কলকাতা, 16 অগস্ট: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং ও ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে । বুধবার এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । তাঁর বক্তব্য, যাদবপুরে কোনও প্রশাসন নেই । বিশ্ববিদ্যালয়ের কোথাও সিসিটিভি নেই ।
আরও পড়ুন: লালবাজারে তলব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার-ডিন অফ স্টুডেন্টসকে
আদালতে তিনি আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা অবাধ প্রবেশ করে, যেন টুরিস্টদের জায়গা । বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং চলে । বিশ্ববিদ্যালয়টা যেন যা খুশি করার জায়গায় পরিণত হয়েছে । মাদক দ্রব্য, ড্রাগের ব্যবহার চলে অবাধে । এই প্রতিষ্ঠান যাতে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয় তার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন ।
তিনি এই মামলায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও পার্টি করেছেন ৷ কারণ, যাদবপুরের অব্যবস্থা নিয়ে কার্যত কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপালকেই ৷ তাঁর দাবি, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ইচ্ছে করেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, সহ-উপাচার্য নিয়োগ করছেন না ৷
আরও পড়ুন: যাদবপুর কাণ্ডে গ্রেফতার আরও 6 পড়ুয়া, তালিকায় প্রাক্তনীরাও
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলে প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার রহস্যমৃত্যু হয় ৷ ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ এই নিয়ে তোলপাড় চলছে ৷ পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ বেশ কয়েকজন গ্রেফতারও হয়েছে ৷ তার পরও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্য়ন্তরীণ অব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন অনেকে ৷ প্রশ্ন উঠছে, যাদবপুরের ব়্যাগিং রোগ নতুন নয় ৷ তার পরও কেন তা বন্ধ করা গেল না ? এত বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে না ?
এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্রনেতা সুদীপ রাহা জানান, বাম ও অতিবাম পড়ুয়ারা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ দুর্বিষহ করে তুলেছে ৷ যাদবপুরে কেন সিসিটিভি থাকবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ ৷ পাশাপাশি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীদের দিকে ৷ কেন তাঁরা প্রতিবাদ করছেন না, সেই প্রশ্নই করেছেন তৃণমূলের এই ছাত্র নেতা ৷