ETV Bharat / state

Durga Puja 2023: কুমোরটুলিতে সীসাযুক্ত রঙে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা, পরিবেশ বিজ্ঞানীদের নিশানায় দূষণ পর্ষদ

সীসার ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা । আর এই সীসামিশ্রিত রঙেই তৈরি হচ্ছে প্রতিমা ৷ যা বিসর্জনের পর ভয়ঙ্কর মাত্রায় জলদূষণ ঘটাচ্ছে ৷ কিন্তু এই নিয়ে মৃৎশিল্পীরা কতটা ওয়াকিবহাল ? কী বলছেন তাঁরা এই বিষয়ে ?

Etv Bharat
সীসাযুক্ত রঙে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 21, 2023, 4:05 PM IST

Updated : Sep 22, 2023, 5:29 PM IST

কুমোরটুলিতে সীসাযুক্ত রঙে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা

কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: ঠিক একমাস পরেই আজকের দিনে মহাসপ্তমী । ফলে হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি । এখন গোটা কুমোরটুলিজুড়ে দম ফেলার ফুরসত নেই শিল্পীদের। প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততায় নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন মৃৎশিল্পীরা ৷ তবে এবারও চোখে পড়ল প্রতিমার উপর সীসাযুক্ত রঙের দেদার ব্যবহারের ছবি । এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ৷ তাঁদের দাবি, এই রং ব্যবহার বন্ধে দূষণ পর্ষদকে উদ্যোগী হতে হবে ৷ শিল্পীদের কথায়, "শুধু সেমিনার করে হাত গুটিয়ে নিলে হবে না । দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতার সঙ্গেই আর্থিক সাহায্য করতে হবে । তবেই বদলাতে পারে এই ছবি ।"

পরিবেশে সীসার ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা । মানবদেহের জন্য যা ভীষণ ক্ষতিকারক ৷ দুর্গাপুজো বা অন্য যে কোনও পুজোতে প্রতিমা তৈরি হয় এই সীসাযুক্ত রঙে । আর সেই প্রতিমা গঙ্গায় ভাসানোর জেরে ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে জল । যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী । যেমন, জলজ উদ্ভিদ থেকে মাছের মৃত্যু ঘটে তেমনই মাটিরও প্রভূত ক্ষতি করে সীসা । পাশাপশি সেই জল ব্যবহারে মানবদেহে চর্মরোগ, জিন গত সমস্যা, ক্যানসার-সহ একাধিক রোগ হয়ে থাকে । তাই এই সীসাযুক্ত রং ব্যবহারে লাগাম টানতে উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার । বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । কিন্তু তাতেও বছরের পর বছর এই ছবির পরিবর্তন করতে পারেনি পর্ষদ । প্রতিবার প্রচার, পোস্টার ব্যানার এমনকি মৌখিকভাবে এই রং ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হলেও কোথাও যেন একটা উদাসীনতা রয়েই গিয়েছে । আর একটা সেমিনারে দায় শেষ ।

কিন্তু ক্ষতিকারক জেনেও কেন ব্যবহার করা হয় এই রং ? বিকল্প জৈব রং ব্যবহারে কী অসুবিধা ?

এই বিষয়ে কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সমিতির কর্মকর্তা বাবু পাল বলেন, "প্রতি বছর একটা করে সেমিনার হয় মাত্র । আমাদের এই রং ব্যবহারে নির্দিষ্ট করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে । আমরা কয়েক প্রজন্ম ধরে এই রং ব্যয়ভার করে অভ্যস্ত । এই রঙে একটা প্রতিমা করতে খরচ হয় 500 টাকা । সেখানে জৈব রঙের খরচ 3 হাজার টাকা । এই খরচে ভর্তুকি দিতে হবে । তবেই সীসামুক্ত রং ব্যবহার হতে পারে । তবে যে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তা বা ক্রেতারা বলেন জৈব রং দিয়ে ঠাকুর তৈরি করতে সেই রঙেই তাদের প্রতিমা তৈরি করে দেওয়া হয় ৷ এর জন্য বাড়তি টাকা যা লাগে তা তাঁরাই দেন ৷"

এই বিষয় বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী তপন সাহা বলেন, সীসা মানুষের দেহে খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । স্নায়ুতন্ত্র, বন্ধ্যাত্ব, জিন ঘটিত রোগ-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে ৷ শুধু তাই নয়, জলে থাকা মাছ ও উদ্ভিদের ক্ষতি করে । এই রং ব্যবহার রাতারাতি বন্ধ করা না গেলেও গুরুত্ব দিয়ে পর্ষদকে দেখতে হবে কীভাবে এই রং ব্যবহার বন্ধ করা যায় । দরকারে জৈব রং কিনতে আর্থিক সাহায্য করতে হবে ।"

আরও পড়ুন : পুজোর মরশুমে মাটির সমস্যায় জেরবার কুমোরটুলি, চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

কুমোরটুলিতে সীসাযুক্ত রঙে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা

কলকাতা, 21 সেপ্টেম্বর: ঠিক একমাস পরেই আজকের দিনে মহাসপ্তমী । ফলে হাতে গোনা আর কয়েকদিন বাকি । এখন গোটা কুমোরটুলিজুড়ে দম ফেলার ফুরসত নেই শিল্পীদের। প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততায় নাওয়া খাওয়া ভুলেছেন মৃৎশিল্পীরা ৷ তবে এবারও চোখে পড়ল প্রতিমার উপর সীসাযুক্ত রঙের দেদার ব্যবহারের ছবি । এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ৷ তাঁদের দাবি, এই রং ব্যবহার বন্ধে দূষণ পর্ষদকে উদ্যোগী হতে হবে ৷ শিল্পীদের কথায়, "শুধু সেমিনার করে হাত গুটিয়ে নিলে হবে না । দায়িত্ব নিয়ে সচেতনতার সঙ্গেই আর্থিক সাহায্য করতে হবে । তবেই বদলাতে পারে এই ছবি ।"

পরিবেশে সীসার ভয়ঙ্কর প্রভাব নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদরা । মানবদেহের জন্য যা ভীষণ ক্ষতিকারক ৷ দুর্গাপুজো বা অন্য যে কোনও পুজোতে প্রতিমা তৈরি হয় এই সীসাযুক্ত রঙে । আর সেই প্রতিমা গঙ্গায় ভাসানোর জেরে ব্যাপকভাবে দূষিত হচ্ছে জল । যার প্রভাব সুদূরপ্রসারী । যেমন, জলজ উদ্ভিদ থেকে মাছের মৃত্যু ঘটে তেমনই মাটিরও প্রভূত ক্ষতি করে সীসা । পাশাপশি সেই জল ব্যবহারে মানবদেহে চর্মরোগ, জিন গত সমস্যা, ক্যানসার-সহ একাধিক রোগ হয়ে থাকে । তাই এই সীসাযুক্ত রং ব্যবহারে লাগাম টানতে উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার । বাস্তবায়নে দায়িত্ব নেয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ । কিন্তু তাতেও বছরের পর বছর এই ছবির পরিবর্তন করতে পারেনি পর্ষদ । প্রতিবার প্রচার, পোস্টার ব্যানার এমনকি মৌখিকভাবে এই রং ব্যবহার বন্ধ করার কথা বলা হলেও কোথাও যেন একটা উদাসীনতা রয়েই গিয়েছে । আর একটা সেমিনারে দায় শেষ ।

কিন্তু ক্ষতিকারক জেনেও কেন ব্যবহার করা হয় এই রং ? বিকল্প জৈব রং ব্যবহারে কী অসুবিধা ?

এই বিষয়ে কুমোরটুলি মৃৎশিল্পী সমিতির কর্মকর্তা বাবু পাল বলেন, "প্রতি বছর একটা করে সেমিনার হয় মাত্র । আমাদের এই রং ব্যবহারে নির্দিষ্ট করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে । আমরা কয়েক প্রজন্ম ধরে এই রং ব্যয়ভার করে অভ্যস্ত । এই রঙে একটা প্রতিমা করতে খরচ হয় 500 টাকা । সেখানে জৈব রঙের খরচ 3 হাজার টাকা । এই খরচে ভর্তুকি দিতে হবে । তবেই সীসামুক্ত রং ব্যবহার হতে পারে । তবে যে সমস্ত পুজো উদ্যোক্তা বা ক্রেতারা বলেন জৈব রং দিয়ে ঠাকুর তৈরি করতে সেই রঙেই তাদের প্রতিমা তৈরি করে দেওয়া হয় ৷ এর জন্য বাড়তি টাকা যা লাগে তা তাঁরাই দেন ৷"

এই বিষয় বিশিষ্ট পরিবেশ বিজ্ঞানী তপন সাহা বলেন, সীসা মানুষের দেহে খুব ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে । স্নায়ুতন্ত্র, বন্ধ্যাত্ব, জিন ঘটিত রোগ-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দিতে পারে ৷ শুধু তাই নয়, জলে থাকা মাছ ও উদ্ভিদের ক্ষতি করে । এই রং ব্যবহার রাতারাতি বন্ধ করা না গেলেও গুরুত্ব দিয়ে পর্ষদকে দেখতে হবে কীভাবে এই রং ব্যবহার বন্ধ করা যায় । দরকারে জৈব রং কিনতে আর্থিক সাহায্য করতে হবে ।"

আরও পড়ুন : পুজোর মরশুমে মাটির সমস্যায় জেরবার কুমোরটুলি, চিন্তায় মৃৎশিল্পীরা

Last Updated : Sep 22, 2023, 5:29 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.