কলকাতা, 15 মে: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1924 সালে গিয়েছিলেন চিন সফরে। সীমান্তে যুদ্ধ বাতাবরণ চললেও বাঙালি তথা ভারতীয়দের মধ্যে চিন ঘিরে বাড়তি উত্তেজনা সবসময়ই লক্ষ্য করা যায় । বিশ্বভারতী ছাড়া সে দেশের ভাষা শিখতে হলে ব্যক্তিগতভাবে পয়সা খরচ করে তা মূল্যায়ণ করতে হয় । তবে এবার নতুন উদ্যোগ নিল সল্টলেকের এক বেসরকারি স্কুল। সেখানকার পড়ুয়াদের তৃতীয় ভাষা হিসাবে শেখানো হবে চিনা ভাষা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে তারই উদ্বোধন করল সল্টলেকের সেন্ট জোনস স্কুল।
বর্তমান প্রজন্ম কাজের সূত্রে, কলকাতা এবং ভারতের বাইরে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। দেশের বাইরে গিয়ে কাজ করতে গেলে প্রয়োজন পড়ে হিন্দি এবং ইংরাজি ভাষার । বর্তমান প্রজন্ম মূলত এই দুই ভাষাতেই দক্ষ। দেশের বাইরে গিয়ে যাতে ভাষার কোনও সমস্যা না-হয় তাই চিনা ভাষা শেখানোর এই ভাবনা বলেই জানান স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল লুসিয়া গুপ্ত। তিনি বলেন, "ছোট থেকে কিছু জিনিস শিশুদেরকে শেখালে তা বুঝতে সুবিধা হয়। সে জন্যই আমরা পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণিকে বেছে নিয়েছি। যাদের তৃতীয় ভাষা হিসাবে চিনা ভাষা শেখানো হবে ৷ আমরা প্রথমেই শুরু করেছি চিনা ভাষা দিয়ে ৷ তবে আগামী দিনে ফ্রান্স এবং জার্মান ভাষা শেখানোর চেষ্টা করছি ।"
তবে শুধুমাত্র পঞ্চম থেকে অষ্টম নয়, নতুন বিদেশি ভাষার শেখার ঝোঁক রয়েছে শিশুদের মনেও । তাই প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণীর বহু পড়ুয়ায় চিনা ভাষা শিখতে ইচ্ছুক বলে জানিয়েছেন তিনি ।
নতুন এই ভাষা স্কুলে আনার জন্য চিনের কনস্যুল জেনারেল ঝা লিয়ো বেশ উদ্যোগী। এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, "স্কুলে চিনা ভাষা শিখবে ছাত্রছাত্রীরা । এই উদ্যোগ ভারত-চিন সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে। আরও মানুষ চিনা ভাষা শেখার ব্যাপারে উৎসাহিত হবেন। আমাদের কোনও ভাষা বলতেই কুণ্ঠাবোধ হয় না ৷ অনেক ভারতীয় চাইনিজ ভাষায় কথা বলতে পারেন।" স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রায় 80 জন পড়ুয়া চাইনিজ ভাষা শেখার জন্য নাম নথিভুক্ত করেছে । শিশুদের কোনও কিছু শেখাতে হলে তা গান বা আবৃত্তির ছলে শেখালে তারা দ্রুত তা শিখে যায় । তাই চিনা ভাষায় রবীন্দ্র সংগীতও শেখানো হচ্ছে তাঁদের ।
আরও পড়ুন : বিশেষভাবে সক্ষম মহিলাকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরানোর চেষ্টা বাসন্তীর স্কুল কর্তৃপক্ষের