কলকাতা, 15 নভেম্বর : বয়ানে আগেই গরমিল পেয়েছিল পুলিশ ৷ জিজ্ঞাসাবাদে আসছিল এক একরকম তথ্য ৷ তার সঙ্গে CCTV ফুটেজও মিলিয়ে দেখেছে পুলিশ ৷ সে সূত্র ধরে আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয় ৷ প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি ৷ রাজ্য মহিলা কমিশন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে ৷ এদিকে, ওই হোমে যুবতির সঙ্গে তাঁর মা থাকতেন ৷ আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷
সোমবার রাতে পঞ্চসায়র আবাসিক হোম থেকে তালা ভেঙে বেরিয়া আসেন নির্যাতিতা ৷ ওই হোমের সামনে থেকেই কয়েকজন যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ৷ মঙ্গলবার ভোরে সোনারপুর এলাকায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ স্থানীয়রা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ট্রেনে তুলে দেন ৷ তারপর ওই মহিলা বালিগঞ্জে নেমে কোনওরকমে গড়িয়াহাটে একজন আত্মীয়ের বাড়ি যান ৷ পরে সেখান থেকে বেহালায় বোনের বাড়িতে যান ৷ মঙ্গলবারই পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷
তদন্তে নেমে তালা ভাঙা হয়নি বলে খুঁজে পায় পুলিশ । বরং তা খোলা হয়েছে । যে চাবিটি খোলা হয় তা রীতিমত জং ধরে গেছে । যেটি দিয়ে তালা ভাঙা হয়েছিল, তারও কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ফরেনসিক টিম । নির্যাতিতার বোন রক্তমাখা একটি হলুদ রঙের নাইটি জমা দিয়েছিল পুলিশের কাছে । অথচ CCTV ফুটেজ বলছে, ওই দিন মহিলার পরনে নাইটি ছিল না । ছিল লাল রঙের পোশাক । তরুণীর বয়ানের সঙ্গে CCTV ফুটেজের আরও বেশ কিছু গরমিল পেয়েছে পুলিশ । তবে কী সেই গরমিল তা এখনই বলতে রাজি নয় তদন্তকারীরা । এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "তদন্তের কাজ চলছে । এখনই পুরোটা বলার সময় আসেনি ।"
এদিকে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ধরনের লক্ষ্মণ দেখা যায়, প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টে সেই ধরনের চিহ্ন নেই । তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসতে এখনও বাকি রয়েছে । তখনই বোঝা যাবে আসলে বিষয়টি কী হয়েছে ।"