ETV Bharat / state

কোরোনা আবহে আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিংয়ের বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা কমিশনের - বিকল্প পদ্ধতি

বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাইকোর্ট কাউন্সেলিং শুরু করার অনুমতি দিলে কীভাবে তা করা যায় সেই নিয়ে একাধিক ভাবনাচিন্তা করছে কমিশন ।

school service comission
আপার প্রাইমারির কাউন্সেলিং
author img

By

Published : Aug 12, 2020, 5:13 AM IST

কলকাতা, 12 অগাস্ট : বহু আইনি জটিলতায় বহুদিন ধরে থমকে রয়েছে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া । কোরোনা আবহে চলা লকডাউন ও তার পরবর্তী আনলক চলাকালীন সময়েও মামলার জট ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন । তার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই দুটি শুনানি হয়ে গেছে । স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইছে, দ্রুত মামলার জট কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ কাউন্সেলিং চালু করতে । কিন্তু, হাইকোর্টের অনুমতি পেলেও COVID-19 নিয়ে চলা পরিস্থিতিতে আগের মতো পদ্ধতিতে প্রার্থীদের কমিশনের কেন্দ্রীয় অফিসে ডেকে কাউন্সেলিং করানো সম্ভব নয় । তাই কাউন্সেলিং করানোর বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে একাধিক ভাবনাচিন্তা করছে কমিশন । স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, এই ভাবনাচিন্তায় যেমন অনলাইনের কথা ভাবা হচ্ছে, তেমনি আঞ্চলিক দপ্তরগুলিকে ব্যবহার করার কথাও ভাবা হচ্ছে । তবে, কোনও পদ্ধতি নিয়েই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে ।

2014 সাল থেকে চলছে আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া । বহু বছর সেই প্রক্রিয়া থমকে থাকার পর 2018 সালে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলেও তার প্রতিটি ধাপেই উঠেছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ । হাইকোর্টে হয়েছে ভুরি ভুরি মামলা । একাধিক দফার ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ, প্রতিটি ধাপেই হয় বহু মামলা । সেই মামলাগুলির ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট । তারপরে হাইকোর্টের নির্দেশে 2019 সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত মেধাতালিকা নিয়েও হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়ে । আবারও হয় মামলা । এই সকল আইনি জটিলতায় এখনও থমকে রয়েছে আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ।

দীর্ঘদিন ধরেই হাইকোর্টের মামলার নিষ্পত্তি করে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা । লকডাউন এর মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবিতে একাধিক আন্দোলন কর্মসূচি করেছিলেন তাঁরা । এই দাবি নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে হাইকোর্টে । অন্যদিকে, বসে ছিল না কমিশনও । স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফেও দ্রুত মামলার শুনানি চেয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের কাছে । শেষ পর্যন্ত আনলক চালুর পর দুটি শুনানি হয় আপার প্রাইমারি মামলার । কিন্তু, তারপরেও হয়নি মামলার নিষ্পত্তি । বহাল রয়েছে স্থগিতাদেশ । স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে চায়, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরবর্তী ধাপ কাউন্সেলিং চালু করতে । এই পরিস্থিতিতে আবারও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করার আবেদন জানানো হয়েছে ।

কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন ওঠে, হাইকোর্ট যদি কাউন্সেলিং চালু করার অনুমতি দেয় তাহলে কোরোনা আবহে তা কী করে সম্ভব হবে? স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, বর্তমানে COVID-19 নিয়ে চলা পরিস্থিতিতে জমায়েত করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । তাই আগের মতো প্রার্থীদের কমিশনের দপ্তরে একসঙ্গে ডেকে কাউন্সেলিং করানো সম্ভব নয় । তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাইকোর্ট কাউন্সেলিং শুরু করার অনুমতি দিলে কীভাবে তা করা যায় সেই নিয়ে একাধিক ভাবনাচিন্তা করছে কমিশন । জানা গেছে, একদিকে অনলাইন পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং করা যায় কিনা তা নিয়ে যেমন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, তার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে থাকা আঞ্চলিক দপ্তরগুলোকে ব্যবহার করেও কাউন্সেলিং করানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে কমিশন । তবে, কোনও পদ্ধতি নিয়েই এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি । জানা গেছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, "আমরা চাইছি হাইকোর্ট আমাদের কাউন্সেলিং শুরু করার অনুমতি দিক । তারপরে সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে এমনভাবে করার সিদ্ধান্ত নেব যাতে প্রার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয় । সেইভাবেই আমরা নীতি গ্রহণ করব ।"

কলকাতা, 12 অগাস্ট : বহু আইনি জটিলতায় বহুদিন ধরে থমকে রয়েছে আপার প্রাইমারি শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া । কোরোনা আবহে চলা লকডাউন ও তার পরবর্তী আনলক চলাকালীন সময়েও মামলার জট ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন । তার ফলস্বরূপ ইতিমধ্যেই দুটি শুনানি হয়ে গেছে । স্কুল সার্ভিস কমিশন চাইছে, দ্রুত মামলার জট কাটিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ার পরবর্তী ধাপ কাউন্সেলিং চালু করতে । কিন্তু, হাইকোর্টের অনুমতি পেলেও COVID-19 নিয়ে চলা পরিস্থিতিতে আগের মতো পদ্ধতিতে প্রার্থীদের কমিশনের কেন্দ্রীয় অফিসে ডেকে কাউন্সেলিং করানো সম্ভব নয় । তাই কাউন্সেলিং করানোর বিকল্প পদ্ধতি নিয়ে একাধিক ভাবনাচিন্তা করছে কমিশন । স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, এই ভাবনাচিন্তায় যেমন অনলাইনের কথা ভাবা হচ্ছে, তেমনি আঞ্চলিক দপ্তরগুলিকে ব্যবহার করার কথাও ভাবা হচ্ছে । তবে, কোনও পদ্ধতি নিয়েই এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানা গেছে ।

2014 সাল থেকে চলছে আপার প্রাইমারি স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া । বহু বছর সেই প্রক্রিয়া থমকে থাকার পর 2018 সালে পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হলেও তার প্রতিটি ধাপেই উঠেছে অস্বচ্ছতার অভিযোগ । হাইকোর্টে হয়েছে ভুরি ভুরি মামলা । একাধিক দফার ভেরিফিকেশন ও ইন্টারভিউ, প্রতিটি ধাপেই হয় বহু মামলা । সেই মামলাগুলির ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্ট । তারপরে হাইকোর্টের নির্দেশে 2019 সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত মেধাতালিকা নিয়েও হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়ে । আবারও হয় মামলা । এই সকল আইনি জটিলতায় এখনও থমকে রয়েছে আপার প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ।

দীর্ঘদিন ধরেই হাইকোর্টের মামলার নিষ্পত্তি করে দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়ে আসছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা । লকডাউন এর মধ্যেও সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দাবিতে একাধিক আন্দোলন কর্মসূচি করেছিলেন তাঁরা । এই দাবি নজরে আনার চেষ্টা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে হাইকোর্টে । অন্যদিকে, বসে ছিল না কমিশনও । স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফেও দ্রুত মামলার শুনানি চেয়ে তিনবার চিঠি দেওয়া হয়েছিল হাইকোর্টের কাছে । শেষ পর্যন্ত আনলক চালুর পর দুটি শুনানি হয় আপার প্রাইমারি মামলার । কিন্তু, তারপরেও হয়নি মামলার নিষ্পত্তি । বহাল রয়েছে স্থগিতাদেশ । স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে চায়, দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পরবর্তী ধাপ কাউন্সেলিং চালু করতে । এই পরিস্থিতিতে আবারও স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি পাঠিয়ে দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করার আবেদন জানানো হয়েছে ।

কিন্তু, এখানেই প্রশ্ন ওঠে, হাইকোর্ট যদি কাউন্সেলিং চালু করার অনুমতি দেয় তাহলে কোরোনা আবহে তা কী করে সম্ভব হবে? স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, বর্তমানে COVID-19 নিয়ে চলা পরিস্থিতিতে জমায়েত করায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে । তাই আগের মতো প্রার্থীদের কমিশনের দপ্তরে একসঙ্গে ডেকে কাউন্সেলিং করানো সম্ভব নয় । তাই বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাইকোর্ট কাউন্সেলিং শুরু করার অনুমতি দিলে কীভাবে তা করা যায় সেই নিয়ে একাধিক ভাবনাচিন্তা করছে কমিশন । জানা গেছে, একদিকে অনলাইন পদ্ধতিতে কাউন্সেলিং করা যায় কিনা তা নিয়ে যেমন ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে, তার পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে থাকা আঞ্চলিক দপ্তরগুলোকে ব্যবহার করেও কাউন্সেলিং করানো যায় কিনা তা নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে কমিশন । তবে, কোনও পদ্ধতি নিয়েই এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি । জানা গেছে, হাইকোর্ট অনুমতি দিলে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে । স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, "আমরা চাইছি হাইকোর্ট আমাদের কাউন্সেলিং শুরু করার অনুমতি দিক । তারপরে সমস্ত দিক পর্যালোচনা করে এমনভাবে করার সিদ্ধান্ত নেব যাতে প্রার্থীদের কোনও অসুবিধা না হয় । সেইভাবেই আমরা নীতি গ্রহণ করব ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.