কলকাতা, 30 মে: সল্টলেকের AF ব্লকের পুলিশ আবাসনে মূল ফটক বন্ধ করে ভাঙচুর চালালো পুলিশ কর্মীরা । পুলিশের একাধিক শীর্ষ আধিকারিক ঘটনাস্থানে পৌঁছালেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি । গত রাতের এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল পুলিশ । ইতিমধ্যেই সল্টলেক উত্তর থানায় এই ঘটনা নিয়ে দায়ের হয়েছে মামলা । একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে । সাসপেন্ড করা হয়েছে একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর এবং পাঁচ কনস্টেবলকে ।
গতকাল চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের এক পুলিশকর্মীর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে । এই ব্যাটেলিয়নের ব্যারাক সল্টলেকের AF ব্লকে । একই সঙ্গে রয়েছে আবাসন । ব্যাটেলিয়নের এক পুলিশকর্মীর সংক্রমণ ধরা পড়ার পরেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে এই ব্যারাক । অভিযোগ ওঠে সংক্রমিত পুলিশকর্মীর সংস্পর্শে আসা বাহিনী সদস্যদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোয়ারানটিনে না পাঠিয়ে ডিউটি দেওয়া হয় । তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রী নেই । অথচ ডিউটি করতে হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জ়োনে । এই কারণেই একের পর এক পুলিশকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন । বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই । যার বহিঃপ্রকাশ হয় গত রাতে । চতুর্থ ব্যাটেলিয়নের পুলিশকর্মীরা ব্যারাকের মূল ফটক বন্ধ করে ভাঙচুর শুরু করেন । তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন পরিবারের সদস্যরাও । সেই সময় কলকাতা পুলিশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ আধিকারিক ঘটনাস্থানে পৌঁছালেও ব্যারাকের ভেতরে ঢুকতে পারেননি । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে নামানো হয় RAF । বেশ কিছুক্ষণ পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।
প্রথমে পুলিশ ট্রেনিং স্কুল । তারপর গড়ফা থানা হয়ে সল্টলেকের ব্যারাক ও আবাসনে বিক্ষোভ । ক্রমশ কলকাতা পুলিশের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসছে । বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়ে গেছে রাজনীতিও । বিরোধীরা এই বিক্ষোভ নিয়ে সরকারকে তোপ দাগছেন । কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যপাল । যদিও প্রতিটি ঘটনায় বাইরে থেকে ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের অনেকেই । গতকালের ঘটনায় তা অনেকটাই স্পষ্ট । সেই কারণে আগের দুটি ঘটনায় কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলেও , গতকালের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ করল পুলিশ । এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা সরকার বলেন , “ ঘটনার জেরে আমরা এক অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর-সহ পাঁচ জনকে সাসপেন্ড করেছি ।"