হালিশহর, 14 এপ্রিল : নতুন বছরের প্রথম দিন আজ । অথচ গঙ্গাঘাটে পুণ্যার্থীদের স্নানের জন্য ভিড় নেই । লক্ষ্মী-গণেশের মূর্তি ও হালখাতা নিয়ে মন্দিরে পুজো দেওয়ার হিড়িক নেই । বন্ধ দোকান-পাটও । অদ্ভুত একটা নিস্তব্ধতা যেন গ্রাস করেছে হালিশহরকে ।
হালিশহরের রামপ্রসাদের গঙ্গাঘাট । প্রতি বছর আজকের দিনে 10 হাজারের বেশি মানুষ সেখানে স্নান করতে আসেন । তারপর সেখানকার কালীমন্দিরে পুজো দেন । কিন্তু কোরোনার জেরে এ বছর সে সব কিছুই বন্ধ । মন্দিরের প্রধান ফটক বন্ধ । ফুল, ডালা- সহ পুজোর সামগ্রী যে সব দোকান বিক্রি করত সেগুলোও বন্ধ গত দুমাস ধরে । মন্দিরের গর্ভগৃহের সবকটি দরজা বন্ধ রাখা হয়েছে । এই ভিটেতেই থাকতেন সাধক রামপ্রসাদ । তাঁর সলিল সমাধির পরে অসমে বসবাসকারী এক ব্যক্তি স্বপ্নাদেশে রামপ্রসাদের ভিটেতেই শক্তির দেবী কালীর পূর্ণাবয়ব কষ্টি পাথরের মূর্তি স্থাপন করেন । তারপর থেকে নিত্য পূজা হয়ে আসছে দেবী কালীর ।
উত্তর 24 পরগনা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়মিত অসংখ্য পুণ্যার্থীরা আসেন দেবী দর্শনে । বছরের বিশেষ দিনগুলিতে পা রাখার জায়গা থাকে না রামপ্রসাদ ভিটে-সহ সংলগ্ন অঞ্চলে । গঙ্গার ঘাট থেকে স্নান সেরেই কাতারে কাতারে মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে পুজো দেন রামপ্রসাদের কালীর কাছে । অথচ এ বছর কাউকেই সেখানে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না । মন্দির কর্তৃপক্ষের কথায়, বিশ্রামে রয়েছেন ভগবান । সেই কারণে দর্শন আপাতত বন্ধ রয়েছে । পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হবে রামপ্রসাদের কালী ভিটে ।