ETV Bharat / state

পঞ্চসায়রের গণধর্ষণ নিয়ে ধন্দে পুলিশ - victim's mother died

পঞ্চসায়রে আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয় ৷ প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি ৷ এদিকে, ওই হোমে যুবতির সঙ্গে তাঁর মা থাকতেন ৷ আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Nov 15, 2019, 10:08 PM IST

কলকাতা, 15 নভেম্বর : বয়ানে আগেই গরমিল পেয়েছিল পুলিশ ৷ জিজ্ঞাসাবাদে আসছিল এক একরকম তথ্য ৷ তার সঙ্গে CCTV ফুটেজও মিলিয়ে দেখেছে পুলিশ ৷ সে সূত্র ধরে আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয় ৷ প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি ৷ রাজ্য মহিলা কমিশন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে ৷ এদিকে, ওই হোমে যুবতির সঙ্গে তাঁর মা থাকতেন ৷ আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷

সোমবার রাতে পঞ্চসায়র আবাসিক হোম থেকে তালা ভেঙে বেরিয়া আসেন নির্যাতিতা ৷ ওই হোমের সামনে থেকেই কয়েকজন যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ৷ মঙ্গলবার ভোরে সোনারপুর এলাকায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ স্থানীয়রা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ট্রেনে তুলে দেন ৷ তারপর ওই মহিলা বালিগঞ্জে নেমে কোনওরকমে গড়িয়াহাটে একজন আত্মীয়ের বাড়ি যান ৷ পরে সেখান থেকে বেহালায় বোনের বাড়িতে যান ৷ মঙ্গলবারই পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷

তদন্তে নেমে তালা ভাঙা হয়নি বলে খুঁজে পায় পুলিশ । বরং তা খোলা হয়েছে । যে চাবিটি খোলা হয় তা রীতিমত জং ধরে গেছে । যেটি দিয়ে তালা ভাঙা হয়েছিল, তারও কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ফরেনসিক টিম । নির্যাতিতার বোন রক্তমাখা একটি হলুদ রঙের নাইটি জমা দিয়েছিল পুলিশের কাছে । অথচ CCTV ফুটেজ বলছে, ওই দিন মহিলার পরনে নাইটি ছিল না । ছিল লাল রঙের পোশাক । তরুণীর বয়ানের সঙ্গে CCTV ফুটেজের আরও বেশ কিছু গরমিল পেয়েছে পুলিশ । তবে কী সেই গরমিল তা এখনই বলতে রাজি নয় তদন্তকারীরা । এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "তদন্তের কাজ চলছে । এখনই পুরোটা বলার সময় আসেনি ।"

এদিকে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ধরনের লক্ষ্মণ দেখা যায়, প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টে সেই ধরনের চিহ্ন নেই । তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসতে এখনও বাকি রয়েছে । তখনই বোঝা যাবে আসলে বিষয়টি কী হয়েছে ।"

কলকাতা, 15 নভেম্বর : বয়ানে আগেই গরমিল পেয়েছিল পুলিশ ৷ জিজ্ঞাসাবাদে আসছিল এক একরকম তথ্য ৷ তার সঙ্গে CCTV ফুটেজও মিলিয়ে দেখেছে পুলিশ ৷ সে সূত্র ধরে আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয় ৷ প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের বিষয়টি স্পষ্ট হয়নি ৷ রাজ্য মহিলা কমিশন সূত্রে এমনই খবর মিলেছে ৷ এদিকে, ওই হোমে যুবতির সঙ্গে তাঁর মা থাকতেন ৷ আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ৷

সোমবার রাতে পঞ্চসায়র আবাসিক হোম থেকে তালা ভেঙে বেরিয়া আসেন নির্যাতিতা ৷ ওই হোমের সামনে থেকেই কয়েকজন যুবক তাঁকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ ৷ মঙ্গলবার ভোরে সোনারপুর এলাকায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ৷ স্থানীয়রা তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা করে ট্রেনে তুলে দেন ৷ তারপর ওই মহিলা বালিগঞ্জে নেমে কোনওরকমে গড়িয়াহাটে একজন আত্মীয়ের বাড়ি যান ৷ পরে সেখান থেকে বেহালায় বোনের বাড়িতে যান ৷ মঙ্গলবারই পঞ্চসায়র থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় ৷

তদন্তে নেমে তালা ভাঙা হয়নি বলে খুঁজে পায় পুলিশ । বরং তা খোলা হয়েছে । যে চাবিটি খোলা হয় তা রীতিমত জং ধরে গেছে । যেটি দিয়ে তালা ভাঙা হয়েছিল, তারও কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ফরেনসিক টিম । নির্যাতিতার বোন রক্তমাখা একটি হলুদ রঙের নাইটি জমা দিয়েছিল পুলিশের কাছে । অথচ CCTV ফুটেজ বলছে, ওই দিন মহিলার পরনে নাইটি ছিল না । ছিল লাল রঙের পোশাক । তরুণীর বয়ানের সঙ্গে CCTV ফুটেজের আরও বেশ কিছু গরমিল পেয়েছে পুলিশ । তবে কী সেই গরমিল তা এখনই বলতে রাজি নয় তদন্তকারীরা । এপ্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, "তদন্তের কাজ চলছে । এখনই পুরোটা বলার সময় আসেনি ।"

এদিকে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপারসন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ধরনের লক্ষ্মণ দেখা যায়, প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টে সেই ধরনের চিহ্ন নেই । তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসতে এখনও বাকি রয়েছে । তখনই বোঝা যাবে আসলে বিষয়টি কী হয়েছে ।"

Intro:কলকাতা, 15 নভেম্বর: পুলিশ বয়ানে গরমিল পেয়েছিল আগেই। প্রতিবার জিজ্ঞাসাবাদে আসছিল এক এক রকম তথ্য। তার সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে দেখেছে পুলিশ। সেই সূত্র ধরে আদৌ ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। প্রাথমিক যে মেডিকেল রিপোর্ট পাওয়া গেছে, তাতেও ধর্ষণের বিষয়টি পরিষ্কার হয়নি। রাজ্য মহিলা কমিশন সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। এদিকে যে হোমে ওই তরুণী থাকতেন, সেখানেই ছিলেন তরুনীর মা। আজ ভোররাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।Body:গত সোমবার রাতে পঞ্চসায়র আবাসিক হোমের এক মৃগীরোগী তালা ভেঙে বাইরে বেড়িয়ে আসেন। এমনটাই জানান “নির্যাতিতা"। ওই হোমের সামনে থেকেই কয়েকজন যুবক ওই যুবতীকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার ভোরে সোনারপুর এলাকায় তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা তাকে প্রাথমিক শুশ্রূষা করে ট্রেনে তুলে দেন। তারপর ওই মহিলা বালিগঞ্জে নেমে কোনরকমে গড়িয়াহাটে এক আত্মীয় বাড়ি যান। পরে যান বেহালায় বোনের বাড়িতে। মঙ্গলবার পঞ্চসায়র থানায় দায়ের হয় অভিযোগ।

তদন্তে নেমে পুলিশ দেখতে পায় ভাঙা হয়নি তালা। বরং তা খোলা হয়েছে। যে চাবিটি খোলা হয় তা রীতিমত জঙপরা। পাশাপাশি যে নৌকা দিয়ে তালা ভাঙা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন “নির্যাতিতা" তার অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি ফরেনসিক টিম। নির্যাতিতার বোন রক্তমাখা একটি হলুদ রংয়ের নাইটি জমা দিয়েছিল পুলিশের কাছে। অথচ সিসিটিভি ফুটেজ বলছে, ওই দিন মহিলার পরনে নাইটি ছিল না। ছিল লাল রংয়ের পোশাক। ওই তরুনীর বয়ানের সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজের আরো বেশকিছু গরমিল পেয়েছে পুলিশ। তবে কি সেই গরমিল তা এখনই বলতে রাজি নয় তদন্তকারীরা। এ প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক শীর্ষ কর্তা বলেন, “ তদন্তের কাজ চলছে। এখনই পুরোটা বলার সময় আসেনি।"Conclusion:এদিকে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি ইটিভি ভারতকে বলেন, “ এখনো পর্যন্ত যা পেয়েছি তাকে এটা বলা যাবে না ধর্ষণ হয়েছে। আবার হয়নি সেটাও বলা যাবে না। তবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে যে ধরনের লক্ষণ দেখা যায়, প্রাথমিক মেডিকেল রিপোর্টে সেই ধরনের লক্ষণ নেই। তবে চূড়ান্ত রিপোর্ট আসতে এখনো বাকি রয়েছে। তখনই বোঝা যাবে আসলে বিষয়টি কি হয়েছে।"
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.