কলকাতা, 23 জুন : কলকাতা পুলিশে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক । আর তাই নিয়ে পুলিশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ পর্যন্ত হয়ে গেছে । লালবাজারের কর্তারা বুঝেছেন কর্মীদের মনোবল বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন । সেই কারণে ঠিক হয়েছে এই সপ্তাহ থেকে কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি ডিভিশনে যাবেন নগরপাল অনুজ শর্মা । দেখা করবেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে। সেই সূত্রে গতকাল নর্থ ডিভিশনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার । দেখা করেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে । বৈঠক করেন সব পুলিশকর্মীদের সঙ্গে।
মাস দেড়েক আগে কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন গার্ডেনরিচ থানার OC। সেটাই ছিল কলকাতা পুলিশের প্রথম সংক্রমণের ঘটনা। তার জেরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছিল। বদলি করা হয়েছিল OC-কে । নতুন OC হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন ময়ূখময় রায় । এই ঘটনার পর পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে গেছিলেন খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কলকাতা পুলিশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা 300-র কাছাকাছি । তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন শতাধিক পুলিশকর্মী । গার্ডেনরিচ, প্রগতি ময়দান, বউবাজার, বেলেঘাটা থানার OC-রা সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন । বড়তলা, গড়ফা থানার অতিরিক্ত OC-রাও এখন কোরোনামুক্ত । গড়ফা থানায় আক্রান্ত 16 জন পুলিশকর্মী সুস্থ হয়ে গেছেন । কিন্তু প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে ।
সেই সূত্র ধরে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য লালবাজারের তরফে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ওয়েলফেয়ার সেল । এমনিতে ওয়েলফেয়ার সেল আগে থেকেই ছিল । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ এই সেলে পুলিশের বিভিন্ন ডিভিশন এবং ব্যাটেলিয়ান সহ প্রতিটি ইউনিটের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হয়েছে। তাতে সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে 43 জন। যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা সরকারের নেতৃত্বে ওই সেল কাজ করছে । লালবাজারের 17 জন পুলিশ কর্তাও ওই সেলের সদস্য । পুলিশকর্মীরা যাতে ঠিকঠাক চিকিৎসা পায় তার জন্যই ওই সেল কাজ করছে । কলকাতার নগরপাল সম্প্রতি যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, “ পুলিশকর্মীদের বাড়ির সদস্যরাও আমাদের বর্ধিত পরিবারের সদস্য । আমাদের দায়িত্ব তাঁদের রক্ষা করা। পাশে দাঁড়ানো।" সেই সূত্রেই ওয়েলফেয়ার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও সহযোগিতা অত্যন্ত দ্রুত করতে হবে। এই কাজে নজরদারি চালাবে সমস্ত ডিসিরা। প্রতি 15 দিন অন্তর ওয়েলফেয়ার অফিসাররা রিপোর্ট পাঠাবেন স্পেশাল পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিমকে। জানাতে হবে সমস্ত যুগ্ম কমিশনার এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারদেরও।
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে নগরপাল নিজে প্রত্যেক ডিভিশনে যাবেন। কথা বলবেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে। লালবাজার মনে করছে এতে অনেকটাই মনোবল পাবেন পুলিশকর্মীরা। সেই সূত্র ধরেই গতকাল নর্থ ডিভিশনে যান নগরপাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলে খুশি নর্থ ডিভিশনের আউটপোস্ট, ট্র্যাফিক বিভাগ এবং থানার অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণকর্মীরা ।
কর্মীদের মনোবল বাড়াতে নর্থ ডিভিশন পরিদর্শন নগরপালের
ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশে কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন একের পর এক পুলিশকর্মী । যার জেরে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছিল পুলিশের অভ্যন্তরে । এই পরিস্থিতিতে এবার পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি ডিভিশনে যাবেন নগরপাল অনুজ শর্মা । দেখা করবেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে। সেই সূত্রে গতকাল নর্থ ডিভিশনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার । দেখা করেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে । বৈঠক করেন সব পুলিশকর্মীদের সঙ্গে।
কলকাতা, 23 জুন : কলকাতা পুলিশে বাড়ছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । তৈরি হচ্ছে আতঙ্ক । আর তাই নিয়ে পুলিশের অভ্যন্তরে বিক্ষোভ পর্যন্ত হয়ে গেছে । লালবাজারের কর্তারা বুঝেছেন কর্মীদের মনোবল বাড়ানো অত্যন্ত প্রয়োজন । সেই কারণে ঠিক হয়েছে এই সপ্তাহ থেকে কলকাতা পুলিশের প্রত্যেকটি ডিভিশনে যাবেন নগরপাল অনুজ শর্মা । দেখা করবেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে। সেই সূত্রে গতকাল নর্থ ডিভিশনে যান কলকাতার পুলিশ কমিশনার । দেখা করেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে । বৈঠক করেন সব পুলিশকর্মীদের সঙ্গে।
মাস দেড়েক আগে কোরোনায় সংক্রমিত হয়েছিলেন গার্ডেনরিচ থানার OC। সেটাই ছিল কলকাতা পুলিশের প্রথম সংক্রমণের ঘটনা। তার জেরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছিল। বদলি করা হয়েছিল OC-কে । নতুন OC হিসাবে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন ময়ূখময় রায় । এই ঘটনার পর পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে গেছিলেন খোদ পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। কলকাতা পুলিশে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা 300-র কাছাকাছি । তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন শতাধিক পুলিশকর্মী । গার্ডেনরিচ, প্রগতি ময়দান, বউবাজার, বেলেঘাটা থানার OC-রা সংক্রমিত হয়ে সুস্থ হয়েছেন । বড়তলা, গড়ফা থানার অতিরিক্ত OC-রাও এখন কোরোনামুক্ত । গড়ফা থানায় আক্রান্ত 16 জন পুলিশকর্মী সুস্থ হয়ে গেছেন । কিন্তু প্রায় প্রতিদিন নতুন নতুন সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে ।
সেই সূত্র ধরে আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের চিকিৎসা ও দেখভালের জন্য লালবাজারের তরফে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ওয়েলফেয়ার সেল । এমনিতে ওয়েলফেয়ার সেল আগে থেকেই ছিল । কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশেষ এই সেলে পুলিশের বিভিন্ন ডিভিশন এবং ব্যাটেলিয়ান সহ প্রতিটি ইউনিটের প্রতিনিধিদের যুক্ত করা হয়েছে। তাতে সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছে 43 জন। যুগ্ম-কমিশনার সদর শুভঙ্কর সিনহা সরকারের নেতৃত্বে ওই সেল কাজ করছে । লালবাজারের 17 জন পুলিশ কর্তাও ওই সেলের সদস্য । পুলিশকর্মীরা যাতে ঠিকঠাক চিকিৎসা পায় তার জন্যই ওই সেল কাজ করছে । কলকাতার নগরপাল সম্প্রতি যে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, “ পুলিশকর্মীদের বাড়ির সদস্যরাও আমাদের বর্ধিত পরিবারের সদস্য । আমাদের দায়িত্ব তাঁদের রক্ষা করা। পাশে দাঁড়ানো।" সেই সূত্রেই ওয়েলফেয়ার অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, চিকিৎসা সংক্রান্ত যে কোনও সহযোগিতা অত্যন্ত দ্রুত করতে হবে। এই কাজে নজরদারি চালাবে সমস্ত ডিসিরা। প্রতি 15 দিন অন্তর ওয়েলফেয়ার অফিসাররা রিপোর্ট পাঠাবেন স্পেশাল পুলিশ কমিশনার জাভেদ শামিমকে। জানাতে হবে সমস্ত যুগ্ম কমিশনার এবং অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারদেরও।
পাশাপাশি ঠিক হয়েছে, পুলিশকর্মীদের মনোবল বাড়াতে নগরপাল নিজে প্রত্যেক ডিভিশনে যাবেন। কথা বলবেন কোরোনাজয়ীদের সঙ্গে। লালবাজার মনে করছে এতে অনেকটাই মনোবল পাবেন পুলিশকর্মীরা। সেই সূত্র ধরেই গতকাল নর্থ ডিভিশনে যান নগরপাল। তাঁর সঙ্গে কথা বলে খুশি নর্থ ডিভিশনের আউটপোস্ট, ট্র্যাফিক বিভাগ এবং থানার অফিসার থেকে শুরু করে সাধারণকর্মীরা ।