ETV Bharat / state

কলেজের ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি, লাঠিচার্জ - Subodh Mallick Square

সাড়ে 12টা নাগাদ মিছিল শুরু করতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি । পুলিশের তরফে তাঁদের জানানো হয়, মিছিল করতে দেওয়া যাবে না । পুলিশের বাঁধা সত্ত্বেও মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের । মিছিল ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই পুলিশ ঠেলে, হালকা লাঠিচার্জ করে তাঁদের পিছনে সরিয়ে দেয় ।

College Casual Employees Agitation
ছবি
author img

By

Published : Feb 6, 2021, 3:22 PM IST

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : গতকাল পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ারে । তারপর আজ কলেজের আবার ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের 'বিধানসভা চলো' অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার চত্বরে । এদিন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ় অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে হাজারো কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী এসে জমায়েত করেন সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ারে । কিন্তু, আজকের মিছিলকেও ব্যারিকেড দিয়ে সবদিক থেকে আটকে দেয় পুলিশ । পুলিশি বাঁধা সরিয়ে মিছিল করতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের । এমনকি হালকা লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ ।

বহুদিন ধরেই সমকাজে সমবেতন ও 60 বছরের স্থায়ীত্বের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ় অ্যাসোসিয়েশন । সেই দাবিতে গত বছর প্রায় আড়াই মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনশন কর্মসূচি করার পর সরকারের তরফে মিলেছিল আশ্বাস । সেই আশ্বাসে গত বছর 22 ডিসেম্বর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা । কিন্তু, সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর কাজ করলেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি সরকারি নির্দেশিকা । সেই সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশের দাবিতেই আজ বিধানসভা অভিযানের ডাক দেয় এই সংগঠনটি ।

এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারের বেশি শিক্ষাকর্মী এসে জমায়েত করেন । কিন্তু, সাড়ে 12টা নাগাদ মিছিল শুরু করতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি । পুলিশের তরফে তাঁদের জানানো হয়, মিছিল করতে দেওয়া যাবে না । পুলিশের বাঁধা সত্ত্বেও মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের । মিছিল ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই পুলিশ ঠেলে, হালকা লাঠিচার্জ করে তাঁদের পিছনে সরিয়ে দেয় । আজকের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার এলাকা ।

আরও পড়ুন : পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান আটকাতে ব‍্যারিকেড, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ

তারপরে পুলিশের ব্যারিকেড করা গণ্ডির মধ্যেই অবস্থান শুরু করে দেন কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা । পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং সেক্রেটারি সুশান্ত পাণ্ডা বলেন, "আমাদের মিছিল যাওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। পুলিশ প্রশাসন আমাদের চারদিক থেকে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেয়। আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। আমাকে, আমাদের সভাপতি, মুখপত্রকে লাঠিচার্জ করেছে। এখনও আমাদের আটকে রেখেছে। আমরা সেখানেই এখন অবস্থান করছি। আমরা রাস্তার উপরেই বসে আছি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের যেতে দিচ্ছে না। আমরা এখানেই বসে থাকব। পরে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে কী করবে জানি না। কিন্তু, আমরা আমাদের অবস্থানটা চালিয়ে যাব।"

সুশান্ত পাণ্ডা নিজেদের দাবি নিয়ে বলেন, "গেস্ট লেকচারারদের নিয়োগ করা হয়েছে 2013 সাল থেকে। আমাদের 2000 সাল বা তার আগে থেকে কলেজের গভর্নিং বডি নিয়োগ করেছে। বেশিরভাগ কলেজেই 80-90 শতাংশ স্থায়ী কর্মচারীর পদ ফাঁকা। কলেজ চালায় অস্থায়ী কর্মচারীরা। গভর্নিং বডির মাধ্যমে 2013 সাল থেকে অধ্যাপকদের নিয়োগ করে তাঁদের যদি স্থায়ীকরণ করা হয় তাহলে আমাদের নয় কেন? এছাড়া অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন নিয়ে সরকারের একটা নির্দেশিকা আছে। আমরা চাই সেটা লাগু করা হোক এবং আমাদের 60 বছরের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।"

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি : গতকাল পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ারে । তারপর আজ কলেজের আবার ক্যাজুয়াল কর্মচারীদের 'বিধানসভা চলো' অভিযান ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার চত্বরে । এদিন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ় অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে হাজারো কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মী এসে জমায়েত করেন সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ারে । কিন্তু, আজকের মিছিলকেও ব্যারিকেড দিয়ে সবদিক থেকে আটকে দেয় পুলিশ । পুলিশি বাঁধা সরিয়ে মিছিল করতে গেলেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের । এমনকি হালকা লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ ।

বহুদিন ধরেই সমকাজে সমবেতন ও 60 বছরের স্থায়ীত্বের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ় অ্যাসোসিয়েশন । সেই দাবিতে গত বছর প্রায় আড়াই মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় অনশন কর্মসূচি করার পর সরকারের তরফে মিলেছিল আশ্বাস । সেই আশ্বাসে গত বছর 22 ডিসেম্বর অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করেছিলেন তাঁরা । কিন্তু, সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষা দপ্তর কাজ করলেও এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি সরকারি নির্দেশিকা । সেই সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশের দাবিতেই আজ বিধানসভা অভিযানের ডাক দেয় এই সংগঠনটি ।

এদিন সকাল থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারের বেশি শিক্ষাকর্মী এসে জমায়েত করেন । কিন্তু, সাড়ে 12টা নাগাদ মিছিল শুরু করতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি । পুলিশের তরফে তাঁদের জানানো হয়, মিছিল করতে দেওয়া যাবে না । পুলিশের বাঁধা সত্ত্বেও মিছিল করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তাঁদের । মিছিল ব্যারিকেড পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই পুলিশ ঠেলে, হালকা লাঠিচার্জ করে তাঁদের পিছনে সরিয়ে দেয় । আজকের ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সুবোধ মল্লিক স্ক্যয়ার এলাকা ।

আরও পড়ুন : পার্শ্বশিক্ষকদের নবান্ন অভিযান আটকাতে ব‍্যারিকেড, জলকামান নিয়ে প্রস্তুত পুলিশ

তারপরে পুলিশের ব্যারিকেড করা গণ্ডির মধ্যেই অবস্থান শুরু করে দেন কলেজের অস্থায়ী শিক্ষাকর্মীরা । পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়েজ অ্যাসোসিয়েশনের ওয়ার্কিং সেক্রেটারি সুশান্ত পাণ্ডা বলেন, "আমাদের মিছিল যাওয়ার কথা ছিল বিধানসভায়। পুলিশ প্রশাসন আমাদের চারদিক থেকে ব্যারিকেড করে ঘিরে দেয়। আমাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে। আমাকে, আমাদের সভাপতি, মুখপত্রকে লাঠিচার্জ করেছে। এখনও আমাদের আটকে রেখেছে। আমরা সেখানেই এখন অবস্থান করছি। আমরা রাস্তার উপরেই বসে আছি। পুলিশ প্রশাসন আমাদের যেতে দিচ্ছে না। আমরা এখানেই বসে থাকব। পরে পুলিশ প্রশাসন আমাদের সঙ্গে কী করবে জানি না। কিন্তু, আমরা আমাদের অবস্থানটা চালিয়ে যাব।"

সুশান্ত পাণ্ডা নিজেদের দাবি নিয়ে বলেন, "গেস্ট লেকচারারদের নিয়োগ করা হয়েছে 2013 সাল থেকে। আমাদের 2000 সাল বা তার আগে থেকে কলেজের গভর্নিং বডি নিয়োগ করেছে। বেশিরভাগ কলেজেই 80-90 শতাংশ স্থায়ী কর্মচারীর পদ ফাঁকা। কলেজ চালায় অস্থায়ী কর্মচারীরা। গভর্নিং বডির মাধ্যমে 2013 সাল থেকে অধ্যাপকদের নিয়োগ করে তাঁদের যদি স্থায়ীকরণ করা হয় তাহলে আমাদের নয় কেন? এছাড়া অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন নিয়ে সরকারের একটা নির্দেশিকা আছে। আমরা চাই সেটা লাগু করা হোক এবং আমাদের 60 বছরের নিরাপত্তা দেওয়া হোক।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.