কলকাতা, 28 জুলাই : ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে পারবে রাজ্য । তবে তা জমা করতে হবে 31 জুলাইয়ের মধ্যে । এমনই নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের 5 বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ ।
ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট গত 26 জুলাই জমা পড়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । 13 জুলাই ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ নিহত বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের দেহের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল । সিএফএসএল কর্তৃপক্ষ বন্ধ খামে এই রিপোর্ট জমা দিয়েছিল আদালতে । আজ সেই রিপোর্ট পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে দাখিল করেন অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল ।
অভিজিৎ সরকারের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হলেও তাঁর ভাই দেহ শনাক্ত করতে পারছিলেন না ৷ সেই জন্যই ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত । ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন বেলেঘাটার বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার ।
আরও পড়ুন: রাজ্যসভার নির্বাচনে মনোনয়ন পেশ তৃণমূলের প্রার্থী জহর সরকারের
পাশাপাশি আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে জানানো হয়, কলকাতা হাইকোর্টে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার পরেও তাদের কাছে 16টি অভিযোগ জমা পড়েছে । বিভিন্ন জায়গায় আক্রান্তরা অভিযোগ জমা দিয়েছেন । যে অভিযোগের কপি ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পাঠানো হয়েছে । কিন্তু আদালত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এই বক্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে জানানো হয়। কারণ এর আগেই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন তাদের চূড়ান্ত রিপোর্ট আদালতে পেশ করেছে ।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত এ দিন জানান, রাজ্যের আরও কিছু বক্তব্য রয়েছে, সে ব্যাপারে রাজ্য অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিতে চায় আদালতে । মামলাকারী আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল রাজ্যের এই বক্তব্যের বিরোধিতা করেন । কিন্তু পাঁচ বিচারপতির বিশেষ বেঞ্চ রাজ্যের আবেদনে স্বীকৃতি দিয়েছে । রাজ্যকে জানানো হয়েছে 31 জুলাই-এর মধ্যে তাদের যা বক্তব্য তা জানাতে হবে । 2 অগাস্ট ফের এই মামলার পরবর্তী শুনানি ।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে কেন ব্যবহার পেগাসাস, মোদি-শাহকে প্রশ্ন রাহুলের
এ দিকে ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানির আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির এজলাসের বাইরে জটলা শুরু হয় আইনজীবীদের । কারণ বেঞ্চ নির্ধারণকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে আইনজীবী মহলে । গতকাল থেকেই আইনজীবীদের একটা অংশ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বয়কট করতে শুরু করেছেন । আজও অনেকেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বয়কট করেছেন । যদিও ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানি যথাসময়েই করা হয় ।
আরও পড়ুন : I PAC: টিম পিকে-কে কেন সমন ? ত্রিপুরায় গিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল প্রতিনিধি দলের
গত পরশু ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায় আদালতে একটি হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য সরকার । কাল রাজ্যের দাখিল করা সেই 95 পাতার রিপোর্ট সামনে এসেছে । রিপোর্টে রাজ্যের তরফে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দাখিল করা রিপোর্টের প্রত্যেকটি অংশ ধরে ধরে খণ্ডন করার চেষ্টা করেছে রাজ্য সরকার । আপাতত 31 জুলাই রাজ্যের অতিরিক্ত হলফনামা জমা করার পর কলকাতা হাইকোর্ট ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় কী রায় দান করে, সে দিকে নজর থাকবে প্রত্যেকের ।