ETV Bharat / state

"কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মানছে না রাজ্য, বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কা" - কোরোনা

কেন্দ্রীয় দূষণ পর্ষদের নির্দেশিকা মানছে না রাজ্য সরকার । যার জেরে কোরোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদরা । তাঁদের কথায়, এক্ষেত্রে বেশি সংক্রমণ ছড়াতে পারে স্বাস্থ্য কর্মী ও সাফাই কর্মীদের মধ্যে ।

corona
পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 9:23 AM IST

কলকাতা, 25 এপ্রিল : কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলছে না এ রাজ্য । যে কারণে কোরোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজ্যের পরিবেশ প্রযুক্তিবিদরা । কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত বর্জ‍্য পদার্থর বৈজ্ঞানিক নিষ্পত্তি ও তদারকির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনাল বলেছে, কোরোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামক রোগের মোকাবিলায় জৈবিক মেডিকেল বা বায়ো মেডিকেল ওয়েস্ট (বর্জ্য) পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে ফেলতে হবে । পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ জানাচ্ছেন, এমন না হলে বায়ো মেডিকেল ওয়েস্ট (বর্জ্য) থেকে এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে ।

কোরোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার পর যে বর্জ্য পদার্থ থাকছে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে । যে রাস্তা দিয়ে তা নিয়ে আসা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাস্তা এবং পরিবহনটিকেও সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে । এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও নির্দেশিকা এ রাজ্য মেনে চলছে না । তাঁর কথায়, "এক শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দিয়ে ট্রলি, ডাস্টবিন, নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য মাস্ক, যে সমস্ত হাসপাতালের কাউন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি, এককথায় সংশ্লিষ্ট রোগী যে সমস্ত জায়গা ব্যবহার করেছে সবকটি জায়গা স্যানিটাইজ় করতে হবে । এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে না । কোনও নজরদারি নেই । চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের মধ্যে যে দৈহিক দূরত্ব থাকার কথা তাও থাকছে না হাসপাতালের ওয়েটিং রুমগুলিতে । প্রত্যেকটি রাজ্যের হাসপাতাল প্রত্যেক মুহূর্তে যাবতীয় তথ্য দেবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে । এমনই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকায় ।"


হাসপাতালে সব রকম সুবিধা রয়েছে কি না, রোগীকে কোন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে, কতজন রোগী থাকছেন, কতজন স্টাফ তাঁর সঙ্গে থাকছেন, চিকিৎসক যাঁরা রোগীকে দেখেছেন তাঁদের সবিস্তার তথ্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দেওয়ার কথা হাসপাতালগুলির । দেখা যাচ্ছে এ রাজ্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে কোনও তথ্যই দিচ্ছে না । তাদের গাইডলাইনের তোয়াক্কা না করেই কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ নির্মূল করার চেষ্টা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে । এভাবে চিকিৎসক এবং নার্সরা আরও বেশি সংক্রমিত হবেন বলে জানিয়েছেন সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ।

কলকাতা, 25 এপ্রিল : কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলছে না এ রাজ্য । যে কারণে কোরোনা সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন রাজ্যের পরিবেশ প্রযুক্তিবিদরা । কোরোনা ভাইরাসের সঙ্গে যুক্ত বর্জ‍্য পদার্থর বৈজ্ঞানিক নিষ্পত্তি ও তদারকির নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । কেন্দ্রীয় ট্রাইবুনাল বলেছে, কোরোনা ভাইরাসের মতো সংক্রামক রোগের মোকাবিলায় জৈবিক মেডিকেল বা বায়ো মেডিকেল ওয়েস্ট (বর্জ্য) পুরোপুরিভাবে ধ্বংস করে ফেলতে হবে । পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ জানাচ্ছেন, এমন না হলে বায়ো মেডিকেল ওয়েস্ট (বর্জ্য) থেকে এই রোগের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে পারে ।

কোরোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসার পর যে বর্জ্য পদার্থ থাকছে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে । যে রাস্তা দিয়ে তা নিয়ে আসা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট রাস্তা এবং পরিবহনটিকেও সম্পূর্ণভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে । এমনই নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ক্ষোভের সঙ্গে জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কোনও নির্দেশিকা এ রাজ্য মেনে চলছে না । তাঁর কথায়, "এক শতাংশ সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড দিয়ে ট্রলি, ডাস্টবিন, নিয়মিত ব্যবহারযোগ্য মাস্ক, যে সমস্ত হাসপাতালের কাউন্টার ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলি, এককথায় সংশ্লিষ্ট রোগী যে সমস্ত জায়গা ব্যবহার করেছে সবকটি জায়গা স্যানিটাইজ় করতে হবে । এ রাজ্যে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকা মেনে চলা হচ্ছে না । কোনও নজরদারি নেই । চিকিৎসা করতে আসা রোগীদের মধ্যে যে দৈহিক দূরত্ব থাকার কথা তাও থাকছে না হাসপাতালের ওয়েটিং রুমগুলিতে । প্রত্যেকটি রাজ্যের হাসপাতাল প্রত্যেক মুহূর্তে যাবতীয় তথ্য দেবে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে । এমনই নির্দেশ দেওয়া রয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নির্দেশিকায় ।"


হাসপাতালে সব রকম সুবিধা রয়েছে কি না, রোগীকে কোন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে, কতজন রোগী থাকছেন, কতজন স্টাফ তাঁর সঙ্গে থাকছেন, চিকিৎসক যাঁরা রোগীকে দেখেছেন তাঁদের সবিস্তার তথ্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে দেওয়ার কথা হাসপাতালগুলির । দেখা যাচ্ছে এ রাজ্য কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে কোনও তথ্যই দিচ্ছে না । তাদের গাইডলাইনের তোয়াক্কা না করেই কোরোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংক্রমণ নির্মূল করার চেষ্টা চলছে বিভিন্ন হাসপাতালে । এভাবে চিকিৎসক এবং নার্সরা আরও বেশি সংক্রমিত হবেন বলে জানিয়েছেন সোমেন্দ্রমোহন ঘোষ ।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.