কলকাতা, 26 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার মধ্যেই ভারতীয় সেনার পোশাকে ক্যাম্পাসে ঢুকে পড়েছিলেন বেশ কয়েক জন যুবক-যুবতী। তাঁরা নিজেদের ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’র সদস্য বলে পরিচয় দিয়েছিলেন পুলিশের কাছে। কিন্তু সেনার পোশাকে কেন ক্যাম্পাসে, সে প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি।
যাদবপুর থানার পুলিশ সূত্রে খবর, সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল হিসাবে যার নাম ছিল, সেই কাজি সাদিক হোসেনকে দীর্ঘক্ষন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে শনিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়। এদিন বিকালে তাঁকে যাদবপুর থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে। পরে তাঁর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি থাকায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর।
অভিযোগ যখন ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সেই সময় গত বুধবার বিকেল চারটে 20 মিনিটে কাজি সাদেক হোসেন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে 25 থেকে 30 জনের একটি দল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে এসে হাজির হয়। প্রত্যেকেরই পরনে ছিল ভারতীয় সেনার পোশাক। মাথায় লাল টুপিতে লেখা ছিল ‘ভারতীয় সেনা’। ব্যবহার করা হয়েছিল ভারতীয় সেনার প্রতীকও। জানা গিয়েছে, ওই দলের প্রত্যেকেই ‘এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটি’ নামে একটি সংগঠনের ছেলে-মেয়ে। কাজি সাদিক ওই সংস্থার সেক্রেটারি জেনারেল বলেও জানতে পারে পুলিশ।
গত 9 অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই যাদবপুর থানার পুলিশ মোট 13 জনকে গ্রেফতার করেছে। এই 13 জনের মধ্যে অধিকাংশই হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়া। সেই ঘটনায় যখন রাজ্যের রাজনীতিও একেবারে উত্তাল হয়ে উঠেছে ৷ মুখ খুলেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ এমনকী মোট 26টি সিসিটিভিও বসানো হচ্ছে ক্যাম্পাস জুড়ে ৷ সেই সময় এই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে আগামিকাল আলিপুর পুলিশ আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।