কলকাতা, 2 এপ্রিল : বড় সমাবেশ করতে দেওয়া হয়নি । কিন্তু নিজ়ামউদ্দিন এলাকায় সমাবেশে যোগ দেওয়া ধর্মপ্রচারকদের বিষয়ে খোঁজখবর নিতে গিয়ে চিন্তিত প্রশাসন । সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে রাজ্যে আসার পর তাঁরা বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ছোটো ছোটো স্থানীয় ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন । তবে এবিষয়ে আরও নিশ্চিত হতে চাইছে প্রশাসন । কাজ করছেন গোয়েন্দারা ৷ তেমন হলে তাদের সংস্পর্শে আসা সবাইকেই আইসোলেশনে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে ।
দিল্লির নিজ়ামউদ্দিনে ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যে ফেরা প্রায় সকলকেই চিহ্নিত করে কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে । তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজও শুরু হয়েছে । কিন্তু এরাজ্যে আসার পর তাঁদের ভ্রমণ ইতিহাস উদ্বেগ বাড়িয়েছে প্রশাসনের । নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, দিল্লি থেকে রাজ্যে আসার পর থেকে তাঁরা বিভিন্ন জেলায় একের পর এক স্থানীয় ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছেন । স্বাভাবিকভাবেই ওই সময় তাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন অনেকেই । বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত নিউটাউনের হজহাউজ়ে কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে 215 জনকে । তার মধ্যে নিজ়ামউদ্দিন থেকে আসা ধর্মপ্রচারক এবং সেখানে অংশগ্রহণকারীরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন যাঁরা এই ক’দিনে ওই ধর্মপ্রচারকদের সংস্পর্শে এসেছেন ।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এখনও কয়েকজনের খোঁজ চলছে উত্তর 24 পরগনার দত্তপুকুর, দক্ষিণ 24 পরগনার মগরাহাটে । পাশাপাশি, দিল্লি থেকে ফেরার পর ওই ধর্মপ্রচারকরা যে সব মসজিদে থেকেছেন, সেখানকার বাসিন্দাদের কোয়ারান্টাইনে নিয়ে আসার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে । তবে সব মানুষকে চিহ্নিত করা আদৌ সম্ভব কি না তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে পুলিশ এবং স্বাস্থ্য দপ্তর ।
নিজ়ামউদ্দিনে যোগদানকারীদের খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায়, কালিয়াচক এলাকার 10 জন ধর্মীয় সমাবেশে দিল্লি গিয়েছিলেন । 15 মার্চ পর্যন্ত তাঁরা নিজ়ামউদ্দিনের মরকজ মসজিদে ছিলেন । তারপর তাঁরা এরাজ্যে না ফিরে অন্য রাজ্যে গিয়েছেন ধর্মপ্রচারের কাজে । এই তথ্য ফের চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের । এর অর্থ অন্য রাজ্যের ধর্মপ্রচারকরাও নিজের রাজ্যে না ফিরে এরাজ্যে এসে থাকতে পারেন । কয়েকটি জেলার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, তাঁরা ধর্মীয় নেতা এবং সংগঠনগুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন । নিজ়ামউদ্দিনে কেউ যোগ দিয়ে থাকলে প্রশাসনকে তা জানানোর অনুরোধও করা হচ্ছে ।