কলকাতা, 6 জানুয়ারি: "লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করেই বাঁচতে চাই।" এই স্লোগানকেই মেনে যেন জীবনের প্রতিটা দিন অতিবাহিত করেন হালিশহরের বিশেষভাবে সক্ষম রবি দাস। জ্যোতিবাবুর ব্রিগেড থেকে এবার মীনাক্ষীদের ব্রিগেড, সব ব্রিগেডেই হাজির থেকেছেন তিনি। সুদূর হালিশহর থেকে হুইল চেয়ারে প্রতিবার হাজির হন ময়দানে। এবারেও সেই ধারা বজায় রেখেছেন। বছর 60 হলেও এবার যেন নিজের যৌবনকে ফিরে দেখার ব্রিগেড তাঁর কাছে।
তাই 24 ঘণ্টা আগেই সমাবেশস্থলে হাজির তিনি। হুইলচেয়ার লাল পতাকায় মোড়া। সরু লাঠিতে লাগানো বিরাট লাল পতাকা। গায়ে লাল জামা।
বাবা, মা এবং বোনকে নিয়ে তাঁর সংসার। কয়েক বছর আগে বোনের বিয়ে দিয়েছেন। হুইল চেয়ারে ঘুরেই তিনি লটারি বিক্রি করেন। লড়াই যেন রক্তে। চরম আর্থিক কষ্টেও কোনও প্রলোভনে পা দেননি। বদলায়নি পতাকার রং। আজও লাল ঝান্ডার প্রতি সমান ভালোবাসা। তার টানেই বারে বারে ছুটে যাওয়া নানা মিছিল-মিটিং। আর সেই অপরাধে শাসকদলের হাতে কম হেনস্তার হয়রানি হতে হয়নি। তবু নাছোড় মনোভাব।
সম্প্রতি গুরুতর অসুস্থ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। তাঁকে দেখতে হুইল চেয়ার নিয়ে ছুটে এসেছিলেন হাসপাতালে। বাইরে থেকেই উৎসুক হয়ে খোঁজ নিয়েছিলেন রবি দাস। আর তারপরেই শাসকদলের হাতে হয়রানি হতে হয়েছিল তাঁকে। তাঁর হুইল চেয়ারের চাকার হাওয়া খুলে দেওয়া হয়। তবু বিন্দুমাত্র নিজের অবস্থান থেকে সরেননি রবি দাস। সব বাধা পেরিয়ে ফের এবার যৌবনের ডাকে জনগণের ব্রিগেডে হাজির তিনি। তাঁর কথায়, নিজের যৌবনকে কাল ফিরে দেখার দিন। ফের মীনাক্ষীদের হাত ধরে রাজ্যে আসবে লাল ঢেউ। উড়বে লাল পতাকা।
আরও পড়ুন: