কলকাতা, 6 জুলাই: কেটে গিয়েছে 12 বছর ৷ 2010 সালে শিলদা ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় 24 জন জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন ৷ সেই ঘটনায় অভিযুক্ত পেলেন জামিন ৷ 12 বছর পর অভিযুক্ত প্রশান্ত পাত্র এদিন জামিন পেলেন (Prashant Patra Gets Bail After 12 Years)৷ অভিযুক্ত বর্তমানে বিভিন্ন মানসিক অবসাদগ্রস্ত।
তিনি এখন সংশোধনাগারের মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর যেহেতু 12 বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে সেই কারণেই সংবিধানের 21 নম্বর ধারায় প্রদত্ত জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার থেকে তিনি যাতে বঞ্চিত না হন সেই দিকে তাকিয়েই তার জামিন মঞ্জুর হয়েছে বলে উল্লেখ বিচারপতিদ্বয়ের। তবে একইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ এটাও উল্লেখ করেছে যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা সেদিন মৃত্যু বরণ করেছিলেন তাদের পরিবারের প্রতিও আদালত অত্যন্ত সমব্যাথী। তারা বিচার পাওয়ার আশায় বসে রয়েছে।
জামিনের শর্ত হিসাবে 50 হাজার টাকার ব্যাক্তিগত বণ্ড পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিচারকের কাছে জমা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহে একদিন শালবনি থানায় রিপোর্ট করতে হবে তাকে। শালবনি থানা এলাকার বাইরে আপাতত যাওয়া চলবে না। রাজ্যের তরফে আইনজীবী নেগি আহমেদ এই জামিনের বিরোধিতা করে বলেন 21 জন সিআরপিএফ আধিকারিককে মারা হয়েছিল। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে এখনও বিচারপর্ব শেষ হয়নি। প্রায় 70 জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র 34 জনের বয়ান নেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতি জামিন মঞ্জুর করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন : প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআইকে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
কিন্তু মামলাকারীর তরফে আইনজীবী কৌশিক গুপ্ত বলেন, "এই ঘটনায় অভিযুক্ত অনেকেই এর আগে জামিন পেয়েছেন। অভিযুক্তের ইতিমধ্যেই 12 বছর কারাবাস হয়ে গিয়েছে। সংবিধান প্রদত্ত 21 ধারায় জীবন ও স্বাধীনতার অধিকার তারও প্রাপ্য।" উভয়পক্ষের বক্তব্য শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করেছে।
উল্লেখ্য, 2010 সালের ফেব্রুয়ারিতে শিলদা ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় 24 জন জওয়ান শহিদ হন ৷ সেই ঘটনায় 26 জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ। 2020 সালের জানুয়ারি মাসে একাধিক অভিযুক্তের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য পুলিশের ডিজিকে মামলা যাতে দ্রুত নিস্পত্তি করা যায় তারজন্য এদের বিরুদ্ধে কী ধরনের অভিযোগ আছে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিল। নিম্ন আদালতকে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করারও নির্দেশ দিয়েছিল।