কলকাতা, 17 এপ্রিল : শুধু খাদ্যসচিবকে সরিয়ে দিলে স্বচ্ছ রেশন ব্যবস্থা চালু হবে, এই ধারণা ভুল ৷ রেশন ব্যবস্থায় যথাযথ নজরদারি চালাতে হবে ৷ তবেই কিছুটা হলেও স্বচ্ছতা আসবে গণবণ্টন ব্যবস্থায় ৷ আজ এই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র ৷ তবে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, খাদ্যসচিবকে সরিয়ে দিয়ে বার্তা দেওয়া হল, যাতে রাজ্যের সবক'টি দপ্তরের কাজে স্বচ্ছতা আসে ৷
সোমেন মিত্র বলেন, "সরকারের নির্দেশের বিরোধী নয় রাজ্যের কেউ । রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার যে নির্দেশ দেবে তা যথাযথভাবে পালন করবে রাজ্যের মানুষ । কিন্তু রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে এ রাজ্যে এবং দেশে সরাসরিভাবে কোনও কাজ হচ্ছে না । সরকারি নির্দেশ বলবৎ থাকলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে না সর্বত্র । খাদ্যসচিবকে মুখ্যমন্ত্রী সরিয়ে দিয়েছেন । বহুবার প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছিল, রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার জন্য । মুখ্যমন্ত্রী পরে হলেও গুরুত্ব দিয়েছেন বিরোধীদের অভিযোগের । মুখ্যমন্ত্রী বাধ্য হয়ে খাদ্যসচিবকে সরিয়েছেন । তবে খাদ্যসচিবকে সরালেই সমস্যার সমাধান হবে না । রেশন ব্যবস্থার উপর কড়া নজরদারি চালাতে হবে ।"
তিনি আরও বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে রেশন ডিলাররা কালোবাজারি করে আসছেন । স্বভাব খারাপ হয়ে গিয়েছে তাঁদের । মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ নিচের তলা অবধি পৌঁছাচ্ছে না । গ্রামের মানুষ এখনও রেশন পাচ্ছে না । সরকারের নির্দেশের সঙ্গে বণ্টন করা খাদ্যসামগ্রীর পরিমাণ মিলছে না । খাদ্যদ্রব্য নেই বলা হচ্ছে । নজরদারি আরও বাড়াতে হবে । একা মুখ্যমন্ত্রী সব করতে পারবেন না । কারণ তিনি তো সব্যসাচী নন । সব দেখবেন মাইনে করা সরকারি কর্মচারীরা ।"
কোরোনায় মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে তথ্য গোপনের অভিযোগ আগেই উঠেছে । তা নিয়ে সোমেনবাবু বলেন, তথ্য গোপন করার কী আছে? আসল ঘটনা চেপে যাওয়ার কী আছে? মুখ্যমন্ত্রী তো এই ঘটনার জন্য দায়ি নন । তথ্য গোপন করে কী লাভ? আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা বাড়লে তার জন্য দায়ি মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন না । কিট কম তাই পরীক্ষা হচ্ছে না । সকলকে এগিয়ে আসতে হবে রাজ্য সরকারের পাশে । সমস্ত রকম বিরোধিতা ভুলে রাজ্য সরকারকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি ।