ETV Bharat / state

কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা, রাস্তায় পড়ে রোগী

author img

By

Published : Jun 12, 2019, 7:12 AM IST

কোনও রোগী গাছতলায় শুয়ে । কোনও রোগীর পরিজন হাসপাতালে ঢুকতে পারছেন না । NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে জেরবার হলেন রোগী ও পরিজনরা ।

রাস্তায় রোগী

কলকাতা, 12 জুন : NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও পরিজনরা । হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচেই প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই মাটিতে পড়ে রইলেন কোনও রোগী । কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবারের সদস্যরা । রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত এই সমাস্যা সমাধানের আর্জি জানাল রোগীদের পরিবার।


মিনাখাঁর বাসিন্দা মহম্মদ রেজাউল শেখ অভিযোগ করেন, "আমার মেয়ে আসমা খাতুন। অটোর ধাক্কায় পা ভেঙে চুরমার । যন্ত্রণায় ছটপট করছে । প্রথমে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাই । সেখানে আমার মেয়েকে ভরতি নেয়নি। তারপর NRS হাসপাতালে আসি । কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখি প্রচুর গন্ডগোল । তারপর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি । কিন্তু এই হাসপাতালে এসেও দেখি একই অবস্থা । সকাল সাড়ে দশটায় এসেছি । জুনিয়র ডাক্তাররা আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে । বলে, এখান থেকে নার্সিংহোমে চলে যাও । আমরা গরিব মানুষ । ৫০ হাজার টাকা খরচ । আমি কোথায় পাব? ওটা আমরা বলতে পারব না । খোলা আকাশের নিচে গরমের মধ্যেই বাইরে আমি পড়ে আছি আমার মেয়েকে নিয়ে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার মেয়ের চিকিৎসার একটা দ্রুত ব্যবস্থা করলে খুবই ভালো হয় ।"


মুর্শিদাবাদের বেকডাঙার বাসিন্দা মানসুরা বিবি বলেন, "আমার শওহর শেখ সিরাজুল শেখ । আমি 3-4 বার আমার স্বামীকে নিয়ে এমারজেন্সিরতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি । আমাকে দূর দূর বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । আমার স্বামীর ইউরিনের সমস্যা । সকাল থেকেই এই গাছের তলায় আমরা এইভাবেই পড়ে আছি । আমি গরিব মানুষ । কী করব বলুন । জুনিয়র ডাক্তাররা বলছে, আমাদের সমস্য যতক্ষণ না মিটবে আমরা রোগী দেখব না ।"


শম্পা বসাক নামে এক মহিলা বলেন, "কলকাতার জোড়াবাগানে আমাদের বাড়ি । বাবা অসীম দত্ত এক মাস ধরে মেডিসিন বিভাগে ভরতি । ওয়ার্ডের মধ্যেই বুকের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন । কোনও ডাক্তার নেই । জুনিয়র ডাক্তাররা ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না । জল পর্যন্ত দেওয়ার কোনও লোক নেই । আমাদের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কোনও সামর্থ্য নেই । আমি মানছি, একজন জুনিয়র ডাক্তার গুরুতর আহত হয়েছেন । কিন্ত তার জন্য তো সব রোগী মারা যাবে । আমার বাড়িতে একটি ছোটো মেয়ে আছে । তাকে পাশের বাড়িতে রেখে আমি হাসপাতালে এসেছি । কিন্তু বাবাকে চিকিৎসা যে কী ভাবে করাব । সেটাই বুঝতে পারছি না ।"

কলকাতা, 12 জুন : NRS হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির জেরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগী ও পরিজনরা । হাসপাতালের বাইরে খোলা আকাশের নিচেই প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই মাটিতে পড়ে রইলেন কোনও রোগী । কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবারের সদস্যরা । রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত এই সমাস্যা সমাধানের আর্জি জানাল রোগীদের পরিবার।


মিনাখাঁর বাসিন্দা মহম্মদ রেজাউল শেখ অভিযোগ করেন, "আমার মেয়ে আসমা খাতুন। অটোর ধাক্কায় পা ভেঙে চুরমার । যন্ত্রণায় ছটপট করছে । প্রথমে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাই । সেখানে আমার মেয়েকে ভরতি নেয়নি। তারপর NRS হাসপাতালে আসি । কিন্তু হাসপাতালে এসে দেখি প্রচুর গন্ডগোল । তারপর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি । কিন্তু এই হাসপাতালে এসেও দেখি একই অবস্থা । সকাল সাড়ে দশটায় এসেছি । জুনিয়র ডাক্তাররা আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে । বলে, এখান থেকে নার্সিংহোমে চলে যাও । আমরা গরিব মানুষ । ৫০ হাজার টাকা খরচ । আমি কোথায় পাব? ওটা আমরা বলতে পারব না । খোলা আকাশের নিচে গরমের মধ্যেই বাইরে আমি পড়ে আছি আমার মেয়েকে নিয়ে । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, আমার মেয়ের চিকিৎসার একটা দ্রুত ব্যবস্থা করলে খুবই ভালো হয় ।"


মুর্শিদাবাদের বেকডাঙার বাসিন্দা মানসুরা বিবি বলেন, "আমার শওহর শেখ সিরাজুল শেখ । আমি 3-4 বার আমার স্বামীকে নিয়ে এমারজেন্সিরতে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি । আমাকে দূর দূর বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে । আমার স্বামীর ইউরিনের সমস্যা । সকাল থেকেই এই গাছের তলায় আমরা এইভাবেই পড়ে আছি । আমি গরিব মানুষ । কী করব বলুন । জুনিয়র ডাক্তাররা বলছে, আমাদের সমস্য যতক্ষণ না মিটবে আমরা রোগী দেখব না ।"


শম্পা বসাক নামে এক মহিলা বলেন, "কলকাতার জোড়াবাগানে আমাদের বাড়ি । বাবা অসীম দত্ত এক মাস ধরে মেডিসিন বিভাগে ভরতি । ওয়ার্ডের মধ্যেই বুকের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন । কোনও ডাক্তার নেই । জুনিয়র ডাক্তাররা ভিতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না । জল পর্যন্ত দেওয়ার কোনও লোক নেই । আমাদের নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কোনও সামর্থ্য নেই । আমি মানছি, একজন জুনিয়র ডাক্তার গুরুতর আহত হয়েছেন । কিন্ত তার জন্য তো সব রোগী মারা যাবে । আমার বাড়িতে একটি ছোটো মেয়ে আছে । তাকে পাশের বাড়িতে রেখে আমি হাসপাতালে এসেছি । কিন্তু বাবাকে চিকিৎসা যে কী ভাবে করাব । সেটাই বুঝতে পারছি না ।"

Intro:11-06-19

(Exclusive story)


(সিঙ্গেল ইটিভি বুমে বাইট আছে)


সুজয় ঘোষ, কলকাতা


কলকাতাঃ NRS কান্ডের জের কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়ার ডাক্তারদের কর্মবিরতির, অবস্থান বিক্ষোভের জন্য চরম ভোগান্তি রুগি ও রুগির পরিবারের সদস্যদের। জুনিয়ার ডাক্তার এমারজেন্সি অচল করে দেওয়ায়। হাসপাতালে বাইরে খোলা আকাশের নিচেই সকাল থেকে প্রচন্ডগরমের মধ্যেই মাটিতে পরে রইল রুগি। কান্নায় ভেঙে পড়লেন পরিবারের সদস্যারা। রাজ্য সরকারের কাছে দ্রুত এই সমাস্যা সমাধানের আরজি জানালেন রুগির পরিবার।




মিনাখার বাসিন্দা মহম্মদ রেজাউল শেখ অভিযোগ করেন "আমার মেয়ে আসমা খাতুন। অটোর ধাক্কায় পা ভেঙে চুরমার। যন্ত্রনায় ছটক্কাচ্ছে। প্রথমে চিত্তরঞ্জন ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। সেখানেও। আমার মেয়েকে ভর্তি নেয় নি। তার পর NRS হাসপাতালে আসি। কিন্তু হাসপাতালে এদে দেখি প্রচুর গন্ডোগোল। তার পর আমি আমার মেয়েকে নিয়ে কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসি। কিন্তু এই হাসপাতালে এসেও দেখি একই অবস্থা। সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে এসেছি। জুনিয়ার ডাক্তাররা আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। হাঠায় এখান থেকে নাসিংহোমে চলে যাও। আমরা গরিব মানুষ। ৫০ হাজার টাকা খরচ আমি কোথায় পাবো? ওটা আমরা বলতে পারবো না। খোল আকাশের নিচে গরমের মধ্যেই বাইরে আমি পড়ে আছি আমার মেয়েকে নিয়ে। আমি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী কাছে দাবী করছি আমার বাচ্চাটার চিকিৎসার একটা দ্রুত ব্যবস্থা করলে খুবই ভালো হয়"


মুর্শিদাবাদ এর বাসিন্দা মানসূরা বিবি বলেন, "মুর্শিদাবাদের এর বেকডাঙ্গার বাসিন্দা শেখ সিরাজুল শেখ। আমি ৩-৪ বার আমার স্বামীকে নিয়ে এমারজেন্সির তে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছি। আমাকে দূর দূর বলে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার স্বামীর ইউরিনের সমস্যা। আজ সকাল থেকেই এই গাছের তলায় আমারা এই ভাবেই পড়ে আছি। আমি গরিব মানুষ। কী করবো বলুন। জুনিয়ার ডাক্তারা বলছে। আমাদের সমস্য যতক্ষণ না মিটবে। আমরা রুগি দেখবো না"


শম্পা বসাক নামে রুগির পরিবারের এই সদস্যের অভিযোগ, "অসীম দত্ত। বাড়ি কলকাতার জোড়াবাগানে। গত ১ মাস ধরে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হচ্ছে। ওয়ার্ডের মধ্যেই বুকের যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন। কোনও ডাক্তার নেই। জুনিয়ার ডাক্তারা ভিতরে জল পর্যন্ত দেওয়ার কোনও। লোক নেই। আমাদের নাসিংহোমে নিয়ে যাওয়ার কোনও সামর্থ নেই। আমি মানছি একজন জুনিয়ার ডাক্তার গুরুত্বর অসুস্থ। কিন্ত তার জন্য তো সব রুগি মারা যাবে। আমার বাড়িতে একটি ছোট মেয়ে আছে
তাকে পাশের বাড়িতে রেখে আমি হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু বাবাকে চিকিৎসা যে কী ভাবে করাবো। সেটাই বুঝতে পারছি না।"Body:কপিConclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.