ETV Bharat / state

অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করার অভিযোগ, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের

হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন ও অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি দায়ের হয়েছে । মামলাকারীর আইনজীবীর আবেদন, লকডাউন শিথিল করা নিয়ে আদালত যেন কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় ।

author img

By

Published : Jun 2, 2020, 5:41 PM IST

ছবি
ছবি

কলকাতা, 2 জুন : অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে । এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে । মামলাকারীর আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের বক্তব্য, এই মুহূর্তে দেশে দু'লাখ ছুঁতে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার সমান ।

দেশজুড়ে শুধু কনটেনমেন্ট জ়োনে জারি লকডাউনের বিধিনিষেধ । রাজ্যেও শর্তসাপেক্ষে লকডাউন চলছে । 70 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকারি দপ্তর । আন্তঃরাজ্য পরিবহনও শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । এর মাঝে সামাজিক দূরত্ব না মানার নানা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে । কোথাও বাসে ধাক্কাধাক্কি করে উঠছে সাধারণ মানুষ । কোথাও বা পুরোনো ছন্দে বাজার খুলেছে । কোনওরকম প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা । এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে । আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস মামলায় একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন । তাঁর বক্তব্য, লকডাউন শিথিল করার ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা করেনি সরকার । ফলে বাজার থেকে শুরু করে সরকারি পরিবহন কোথাও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না । পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারেও রাজ্যের কোনও সুস্পষ্ট নীতি নেই । তাই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । রাজ্যের উচিত অবিলম্বে সমস্ত জনবহুল এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করা । যাতে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা যায় । রাজ্য সরকার সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছে । কিন্তু কর্মীরা কীভাবে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করবেন, তার কোনও রাস্তা দেখানো হয়নি । সরকারি পরিবহনে যেভাবে লোকজন যাতায়াত শুরু করেছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক । এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক আদালত । এবং সমস্ত কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিক ।

মামলার বয়ানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 25 মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন । তখন পুরো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 600-র একটু বেশি । এখন আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে দেশ । আর এখনই অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাই আদালত যেন কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় ।

প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন ও অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আজ মামলাটি দায়ের হয়েছে । খুব দ্রুতই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

কলকাতা, 2 জুন : অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে । এই অভিযোগে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল হাইকোর্টে । মামলাকারীর আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের বক্তব্য, এই মুহূর্তে দেশে দু'লাখ ছুঁতে চলেছে কোরোনা আক্রান্তের সংখ্যা । প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা সাধারণ মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার সমান ।

দেশজুড়ে শুধু কনটেনমেন্ট জ়োনে জারি লকডাউনের বিধিনিষেধ । রাজ্যেও শর্তসাপেক্ষে লকডাউন চলছে । 70 শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকারি দপ্তর । আন্তঃরাজ্য পরিবহনও শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা । এর মাঝে সামাজিক দূরত্ব না মানার নানা ছবি প্রকাশ্যে এসেছে । কোথাও বাসে ধাক্কাধাক্কি করে উঠছে সাধারণ মানুষ । কোথাও বা পুরোনো ছন্দে বাজার খুলেছে । কোনওরকম প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে কেনাকাটা । এই পরিপ্রেক্ষিতেই আজ এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে । আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস মামলায় একাধিক বিষয় তুলে ধরেছেন । তাঁর বক্তব্য, লকডাউন শিথিল করার ব্যাপারে কোনও পরিকল্পনা করেনি সরকার । ফলে বাজার থেকে শুরু করে সরকারি পরিবহন কোথাও সামাজিক দূরত্বের বিধি মানা হচ্ছে না । পরিযায়ী শ্রমিকদের ব্যাপারেও রাজ্যের কোনও সুস্পষ্ট নীতি নেই । তাই আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে । রাজ্যের উচিত অবিলম্বে সমস্ত জনবহুল এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশের ব্যবস্থা করা । যাতে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা যায় । রাজ্য সরকার সরকারি-বেসরকারি অফিস খোলার নির্দেশ দিয়েছে । কিন্তু কর্মীরা কীভাবে কর্মক্ষেত্রে যাতায়াত করবেন, তার কোনও রাস্তা দেখানো হয়নি । সরকারি পরিবহনে যেভাবে লোকজন যাতায়াত শুরু করেছে, তা অত্যন্ত বিপজ্জনক । এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করুক আদালত । এবং সমস্ত কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিক ।

মামলার বয়ানে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি 25 মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন । তখন পুরো দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল 600-র একটু বেশি । এখন আক্রান্তের নিরিখে বিশ্বে সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে দেশ । আর এখনই অপরিকল্পিতভাবে লকডাউন শিথিল করা হচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যাতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাই আদালত যেন কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় ।

প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন ও অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে আজ মামলাটি দায়ের হয়েছে । খুব দ্রুতই শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.