ETV Bharat / state

মাস্ক না ব্যবহারে শাস্তি-সহ একাধিক ব্যবস্থার দাবি চিকিৎসক সংগঠনের - করোনার দ্বিতীয় ঢেউ

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র প্রকট হয়ে পড়ছে । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম।

corona second wave
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে চিকিৎসকদের দাবি
author img

By

Published : Apr 21, 2021, 11:11 AM IST

Updated : Apr 21, 2021, 12:30 PM IST

কলকাতা, 21 এপ্রিল : এ রাজ্যেও হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্য সরকার তৎপর বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে করোনার মোকাবিলা করতে রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করল চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম ।

দেশের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা । সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে । হাসপাতালের বেডের পাশাপাশি অক্সিজেনের সংকট-ও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র প্রকট হয়ে পড়ছে । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিকিৎসকদের এই সংগঠনের ওই দাবিগুলি হল:

(1) যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধের জন্য মাস্কের ব্যবহারই সব চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য, তাই পাবলিক প্লেসে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করুক প্রশাসন । মাস্ক ব্যবহার না করলে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক‌ ।

(2) করোনার ভ্যাকসিন রোগ-সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে না পারলেও এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগের তীব্রতা কমে, হাসপাতালে এবং আইসিইউ-তে ভর্তির প্রয়োজন কমে, মৃত্যু বহুল পরিমাণে কমে, এ সব ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে । সব প্রাপ্তবয়স্কের (18 বছরের বেশি বয়সি) জন্য নিঃশুল্ক টিকার ব্যবস্থা করতে হবে ।

(3) শুধুমাত্র কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল করে করোনার এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয় । এর জন্য মহকুমা স্তরের হাসপাতাল এবং তার উপরের স্তরের সব হাসপাতালে কোভিড উইং চালু করতে হবে । অক্সিজেন, বেডের অভাবে যেন কোনও মৃত্যু না হয় ।

(4) করোনা নির্ণয়ের জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট সব চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য হলেও তা সময় সাপেক্ষ বিষয় । তুলনায় ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে অনেক কম সময় লাগে । অথচ অল্প কিছু সংখ্যক সরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট হচ্ছে । দ্রুত রোগ নির্ণয়, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব করার জন্য সব কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে এই টেস্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

(5) গত বছর করোনার ফার্স্ট ওয়েভ-এ সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা । অথচ প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি না পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের 50 লাখ টাকা, না পেয়েছে রাজ্য সরকারের 10 লাখ টাকা । করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে চিকিৎসার জন্য অনেকেরই নিজেদের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে । সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য বেড নিশ্চিত করা হোক । যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, করোনায় আক্রান্ত হলে সেই প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসার জন্য সব খরচ বহন করতে হবে ।

আরও পড়ুন : টিকা নিয়েও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু

কলকাতা, 21 এপ্রিল : এ রাজ্যেও হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । এদিকে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে রাজ্য সরকার তৎপর বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে করোনার মোকাবিলা করতে রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করল চিকিৎসকদের একটি সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম ।

দেশের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হু হু করে বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা । সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে । হাসপাতালের বেডের পাশাপাশি অক্সিজেনের সংকট-ও দেখা দিয়েছে বিভিন্ন স্থানে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বাস্তব চিত্র প্রকট হয়ে পড়ছে । এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি পেশ করল ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম। চিকিৎসকদের এই সংগঠনের ওই দাবিগুলি হল:

(1) যেহেতু এখনও পর্যন্ত করোনা প্রতিরোধের জন্য মাস্কের ব্যবহারই সব চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য, তাই পাবলিক প্লেসে মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করুক প্রশাসন । মাস্ক ব্যবহার না করলে শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক‌ ।

(2) করোনার ভ্যাকসিন রোগ-সংক্রমণ পুরোপুরি আটকাতে না পারলেও এই ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে রোগের তীব্রতা কমে, হাসপাতালে এবং আইসিইউ-তে ভর্তির প্রয়োজন কমে, মৃত্যু বহুল পরিমাণে কমে, এ সব ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে । সব প্রাপ্তবয়স্কের (18 বছরের বেশি বয়সি) জন্য নিঃশুল্ক টিকার ব্যবস্থা করতে হবে ।

(3) শুধুমাত্র কয়েকটি মেডিকেল কলেজকে কোভিড হাসপাতাল করে করোনার এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব নয় । এর জন্য মহকুমা স্তরের হাসপাতাল এবং তার উপরের স্তরের সব হাসপাতালে কোভিড উইং চালু করতে হবে । অক্সিজেন, বেডের অভাবে যেন কোনও মৃত্যু না হয় ।

(4) করোনা নির্ণয়ের জন্য আরটি-পিসিআর পদ্ধতিতে টেস্ট সব চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য হলেও তা সময় সাপেক্ষ বিষয় । তুলনায় ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে অনেক কম সময় লাগে । অথচ অল্প কিছু সংখ্যক সরকারি হাসপাতালে এই টেস্ট হচ্ছে । দ্রুত রোগ নির্ণয়, দ্রুত আইসোলেশন এবং দ্রুত চিকিৎসা সম্ভব করার জন্য সব কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্রে এই টেস্টের ব্যবস্থা রাখতে হবে ।

(5) গত বছর করোনার ফার্স্ট ওয়েভ-এ সব চেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রথম সারির কোভিড যোদ্ধারা । অথচ প্রতিশ্রুতি মতো ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলি না পেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের 50 লাখ টাকা, না পেয়েছে রাজ্য সরকারের 10 লাখ টাকা । করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে চিকিৎসার জন্য অনেকেরই নিজেদের অর্থ ব্যয় করতে হয়েছে । সরকারি-বেসরকারি সব স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাকর্মী এবং তাঁদের পরিবারের জন্য বেড নিশ্চিত করা হোক । যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, করোনায় আক্রান্ত হলে সেই প্রতিষ্ঠানকে চিকিৎসার জন্য সব খরচ বহন করতে হবে ।

আরও পড়ুন : টিকা নিয়েও করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে প্রথম চিকিৎসকের মৃত্যু

Last Updated : Apr 21, 2021, 12:30 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.