ETV Bharat / state

জয়শ্রীরাম বলায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে হরিণঘাটায় বদলির অভিযোগ - pralay dutta transfer

BJP-র কর্মসূচিতে যাওয়ার অভিযোগে প্রলয় দত্তকে বদলি করার অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে।

প্রলয় দত্ত
author img

By

Published : Jun 3, 2019, 11:43 PM IST

কলকাতা, 3 জুন : জয়শ্রীরাম বলা ও BJP-র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় রাতারাতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে কলেজ স্ট্রিট ক‍্যাম্পাস থেকে হরিণঘাটার ক‍্যাম্পাসে বদলির অভিযোগ উঠল।

অভিযোগকারী কর্মচারীর নাম প্রলয় দত্ত। সুরঞ্জন দাশ উপাচার্য থাকাকালীন সময় থেকে 6 বছরের উপর উপাচার্যের অফিসে কাজ করছেন।

প্রলয় দত্তর অভিযোগ, শুক্রবার ষষ্ঠ পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল BJP কর্মচারী সেল। সেখানে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে অফিসে ফেরার পরই তাঁর হাতে বদলির বিজ্ঞপ্তি ধরানো হয় বলে অভিযোগ । যদিও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলির নির্দেশিকাটি 29 মে-র।


প্রলয়বাবু বলেন, " BJP-র কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্যই আমাকে বদলি করা হয়েছে। আমার সঙ্গে আরও 6 জনকে বদলি করা হয়েছে । তাঁদের এই ঘর থেকে পাশের ঘরে বদলি করা হয়েছে । কিন্তু, আমাকে পাঠানো হয়োছে হরিণঘাটায় ।"

তিনি আরও বলেন, " আমি থাকি বেলঘরিয়ায়। আমার বাড়ি থেকে হরিণঘাটা যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। সেই কারণেই আমি আমার সংগঠনের লোকজনকে বললাম। আমার একটাই প্রার্থনা যে উপাচার্য এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন।"

প্রলয়বাবু জানাচ্ছেন, শুক্রবার BJP-র কর্মচারী সংগঠনের সদস্য হিসেবে সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। ওইদিনই বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষের পর তাঁর হাতে ধরানো হয় বদলির নির্দেশ। অথচ, ওই বদলির তালিকায় আরও 6 জনের মধ‍্যে 5 জনকে এক বিভাগ থেকে আর এক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। আর একজনকে সল্টলেকের ক‍্যাম্পাসে বদলি করা হয়েছে। তবে ওই কর্মচারীর বাড়ি সল্টলেকেই হওয়ায় তাঁর কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

তাঁর অভিযোগ, শুধু তাঁকেই বাড়ি থেকে অতদূরে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে কলেজ স্ট্রিটে উপাচার্যের অফিস থেকে বদলি করা হয়েছে হরিণঘাটার রেডিওফিজিক্স ও ইলেকট্রনিকস ক‍্যাম্পাসে। প্রলয়বাবুর বক্তব্য, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, " সেটাই হয়েছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই এটা করা হয়েছে। মোট 7 জনকে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে 6 জনকে এঘর থেকে ওঘর ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর আমাকেই এত দূরে বদলি করা হয়েছে। আমি উপাচার্যের ঘরে খুব সুন্দর কাজ করতাম। কোনও গাফিলতি ছিল না।"

বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে BJP-র কর্মচারী সেল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদও। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদের রাজ‍্য সভাপতি মন্মথ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, " এটা তো বোঝায় যাচ্ছে যে এটা কর্তৃপক্ষের একটা প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত । তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে উপাচার্যকে এই কারণে দোষারোপ করছি না যে, তাঁকে কোনও একটা মহল থেকে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমার এটা মনে হয় যে, এই সমস্যাটা মিটে যাবে। লিখিতভাবে আমরা জানিয়েছি এবং কিছু সময়ের মধ্যে আমরা ওনার সঙ্গে বসব। সেক্ষেত্রে এই ট্রান্সফারটা সম্ভবত বাতিল হবে।"

মন্মথবাবুর প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বদলি সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল 2012 সালে। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী বডি সিন্ডিকেটে বদলির নীতি তৈরির জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই বদলি করা হয়েছে?

মন্মথবাবু বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। শুধুই বিরোধী দলের কর্মচারী সংগঠনের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। আমরা আশা রাখছি এই মানসিকতা থেকে প্রশাসন সরে আসবেন। আমাদের সদস্যের ট্রান্সফার বাতিল করবেন এ বিশ্বাস আমাদের আছে। আর যদি তা না করেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।"

কলকাতা, 3 জুন : জয়শ্রীরাম বলা ও BJP-র কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করায় রাতারাতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে কলেজ স্ট্রিট ক‍্যাম্পাস থেকে হরিণঘাটার ক‍্যাম্পাসে বদলির অভিযোগ উঠল।

অভিযোগকারী কর্মচারীর নাম প্রলয় দত্ত। সুরঞ্জন দাশ উপাচার্য থাকাকালীন সময় থেকে 6 বছরের উপর উপাচার্যের অফিসে কাজ করছেন।

প্রলয় দত্তর অভিযোগ, শুক্রবার ষষ্ঠ পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল BJP কর্মচারী সেল। সেখানে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে অফিসে ফেরার পরই তাঁর হাতে বদলির বিজ্ঞপ্তি ধরানো হয় বলে অভিযোগ । যদিও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলির নির্দেশিকাটি 29 মে-র।


প্রলয়বাবু বলেন, " BJP-র কর্মসূচিতে যাওয়ার জন্যই আমাকে বদলি করা হয়েছে। আমার সঙ্গে আরও 6 জনকে বদলি করা হয়েছে । তাঁদের এই ঘর থেকে পাশের ঘরে বদলি করা হয়েছে । কিন্তু, আমাকে পাঠানো হয়োছে হরিণঘাটায় ।"

তিনি আরও বলেন, " আমি থাকি বেলঘরিয়ায়। আমার বাড়ি থেকে হরিণঘাটা যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। সেই কারণেই আমি আমার সংগঠনের লোকজনকে বললাম। আমার একটাই প্রার্থনা যে উপাচার্য এই সিদ্ধান্ত বিবেচনা করবেন।"

প্রলয়বাবু জানাচ্ছেন, শুক্রবার BJP-র কর্মচারী সংগঠনের সদস্য হিসেবে সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। ওইদিনই বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষের পর তাঁর হাতে ধরানো হয় বদলির নির্দেশ। অথচ, ওই বদলির তালিকায় আরও 6 জনের মধ‍্যে 5 জনকে এক বিভাগ থেকে আর এক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। আর একজনকে সল্টলেকের ক‍্যাম্পাসে বদলি করা হয়েছে। তবে ওই কর্মচারীর বাড়ি সল্টলেকেই হওয়ায় তাঁর কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।

তাঁর অভিযোগ, শুধু তাঁকেই বাড়ি থেকে অতদূরে বদলি করা হয়েছে। তাঁকে কলেজ স্ট্রিটে উপাচার্যের অফিস থেকে বদলি করা হয়েছে হরিণঘাটার রেডিওফিজিক্স ও ইলেকট্রনিকস ক‍্যাম্পাসে। প্রলয়বাবুর বক্তব্য, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই তাঁকে বদলি করা হয়েছে।

তিনি বলেন, " সেটাই হয়েছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই এটা করা হয়েছে। মোট 7 জনকে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে 6 জনকে এঘর থেকে ওঘর ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর আমাকেই এত দূরে বদলি করা হয়েছে। আমি উপাচার্যের ঘরে খুব সুন্দর কাজ করতাম। কোনও গাফিলতি ছিল না।"

বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে BJP-র কর্মচারী সেল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদও। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদের রাজ‍্য সভাপতি মন্মথ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, " এটা তো বোঝায় যাচ্ছে যে এটা কর্তৃপক্ষের একটা প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত । তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে উপাচার্যকে এই কারণে দোষারোপ করছি না যে, তাঁকে কোনও একটা মহল থেকে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলে আমার এটা মনে হয় যে, এই সমস্যাটা মিটে যাবে। লিখিতভাবে আমরা জানিয়েছি এবং কিছু সময়ের মধ্যে আমরা ওনার সঙ্গে বসব। সেক্ষেত্রে এই ট্রান্সফারটা সম্ভবত বাতিল হবে।"

মন্মথবাবুর প্রশ্ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বদলি সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল 2012 সালে। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী বডি সিন্ডিকেটে বদলির নীতি তৈরির জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই বদলি করা হয়েছে?

মন্মথবাবু বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। শুধুই বিরোধী দলের কর্মচারী সংগঠনের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। আমরা আশা রাখছি এই মানসিকতা থেকে প্রশাসন সরে আসবেন। আমাদের সদস্যের ট্রান্সফার বাতিল করবেন এ বিশ্বাস আমাদের আছে। আর যদি তা না করেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলার অবনতির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।"

Intro:কলকাতা, 2 জুন: জয় শ্রী রাম বলা ও বিজেপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার অভিযোগে রাতারাতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মচারীকে কলেজ স্ট্রিট ক‍্যাম্পাস থেকে হরিনঘাটার ক‍্যাম্পাসে বদলির অভিযোগ উঠল। অভিযোগকারী কর্মচারীর নাম প্রলয় দত্ত। তিনি সুরঞ্জন দাশ উপাচার্য থাকাকালিন সময় থেকে 6 বছরের উপর উপাচার্যের অফিসে কাজ করছেন। প্রলয় দত্তের অভিযোগ, গত শুক্রবার ষষ্ঠ পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রতিবাদে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেছিল বিজেপি কর্মচারী সেল। সেখানে তিনিও অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ শেষে অফিসে ফেরার পরই তার হাতে বদলির বিজ্ঞপ্তি ধরানো হয় বলে অভিযোগ তাঁর। যদিও, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদলির নির্দেশিকাটি গত 29 মে-র।


Body:বিজেপির কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করার কারণে কী আপনাকে বদলি করা হলো বলে মনে করছেন? প্রলয়বাবু বলেন, "হ‍্যাঁ তাই। আমি ওই একই বলব। কেন না আসলে কী হয়েছে তা আমাকে এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি। আমার সঙ্গে আরও যে 6 জনকে বদলি করা হয়েছে তাঁদেরকে এই ঘর থেকে পাশের ঘরে বদলি করা হয়েছে। কিন্তু, আমাকে পাঠিয়েছে একদম হরিনঘাটায়। আমি থাকি বেলঘরিয়ায়। ওখানে আমার বাড়ির থেকে যেতে সাড়ে তিন ঘন্টা সময় লাগে। সেই কারণেই আমি আমার সংগঠনের লোকজনকে বললাম। আমার ম‍্যামের কাছে একটাই প্রার্থনা যে ম‍্যাম এটি বিবেচনা করে যাতে এই ক‍্যাম্পাসেরই কোনও ডিপার্টমেন্টে যদি থাকতে দেন। সেটা ম‍্যামের কাছে আশা আছে, সেটা ম‍্যাম করবেন। ম‍্যামকে কেউ কিছু ভুলভ্রান্ত বুঝিয়েছে। ম‍্যাম সেটাই শুনেছেন। "

প্রলয়বাবু জানাচ্ছেন, গত শুক্রবার বিজেপির কর্মচারী সংগঠনের সদস্য হিসেবে সংগঠনের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে যোগ দেন তিনি। ওইদিনই বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষের পর তাঁর হাতে ধরানো হয় বদলির নির্দেশ। অথচ, ওই বদলির তালিকায় আরও 6 জনের মধ‍্যে 5 জনকে এক বিভাগ থেকে আর এক বিভাগে বদলি করা হয়েছে। আর একজনকে সল্টলেকের ক‍্যাম্পাসে বদলি করা হলেও।ওই কর্মচারীর বাড়ি সল্টলেকেই হওয়ায় তা কোনও অসুবিধার কারণ নয়। অভিযোগ, শুধু তাঁকেই বাড়ি থেকে অতদূরে বদলি করা হয়েছে। প্রলয় দত্তকে কলেজ স্ট্রিটে উপাচার্যের অফিস থেকে বদলি করা হয়েছে হরিনঘাটার রেডিওফিজিক্স ও ইলেকট্রনিকস ক‍্যাম্পাসে। প্রলয়বাবুর বক্তব্য, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই তাকে বদলি করা হয়েছে। তিনি বলেন, " সেটাই হয়েছে। রাজনৈতিক অভিসন্ধিতেই এটা করা হয়েছে। মোট 7 জনকে বদলি করা হয়েছে। তার মধ্যে 6 জনকে এঘর থেকে ওঘর ট্রান্সফার করা হয়েছে। আর আমাকেই এত দূরে বদলি করা হয়েছে। আমি ভিসি ম‍্যামের খুব সুন্দর কাজ করতাম। কোনও গাফিলতি ছিল না।"

বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছে বিজেপির কর্মচারী সেল ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদও। ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটিস কর্মচারী পরিষদের রাজ‍্য সভাপতি মন্মথ রঞ্জন বিশ্বাস বলেন, " এটা তো বোঝায় যাচ্ছে যে এটা একটা প্রতিহিংসাপরায়ণ সিদ্ধান্ত কর্তৃপক্ষের। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে মাননীয়া উপাচার্যকে এই কারণে দোষারোপ করছি না যে, তাকে কোন একটা মহল থেকে প্রভাবিত করা হয়েছে এবং তার সঙ্গে কথা বলে আমার এটা মনে হয় যে, এই সমস্যাটা মিটে যাবে। লিখিতভাবে আমরা জানিয়েছি এবং কিছু সময়ের মধ্যে আমরা ওনার সঙ্গে বসব। সেক্ষেত্রে এই ট্রান্সফারটা সম্ভবত বাতিল হবে।" মন্মথবাবুর বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বদলি সংক্রান্ত আইন তৈরি হয়েছিল 2012 সালে। বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণকারী বডি সিন্ডিকেটে বদলির নীতি তৈরির জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি কোনও রিপোর্ট জমা করেনি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এই বদলি করা হয়েছে?

মন্মথবাবু বলেন, " বিশ্ববিদ্যালয়ের যেটা চলছে প্রচলিত নিয়ম সেই সব কিছুর তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। শুধুই একটা বিরোধী দলের কর্মচারী সংগঠনের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। তাই আমরা আশা রাখছি এই মানসিকতা থেকে প্রশাসন নেমে আসবেন। আমাদের সদস্যের ট্রান্সফার বাতিল করবেন এ বিশ্বাস আমাদের আছে। আর যদি আমাদের গ্রহণযোগ্য যুক্তিকে অবজ্ঞা করেন, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন শৃঙ্খলা অন্য কোনও পরিস্থিতির অবনতি হয় তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।"





Conclusion:যদিও জয় শ্রী রাম বলার কারণেই বদলির অভিযোগ মেনে নেননি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এটা রেগুলার বদলি হয়েছে। আমাদের চাকরির একটা প্রি-কন্ডিশন হল বদলি। আমাদের একজন কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর বাড়ির দূরত্ব যেখানে বদলি করা হয়েছিল সেখান থেকে বেশি বলে আমাদের কাছে আবেদন করে তাহলে আমরা রি-কনসিডার করব। আমরা কখনো কর্মচারীর অসুবিধা করতে চাই না। এর সঙ্গে জয় শ্রী রামের কোন সম্পর্ক নেই। বস্তুত ছেলেটি যে জয় শ্রী রাম করে সেটা আমি জানতাম না। একটা জায়গা থেকে গ্রুপ ডি কর্মী চাইছিল। তাই দিয়েছিলাম। কারণ, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গেই কাজ করে। কর্মচারী, শিক্ষক, অ-শিক্ষক সবাই মিলেই কাজ করাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ‍্য বলে আমার মনে হয়। ফলে, এর সঙ্গে জয় শ্রী রামকে যারা গুলিয়ে ফেলছেন এটা ঠিক করছেন না।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.