কলকাতা, 11 মে: সারাফ হাউসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর একটি নির্দেশিকা জারি করল রাজভবন ৷ সেই নির্দেশিকায় আগুন প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিকার পদ্ধতির কথা বলা আছে ৷
বুধবার রাজভবনের পাশেই অবস্থিত সারাফ হাউসে ভয়াবহ আগুন লাগে । আগুনের তীব্রতা দেখে রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘটনাস্থলে যান । দীর্ঘ চেষ্টার পর দমকলের আধিকারিকরা আগুন নেভাতে সক্ষম হন । আগুনের ভয়াবহতার সাক্ষী হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে আগুন লাগার কারণ ও আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাঁচ পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে । একইসঙ্গে আগুনের থেকে বাঁচতে তিনটি 'প' অর্থাৎ প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিকার পদ্ধতির কথা বলা হয়েছে সেই নির্দেশিকায় ।
রাজভবনের ওই অ্যাডভাইজারিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, আগুন লাগার ঘটনা আচমকা কোনও ঘটনা নয় । এগুলি অনেকগুলি কারণের ফলাফল । যা একত্রিত হয়ে যে কোনও সময় মারাত্মক আগুনের কারণ হতে পারে । বৈদ্যুতিক ত্রুটি, যেমন অতিরিক্ত গরম হওয়া এবং শর্ট সার্কিট অগ্নিকাণ্ডের কারণ হতে পারে । রান্নার দুর্ঘটনা, ধূমপান ইত্যাদিও সহজেই আগুন জ্বালাতে পারে । তবে, আগুন প্রতিরোধ করা যায় ! প্রতিরোধ, প্রতিক্রিয়া ও প্রতিকার পদ্ধতি অনুসরণ করে জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি কমিয়ে আনা যায় বলে জানানো হয়েছে নির্দেশিকায় ৷
প্রতিরোধের বিষয়ে ওই অ্যাডভাইজারিতে বিশদ তথ্য দেওয়া হয়েছে । বলা হয়েছে যে, আগুনের সম্ভাব্য কারণগুলি অনুমান করে আগে থেকে পদক্ষেপ করা যেতে পারে । এলাকায় কার্যকরী ধোঁয়া সনাক্তকারী ইনস্টল করা, পেট্রল, গ্যাস সিলিন্ডার, কাগজ, রাসায়নিক ইত্যাদির মতো সহজে দাহ্য উপকরণগুলি নির্দিষ্ট এলাকায় সংরক্ষণ করা, ওয়্যারিং এবং সম্ভাব্য শর্ট সার্কিট সনাক্ত, সংশোধন এবং নির্মূল করা, ফায়ার সাইরেন ইনস্টল করা, জরুরি পরিষেবাগুলির টেলিফোন নম্বরগুলি সহজে চোখের সামনে রাখা, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র ইনস্টল করা, সম্পত্তির দলিল, জন্ম শংসাপত্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি সংরক্ষণ করা এগুলির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে ।
আগুন লেগে গেলে আতঙ্কিত না হয়ে কী কী করণীয় সে বিষয়েও নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা রয়েছে । অগ্নিকাণ্ডের পরে দুর্ঘটনার প্রভাব বা তীব্রতা কমাতে এবং ভবিষ্যতে এই জাতীয় দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করার জন্য ত্রুটিগুলি প্রতিকার করতে কয়েকটি পদক্ষেপ করার কথা বলা হয়েছে রাজভবনের নির্দেশিকায় ৷