কলকাতা , 3 নভেম্বর : অসামাজিক কাজে বাধা দিতে গিয়ে জীবনতলার তিন তৃণমূল কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি । এই ঘটনায় নাম না করে BJP-র দিকে আঙুল তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তাপস রায় । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP ৷ অন্যদিকে , তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে সংঘাত বলে উল্লেখ করলেন CPI(M) নেতা রবীন দেব ।
জীবনতলায় তৃণমূল কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি চালাল দুষ্কৃতীরা । ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন । তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল স্থানীয় একটি বাড়িতে দুষ্কৃতীরা আশ্রয় নিয়েছে বলে খোঁজ পান তৃণমূল কর্মী কুতুবউদ্দিন শেখ, মোসলেম আলি মোল্লা, আলমগির গাজি । রাত আটটা নাগাদ গ্রামবাসীকে নিয়ে সেখানে যান তাঁরা । সেখানে কাউকে দেখতে না পেয়ে একটি মাছের ভেড়ির দিকে রওনা দেন তৃণমূল কর্মীরা । সেইসময় তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা ।
এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গেছে ৷ তৃণমূল কংগ্রেসের তরফ থেকে তাপস রায় নাম না করে BJP-র দিকে আঙুল তোলেন । এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "এইভাবে একটি রাজনৈতিক দল অস্বাভাবিক কাজকর্মে লিপ্ত । বাংলায় বিভিন্নভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করা ও অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মদত করে আসছে । বাংলাতে সমস্যা তৈরি করার জন্য করছে ৷ এটা তারই একটা ফল । বিভিন্ন জায়গায় তথা সারারাজ্য জুড়ে এই ধরনের অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে । যারা গুন্ডা, বদমাইশ বা অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত তাদের দিয়ে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে এসব করাচ্ছে ।"
অন্যদিকে , এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে BJP ৷ এই বিষয়ে সায়ন্তন বসু বলেন , " জীবনতলার তিন তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় BJP যুক্ত নয় ৷ এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দের জের । স্থানীয় বিধায়ক সৌকত মোল্লার লোকজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত । সৌকত মোল্লা একজন ক্রিমিনাল ।"
তৃণমূলের বক্তব্যে সহমত পোষণ করছে CPI(M)-ও ৷ প্রবীণ CPI(M) নেতা রবীন দেব এই ঘটনাকে তৃণমূলের নিজেদের গোষ্ঠী ও তোলাবাজি - সিন্ডিকেটের লড়াই বলে উল্লেখ করেছেন । এ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, "লুটের ভাগ, তোলাবাজির ভাগ, সিন্ডিকেটের ভাগ নিয়ে এখানে লড়াই । তাতে মানুষের স্বার্থ এখানে নেই । সাধারণ মানুষের জীবন-জীবিকার ক্ষেত্রে যে বিপদ , এখন এত বড় কোরোনা প্যানডেমিকে মানুষ ছন্নছাড়া হয়ে যাচ্ছে । এই নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না । আমাদের লোকেরা যেমন যাদবপুর নকশালবাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় শ্রমজীবী ক্যান্টিন করে নামছে । সেই সবে ওরা নেই । ওরা কোনও সৃষ্টির কাজে নেই । ধ্বংসের কাজে আছে । ওরা কোনও মানুষের প্রগতির কাজ নেই । "