবস্থা রয়েছে সেগুলিকে অন্তত ব্যবহার করতে । আমরা সব ভাবে হাসপাতাল ও রোগীদের পাশে থাকতে প্রস্তুত।"
আরও পড়ুন : করোনার মতো এবার অ্যাডিনো ভাইরাস মোকাবিলার জন্যও প্রশিক্ষণের ভাবনা রাজ্যের

অন্য দিকে আজ মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টার এর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে একটি ডেপুটেশন জমা দেওয়া হয় এদিন । মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের রাজ্য সম্পাদক চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, " যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শিশুদের মধ্যে অ্যাডিনো ভাইরাস ও অন্যান্য ভাইরাল ফিভার মহামারী মোকাবিলা করতে ও লোকবল বৃদ্ধি-সহ সার্বিক পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিতে মেডিক্যাল সার্ভিস সেন্টারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য ভবনে স্বাস্থ্য অধিকর্তাকে ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে ।"

বিগত দুই মাস যাবত ভাইরাল জ্বরের প্রাদুর্ভাব বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে পরিলক্ষিত হচ্ছে । অনেক শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে । বিগত কয়েকদিনে প্রবল শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে বেশ কিছু শিশুর মৃত্যু হয়েছে । সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও শিশু হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো জনিত চূড়ান্ত অব্যবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে । বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতালে ক্রিটিকাল কেয়ারে একই বেডে দুইজনের বেশি শিশুকে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে । সেখানে আইসিইউ-তে অধিকাংশ রোগীকে ভেন্টিলেশন, বাইপ্যাপ অথবা হাই কনসেনট্রেশন অক্সিজেন মাস্ক দিতে হচ্ছে । সেখানেও অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অক্সিজেনের পোর্ট পর্যন্ত খারাপ । এহেন চূড়ান্ত অব্যবস্থা একটি টার্সিয়ারি শিশু হাসপাতালেও দেখা যাচ্ছে, যাকে ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.