কলকাতা, 4 অগস্ট: দুর্নীতি বিরোধী বা অ্যান্টি কোরাপশন সেল খোলার পর পরই আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রাজভবনে । বেশ কয়েকটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ জমা পড়েছে । যা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি । কোনওভাবেই আর্থিক দুর্নীতি মেনে নেওয়া হবে না বলেই স্পষ্ট জানিয়েছেন রাজ্যপাল ।
বর্তমানে ওমপ্রকাশ মিশ্র বনাম রাজভবনের ছবি সামনে আসে । তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল আর্থিক তছরূপের । প্রাক্তন অধ্যাপকের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজভবন । তবে এবার শুধু প্রাক্তন উপাচার্য নয়, বেশ কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও এলো এই তদন্তের আওতায় । এর ফলে যে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের পুনর্নবীকরণ আপাতত স্থগিত আছে বলেই রাজভবন সূত্রে খবর । তবে কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে এই আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে সে বিষয়ে স্পষ্ট জানানো হয়নি ।
উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে বহুদিন একটা দূরত্ব দেখা যাচ্ছিল রাজভবনের । একাধিকবার শিক্ষামন্ত্রী অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদেরকে না জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ করছেন রাজভবন । এমনকি রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিষয়টাও এখন আটকে রয়েছে রাজভবনের বলে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন । পরবর্তীকালে যখন অ্যান্টি কোরাপশন সেল খোলা হল রাজভবনের পক্ষ থেকে তখনও তা নিয়ে সরব হয়েছিল রাজ্যের শাসকশিবির ।
ওমপ্রকাশ মিশ্রের বিরুদ্ধে যে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলেছিল রাজ্যপাল, তার জল বহুদূর গড়ায় । যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি ওমপ্রকাশ মিশ্র । এমনকি নিজের সম্মান নষ্ট করা হয়েছে রাজ্যপালকে আইনি চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি । ক্ষমা চাইতে হবে রাজ্যপালকে, নয়তো মামলার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্রাক্তন উপাচার্য । আইনজীবী মারফত রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে মানহানির চিঠি পাঠান তিনি । আইনজীবী শ্রাবণী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে একটি চিঠি পাঠানো হয় । তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্যরা ।
আরও পড়ুন: মমতার অনুপ্রেরণায় রাজভবনে দুর্নীতি বিরোধী সেল, ঘোষণা রাজ্যপালের