কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: শুধু ইংরেজিতেই হয় স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট। এ বার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ইংরেজির সঙ্গে বাংলাতেও প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলায় প্রশ্নপত্র করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানিয়েছেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পরিদর্শনে আসতে পারে ইউজিসির প্রতিনিধি দল । তখনই প্রতিনিধি দলের কাছে এই আবেদন জানানো হবে।
প্রতি বছর বিভিন্ন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষা স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট পরিচালনা করে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অধ্যাপক পদের যোগ্যতামানের পাশাপাশি জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের জন্যও এই পরীক্ষা দিয়ে থাকেন পরীক্ষার্থীরা । মোট 30টি বিষয়ে শেষবার সেট পরীক্ষা হয়েছিল 2020 সালে। কয়েকদিন আগেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানিয়েছিলেন, সেট-এ আরও তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউজিসির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এবার বাংলা ভাষাতেও প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানানো হবে কমিশনের তরফে।
প্রতি তিন বছর অন্তর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে সেট পরীক্ষা পরিচালনার জন্য অনুমোদন নিতে হয় রাজ্যকে। তার জন্য রাজ্যে ইউজিসি-র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে। সেই অনুমোদনের জন্য 2020 সালেই কমিশনের তরফে আবেদন করা হলেও কোরোনা আবহে পরিদর্শনে আসতে পারেনি তারা । ফলে এখনও পর্যন্ত নতুন সেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেনি কলেজ সার্ভিস কমিশন । চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে । আর তখনই বাংলাতে প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানানো হবে । তবে বিজ্ঞানের কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে বাংলায় প্রশ্নপত্র করা হবে না । বিজ্ঞান বাদে কলা শাখার বিষয়গুলির জন্যই এই আবেদন করা হবে।
দীর্ঘদিনের আবেদন । তা নিয়ে এতদিন পর পদক্ষেপ করার পিছনে কিছু সংশয় ছিল বলে জানিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক । তিনি বলেন, "এটা তো স্নাতকোত্তর স্তরের পরের পরীক্ষা । আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি বিভিন্ন রাজ্যেও ইংরেজিতেই প্রশ্নপত্র হয় । NET-এ তো ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষাতে হয়ই না । SET-এ কোনও কোনও জায়গায় হয় তাও আর্টসের বিষয়গুলিতে । আমাদের কাছে কয়েক মাস আগে একটা আবেদন আসে । তখন আমরা খোঁজখবর নিই। এটা উচ্চশিক্ষা বলে আমি সমীক্ষা করে দেখেছি স্নাতকোত্তরে বাংলায় কোনও প্রশ্ন হয় না।"
আবার বাংলায় প্রশ্নপত্র করতে গেলে গোপনীয়তা ভঙ্গের আশঙ্কাও রয়েছে । দীপক করের বক্তব্য, "ইউজিসি-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, আমাদের বোর্ড অফ পেপার সেটারদের মধ্যে তিন শতাংশের এক শতাংশকে রাজ্যের বাইরের হতে হবে । তিনি কী করে বাংলায় প্রশ্ন করবেন ? তাহলে তিনি যে প্রশ্ন করবেন সেটা আবার বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। বাংলায় যখনই প্রশ্ন করব তখনই আর একজন প্রশ্ন জেনে যাবেন। পরীক্ষা ব্যবস্থায় কম মানুষের প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা একটা প্রধান শর্ত।"
তা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে বাংলায় প্রশ্নপত্র করার আবেদন রাখতে চলেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। দীপকবাবু বলেন, "একটা শ্রেণির ছাত্র রয়েছে, কিছু কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়ে রয়েছে তাঁরা মেধাবী । কিন্তু হয়তো বাংলায় স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিয়েছে, তাই ইংরেজিতে প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এই সবকিছু মাথায় রেখে এবার ইউজিসি যখন পরিদর্শনে আসবে, তাঁদের কাছে আমরা আবেদন রাখব যে আমরা অন্তত বিজ্ঞানের ছাড়া অন্য বিষয়গুলিতে যেন বাংলায় প্রশ্ন করতে পারি। আমি এ বছর 21 ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগেই যাতে এটা হয় বা ওই দিনটাকে কেন্দ্র করেই এগোনোর চেষ্টা করছি। মাতৃভাষা দিবসে এটা কলেজ সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী পরীক্ষাগুলোতে যাতে বাংলায় প্রশ্নপত্র হয় আমরা তার জন্য UGC-র কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তবে, সব বিষয়ে নয়।"
বাংলায় হোক সেট-এর প্রশ্নপত্র, ইউজিসি-তে দরবার কলেজ সার্ভিস কমিশনের
এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ইংরেজির সঙ্গে বাংলাতেও স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্টের প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে পরিদর্শনে আসতে পারে ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল।
কলকাতা, 21 ফেব্রুয়ারি: শুধু ইংরেজিতেই হয় স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট। এ বার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে ইংরেজির সঙ্গে বাংলাতেও প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানাতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ সার্ভিস কমিশন। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলায় প্রশ্নপত্র করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন পরীক্ষার্থীদের একাংশ। কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানিয়েছেন, চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে পরিদর্শনে আসতে পারে ইউজিসির প্রতিনিধি দল । তখনই প্রতিনিধি দলের কাছে এই আবেদন জানানো হবে।
প্রতি বছর বিভিন্ন সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত কলেজে সহকারী অধ্যাপক পদের যোগ্যতা নির্ধারণের পরীক্ষা স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট পরিচালনা করে পশ্চিমবঙ্গ পাবলিক সার্ভিস কমিশন। অধ্যাপক পদের যোগ্যতামানের পাশাপাশি জুনিয়র রিসার্চ ফেলোশিপের জন্যও এই পরীক্ষা দিয়ে থাকেন পরীক্ষার্থীরা । মোট 30টি বিষয়ে শেষবার সেট পরীক্ষা হয়েছিল 2020 সালে। কয়েকদিন আগেই কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক কর জানিয়েছিলেন, সেট-এ আরও তিনটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ইউজিসির কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। এবার বাংলা ভাষাতেও প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানানো হবে কমিশনের তরফে।
প্রতি তিন বছর অন্তর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের থেকে সেট পরীক্ষা পরিচালনার জন্য অনুমোদন নিতে হয় রাজ্যকে। তার জন্য রাজ্যে ইউজিসি-র তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল আসে। সেই অনুমোদনের জন্য 2020 সালেই কমিশনের তরফে আবেদন করা হলেও কোরোনা আবহে পরিদর্শনে আসতে পারেনি তারা । ফলে এখনও পর্যন্ত নতুন সেট পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারেনি কলেজ সার্ভিস কমিশন । চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতেই ইউজিসি-র প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে । আর তখনই বাংলাতে প্রশ্নপত্র করার আবেদন জানানো হবে । তবে বিজ্ঞানের কোনও বিষয়ের ক্ষেত্রে বাংলায় প্রশ্নপত্র করা হবে না । বিজ্ঞান বাদে কলা শাখার বিষয়গুলির জন্যই এই আবেদন করা হবে।
দীর্ঘদিনের আবেদন । তা নিয়ে এতদিন পর পদক্ষেপ করার পিছনে কিছু সংশয় ছিল বলে জানিয়েছেন কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান দীপক । তিনি বলেন, "এটা তো স্নাতকোত্তর স্তরের পরের পরীক্ষা । আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি বিভিন্ন রাজ্যেও ইংরেজিতেই প্রশ্নপত্র হয় । NET-এ তো ইংরেজি ছাড়া অন্য কোনও ভাষাতে হয়ই না । SET-এ কোনও কোনও জায়গায় হয় তাও আর্টসের বিষয়গুলিতে । আমাদের কাছে কয়েক মাস আগে একটা আবেদন আসে । তখন আমরা খোঁজখবর নিই। এটা উচ্চশিক্ষা বলে আমি সমীক্ষা করে দেখেছি স্নাতকোত্তরে বাংলায় কোনও প্রশ্ন হয় না।"
আবার বাংলায় প্রশ্নপত্র করতে গেলে গোপনীয়তা ভঙ্গের আশঙ্কাও রয়েছে । দীপক করের বক্তব্য, "ইউজিসি-র নির্দেশিকা অনুযায়ী, আমাদের বোর্ড অফ পেপার সেটারদের মধ্যে তিন শতাংশের এক শতাংশকে রাজ্যের বাইরের হতে হবে । তিনি কী করে বাংলায় প্রশ্ন করবেন ? তাহলে তিনি যে প্রশ্ন করবেন সেটা আবার বাংলায় অনুবাদ করতে হবে। বাংলায় যখনই প্রশ্ন করব তখনই আর একজন প্রশ্ন জেনে যাবেন। পরীক্ষা ব্যবস্থায় কম মানুষের প্রশ্নের সঙ্গে যুক্ত থাকাটা একটা প্রধান শর্ত।"
তা সত্ত্বেও পরীক্ষার্থীদের স্বার্থে বাংলায় প্রশ্নপত্র করার আবেদন রাখতে চলেছে কলেজ সার্ভিস কমিশন। দীপকবাবু বলেন, "একটা শ্রেণির ছাত্র রয়েছে, কিছু কিছু প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেমেয়ে রয়েছে তাঁরা মেধাবী । কিন্তু হয়তো বাংলায় স্নাতকোত্তরের পরীক্ষা দিয়েছে, তাই ইংরেজিতে প্রশ্ন বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এই সবকিছু মাথায় রেখে এবার ইউজিসি যখন পরিদর্শনে আসবে, তাঁদের কাছে আমরা আবেদন রাখব যে আমরা অন্তত বিজ্ঞানের ছাড়া অন্য বিষয়গুলিতে যেন বাংলায় প্রশ্ন করতে পারি। আমি এ বছর 21 ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আগেই যাতে এটা হয় বা ওই দিনটাকে কেন্দ্র করেই এগোনোর চেষ্টা করছি। মাতৃভাষা দিবসে এটা কলেজ সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে আগামী পরীক্ষাগুলোতে যাতে বাংলায় প্রশ্নপত্র হয় আমরা তার জন্য UGC-র কাছে আবেদন জানাচ্ছি। তবে, সব বিষয়ে নয়।"