কলকাতা, 10 এপ্রিল: দলের আগে 'সর্বভারতীয়' তকমা এখন অতীত ৷ সোমবারই তৃণমূল কংগ্রেসকে দেওয়া সর্বভারতীয় মর্যাদা বাতিল করে দিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন । আর এই অবস্থায় আইনের উপর ভরসা রাখছে এ রাজ্যের শাসক দল । সোমবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এই খবর জানানোর পর রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি নিয়ে আইনি পথেই মোকাবিলা করা হবে ।
এদিন সন্ধ্যায় ক্যামাক স্ট্রিটে ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা নিয়ে বৈঠক করছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । সেই বৈঠক শেষেই তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়ে দেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনি পথ অবলম্বন করতে পারে তৃণমূল নেতৃত্ব ৷
সোমবার সৌগত রায় বলেন, "আমরা আইনগতভাবে নির্বাচন কমিশনকে জবাব দেব । নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত সঠিক তো নয়ই । আমরা এই নিয়ে বিস্তারিতভাবে মেমোরেন্ডাম দিয়েছিলাম । ওরা যেটা করেছে সেটা আমাদের সঠিক মনে হয়নি । আগেও তো নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অনেক মতামত উঠেছে ৷ নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছে । আমরা আইনের রাস্তাতেই হাঁটব । কাকে মর্যাদা দিয়েছে সেটা ওদের ব্যাপার। এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে আমরা একমত নই ।"
শুধু সৌগত রায় নয়, এই নিয়ে মুখ খুলেছেন অপর তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনও । তিনি নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপের করা সমালোচনা করে জানান, কোন নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিল, যে ইলেকশন কমিশন 236টি আসন থাকা তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট করে, আর 294টি আসন থাকা পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় ভোট করে ! যে নির্বাচন কমিশনকে বিজেপি নেতারা ফোন করে নির্দেশ দেয় ! শান্তনুর কথায়,"কোন দলের স্বীকৃতি কাড়া হচ্ছে, যারা এই মুহূর্তে ভারতবর্ষে গণতন্ত্রের তৃতীয় বৃহত্তম দল এবং ভারতবর্ষের সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী শক্তি তাদের ।"
আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গ ! কর্ণাটকে 10 দিনে বাজেয়াপ্ত 100 কোটির নগদ ও সামগ্রী
শান্তনু সেনের মতে, এই মূল্যায়ন 10 বছর অন্তর অন্তর হওয়া উচিত । দল এই নিয়ে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ৷ আইনের পথে লড়াইয়ের কথা তিনিও বলেছেন ৷ বিষয়টিকে নির্বাচন কমিশনের গৈরিকীকরণ প্রক্রিয়া হিসেবে দেখছে তৃণমূলের একাংশ ৷