কলকাতা, 9 অগস্ট: প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থাকার খরচ ছিল 2 হাজার 200 টাকা। তবে সিকিউরিটি মানির নামে সেই খরচ এক ধাক্কায় বাড়িয়ে দেওয়া হয় 5 হাজার টাকা। ফলে 2200 টাকা থেকে বেড়ে ছাত্রছাত্রীদের থাকার খরচ দাঁড়ায় 7200 টাকা। আর সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বুধবার সকাল থেকেই আন্দোলনে নামে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআই কর্মীরা। তার জেরে ফের স্লোগান, অবস্থানে তপ্ত হয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্ট অরুণ কুমার মাইতির সঙ্গে আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীরা দেখা করতে চাইলে, তিনি সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। এরপরে ক্যাম্পাসের পরিবেশ আরও গরম হয়ে ওঠে। অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে এই অতিরিক্ত ফি, এই দাবিতে মুখরিত হয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। অবশেষে চাপে পড়ে সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে কর্তৃপক্ষ ৷ এসএফআই কর্মীরা দাবি করেন, আন্দোলনের জেরে এ বছরের মতো হস্টেলের বৃদ্ধি করা অতিরিক্ত টাকা নেওয়া থেকে বিরত থাকছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অভিযানে আটকদের অবিলম্বে ছাড়তে হবে, এই দাবিতে সরব যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি
তবে আন্দোলকারীরা এখানেই থামছেন না। তাঁরা শুধু এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নন। সন্ধ্যায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিন অফ সায়েন্স শঙ্কর বসুর ঘরে গিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন এসএফআই নেতৃত্ব। এসএফআই নেতৃত্বের দাবি, তারা ছাত্রছাত্রীরা এখানে পড়তে আসেন, আন্দোলন করতে নয় ৷ বারবার এমন হওয়ায় আমাদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে ৷ কেবল এ বছর নয়, সম্পূর্ণভাবে এই সিকিউরিটি মানি নেওয়া থেকে যাতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিরত থাকে তেমনি লিখিত নির্দেশিকা দাবি করেন আন্দোলনকারীরা ৷
এর পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীদের উপর আর্থিক বোঝা ভবিষ্যতেও না-চাপে, এমনটাও তারা দাবি জানান ৷ ডিন অফ সায়েন্স শঙ্কর বসুর ঘরে জমায়েত করে আলোচনা চলতে থাকে এসএফআইয়ের তরফে। নেতৃত্ব জানায়, সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের লিখিত নির্দেশিকা না-পেলে ঘেরাও করেই রাখতে হবে। তারাও থাকবে, ডিনও থাকবেন। উল্লেখ্য, 220 জনের থাকার ব্যবস্থা আছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে। থাকছেন 134 জন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে খুন, অশান্তির প্রতিবাদে পথ অবরোধে প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা