ETV Bharat / state

সরকার অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও মেলেনি সাহায্য, অনাথ আশ্রমের পাশে দাঁড়ালেন রেশন ডিলার

সরকারি অনুমোদিত । তাও মেলেনি কোনওরকম সরকারি সাহায্য । তাই অনাহারে দিন কাটছিল অনাথ আশ্রমের শিশু ও নাবালকরা । অবশেষে সাহায্যের হাত বাড়ালেন এক রেশন ডিলার । পৌঁছে দিলেন খাদ্যসামগ্রী ।

author img

By

Published : Apr 28, 2020, 11:14 AM IST

Ration dealer help Orphanage
অনাথ আশ্রমকে সাহায্য় রেশন ডিলারের

কলকাতা, 28 এপ্রিল : লকডাউনে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের তরফে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হচ্ছে । অথচ সরকার অনুমোদিত অনাথ আশ্রমের শিশু থেকে নাবালক-নাবালিকারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত । ফলে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা । এরকমই কয়েকজনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রেশন ডিলার বিশ্বম্ভর বসু । তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি । চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, মুড়ি, বিস্কুট-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ।

রোজ়ি রায় নামে একজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত দু'বছর ধরে এই অনাথ আশ্রমটি চালাচ্ছেন । মোট 12 জন থাকে এই আশ্রমে । প্রত্যেকের বয়স 6 থেকে 16 বছরের মধ্যে । লকডাউন ঘোষণার পর পাঁচজনকে তাদের আত্মীয়রা এসে নিয়ে গেছেন । বাকি সাতজন এখনও এই আশ্রমেই রয়েছে । লকডাউনে তাদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না রোজ়ি । আসলে অনুদানের মাধ্যমে এই আশ্রম চালান তিনি। কিন্তু লকডাউনে তা বন্ধ হয়ে গেছে । অন্যদিকে সরকারি অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষিত কোনও সুবিধাই পায়নি এই আশ্রম । শুধুমাত্র স্থানীয় কাউন্সিলরকে অনুরোধ করার পর লকডাউনের প্রথম দিকে সামান্য কিছু অনুদান মিলেছিল ।

অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের এই অবস্থার কথা শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন রেশন ডিলার বিশ্বম্ভর বসু । সল্টলেকের বৈশাখিতে তাঁর রেশনের দোকান রয়েছে । একইসঙ্গে তিনি রেশন ডিলার সংগঠনের সম্পাদক । তিনি অনাথ আশ্রমের শিশু-নাবালদের জন্য 25 কিলো চাল, 10 কিলো আটা, 20 কিলো আলু, 4 লিটার তেল, 3 কিলো পিঁয়াজ ও 20 কিলো ডাল-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন । পাশাপাশি লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তাদের ভরণপোষণের আশ্বাস দেন । খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি অনাথ আশ্রমের আবাসিকরা । এই সময়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করায় বিশ্বম্ভর বসুকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা।

কলকাতা, 28 এপ্রিল : লকডাউনে দুস্থদের পাশে দাঁড়াতে রাজ্য সরকারের তরফে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হচ্ছে । অথচ সরকার অনুমোদিত অনাথ আশ্রমের শিশু থেকে নাবালক-নাবালিকারা সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত । ফলে অনাহারে দিন কাটাচ্ছে তারা । এরকমই কয়েকজনের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রেশন ডিলার বিশ্বম্ভর বসু । তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব তুলে নিয়েছেন তিনি । চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, মুড়ি, বিস্কুট-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন ।

রোজ়ি রায় নামে একজন ব্যক্তিগত উদ্যোগে গত দু'বছর ধরে এই অনাথ আশ্রমটি চালাচ্ছেন । মোট 12 জন থাকে এই আশ্রমে । প্রত্যেকের বয়স 6 থেকে 16 বছরের মধ্যে । লকডাউন ঘোষণার পর পাঁচজনকে তাদের আত্মীয়রা এসে নিয়ে গেছেন । বাকি সাতজন এখনও এই আশ্রমেই রয়েছে । লকডাউনে তাদের মুখে ঠিকমতো খাবার তুলে দিতে পারছিলেন না রোজ়ি । আসলে অনুদানের মাধ্যমে এই আশ্রম চালান তিনি। কিন্তু লকডাউনে তা বন্ধ হয়ে গেছে । অন্যদিকে সরকারি অনুমোদিত হওয়া সত্ত্বেও রাজ্য সরকারের তরফে ঘোষিত কোনও সুবিধাই পায়নি এই আশ্রম । শুধুমাত্র স্থানীয় কাউন্সিলরকে অনুরোধ করার পর লকডাউনের প্রথম দিকে সামান্য কিছু অনুদান মিলেছিল ।

অনাথ আশ্রমের আবাসিকদের এই অবস্থার কথা শুনে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন রেশন ডিলার বিশ্বম্ভর বসু । সল্টলেকের বৈশাখিতে তাঁর রেশনের দোকান রয়েছে । একইসঙ্গে তিনি রেশন ডিলার সংগঠনের সম্পাদক । তিনি অনাথ আশ্রমের শিশু-নাবালদের জন্য 25 কিলো চাল, 10 কিলো আটা, 20 কিলো আলু, 4 লিটার তেল, 3 কিলো পিঁয়াজ ও 20 কিলো ডাল-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন । পাশাপাশি লকডাউন যতদিন চলবে ততদিন তাদের ভরণপোষণের আশ্বাস দেন । খাদ্যসামগ্রী পেয়ে খুশি অনাথ আশ্রমের আবাসিকরা । এই সময়ে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সাহায্য করায় বিশ্বম্ভর বসুকে ধন্যবাদ জানিয়েছে তারা।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.