ETV Bharat / state

Science Conference: বিজ্ঞান সম্মেলনের আড়ালে পঞ্চভূত চর্চা ! প্রতিবাদে সরব বিজ্ঞান মঞ্চ

কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক (Ministry of Science and Technology) কয়েকটি 'বিজ্ঞান সম্মেলন' (Science Conference) আয়োজন করছে ৷ কেন সেই আয়োজনের বিরোধিতা করছে 'পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ' (Paschim Banga Vigyan Mancha) ?

Paschim Banga Vigyan Mancha Protesting the theme of Science Conference which to be organized by Ministry of Science and Technology
Science Conference: বিজ্ঞান সম্মেলনের আড়ালে পঞ্চভূত চর্চা ! প্রতিবাদে সরব বিজ্ঞান মঞ্চ
author img

By

Published : Oct 30, 2022, 6:40 PM IST

কলকাতা, 30 অক্টোবর: 'পঞ্চভূত চর্চা'র নামে অপবিজ্ঞান প্রচারের সরকারি আয়োজন বন্ধের দাবি তুলল 'পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ' (Paschim Banga Vigyan Mancha) ৷ তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক (Ministry of Science and Technology) কয়েকটি 'বিজ্ঞান সম্মেলন' (Science Conference) আয়োজন করতে চলেছে ৷ যেগুলিকে পঞ্চভূতের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে ৷ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের বক্তব্য, ভারত বা অন্য যেকোনও প্রাচীন সভ্যতার জ্ঞান মানবজাতির ঐতিহ্যের অঙ্গ ৷ সে সমস্ত নিয়ে চর্চা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু সেগুলি কোনও মতেই আধুনিক বিজ্ঞানের অঙ্গ নয় ৷ তাই, এই 'অপবিজ্ঞান' প্রচারে সরকারি আয়োজন বন্ধ করা হোক ৷

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার মহাপাত্র বলেন, "দেরাদুনে নভেম্বর মাসের 4 থেকে 6 তারিখ 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন' (Indian Space Research Organisation)-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে 'আকাশ' ৷ অথচ কোনও সরকারি বিভাগ বা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও এই বিজ্ঞান সম্মেলনের উল্লেখ পাওয়া গেল না ! কোনও অনুষ্ঠানসূচিও দেখা গেল না ! 35 জন বিশেষজ্ঞের এই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ৷ কিন্তু, তাঁদের কারও নাম জানা গেল না ! অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সন্দেহ হয় যে এই সম্মেলনে বিজ্ঞানের নামে অবিজ্ঞানের চর্চা হবে ! একদিকে বিজ্ঞান গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ ক্রমশ কমানো হচ্ছে, অন্যদিকে নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা ও অপবিজ্ঞানকে সরকারি আনুকূল্যে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্য বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ! দাবি মোদির

প্রদীপের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক কয়েকটি 'বিজ্ঞান সম্মেলন' আয়োজন করতে চলেছে ৷ যেগুলিকে পঞ্চভূতের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে ৷ আয়োজকদের মধ্যে পরমাণু শক্তি নিগম-সহ বিভিন্ন সরকারি গবেষণা সংস্থার সঙ্গেই রয়েছে বিজ্ঞান ভারতী নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এই সংস্থা আধ্যাত্মিকতাকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রচার করে চলেছে বলে অভিযোগ) ৷ এই সমস্ত সম্মেলনে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের সম্পর্ক খোঁজা হবে ৷ প্রাচীন ভারতীয় বা অন্য যেকোনও প্রাচীন সভ্যতার জ্ঞান মানবজাতির ঐতিহ্যের অঙ্গ ৷ সেই সমস্ত নিয়ে চর্চা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু সেগুলি আধুনিক বিজ্ঞান নয় ৷ তাহলে কেন দু'টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রদীপ ৷

বিজ্ঞান মঞ্চের এই সদস্য তথা সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আজ বিদ্যালয়ের উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরাও মৌল, অণু-পরমাণু, প্রোটন, নিউট্রন, ইলেকট্রন, এমনকী কোয়ার্ক ইত্যাদির কথা জানে ৷ অথচ একবিংশ শতাব্দীতে 'আকাশ' নামাঙ্কিত সম্মেলনের পরিচিতিপত্রে লেখা হচ্ছে ব্রহ্মাণ্ড পঞ্চভূত দ্বারা নির্মিত ! এই সমস্ত অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সগৌরবে প্রচারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে ভারতের বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে কী বার্তা যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রদীপ ৷

কলকাতা, 30 অক্টোবর: 'পঞ্চভূত চর্চা'র নামে অপবিজ্ঞান প্রচারের সরকারি আয়োজন বন্ধের দাবি তুলল 'পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ' (Paschim Banga Vigyan Mancha) ৷ তাদের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক (Ministry of Science and Technology) কয়েকটি 'বিজ্ঞান সম্মেলন' (Science Conference) আয়োজন করতে চলেছে ৷ যেগুলিকে পঞ্চভূতের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে ৷ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের বক্তব্য, ভারত বা অন্য যেকোনও প্রাচীন সভ্যতার জ্ঞান মানবজাতির ঐতিহ্যের অঙ্গ ৷ সে সমস্ত নিয়ে চর্চা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু সেগুলি কোনও মতেই আধুনিক বিজ্ঞানের অঙ্গ নয় ৷ তাই, এই 'অপবিজ্ঞান' প্রচারে সরকারি আয়োজন বন্ধ করা হোক ৷

পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার মহাপাত্র বলেন, "দেরাদুনে নভেম্বর মাসের 4 থেকে 6 তারিখ 'ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন' (Indian Space Research Organisation)-এর সহায়তায় অনুষ্ঠিত হতে চলেছে 'আকাশ' ৷ অথচ কোনও সরকারি বিভাগ বা ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটেও এই বিজ্ঞান সম্মেলনের উল্লেখ পাওয়া গেল না ! কোনও অনুষ্ঠানসূচিও দেখা গেল না ! 35 জন বিশেষজ্ঞের এই সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার কথা ৷ কিন্তু, তাঁদের কারও নাম জানা গেল না ! অতীত অভিজ্ঞতা থেকে সন্দেহ হয় যে এই সম্মেলনে বিজ্ঞানের নামে অবিজ্ঞানের চর্চা হবে ! একদিকে বিজ্ঞান গবেষণায় অর্থ বরাদ্দ ক্রমশ কমানো হচ্ছে, অন্যদিকে নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা ও অপবিজ্ঞানকে সরকারি আনুকূল্যে ধারাবাহিকভাবে প্রচার করা হচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন: মহাকাশ গবেষণায় ভারতের সাফল্য বিশ্বকে চমকে দিয়েছে ! দাবি মোদির

প্রদীপের বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক কয়েকটি 'বিজ্ঞান সম্মেলন' আয়োজন করতে চলেছে ৷ যেগুলিকে পঞ্চভূতের নামে নামাঙ্কিত করা হয়েছে ৷ আয়োজকদের মধ্যে পরমাণু শক্তি নিগম-সহ বিভিন্ন সরকারি গবেষণা সংস্থার সঙ্গেই রয়েছে বিজ্ঞান ভারতী নামে একটি বেসরকারি সংস্থা (এই সংস্থা আধ্যাত্মিকতাকে বিজ্ঞান হিসাবে প্রচার করে চলেছে বলে অভিযোগ) ৷ এই সমস্ত সম্মেলনে আধুনিক বিজ্ঞানের সঙ্গে প্রাচীন ভারতীয় জ্ঞানের সম্পর্ক খোঁজা হবে ৷ প্রাচীন ভারতীয় বা অন্য যেকোনও প্রাচীন সভ্যতার জ্ঞান মানবজাতির ঐতিহ্যের অঙ্গ ৷ সেই সমস্ত নিয়ে চর্চা নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ৷ কিন্তু সেগুলি আধুনিক বিজ্ঞান নয় ৷ তাহলে কেন দু'টিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন প্রদীপ ৷

বিজ্ঞান মঞ্চের এই সদস্য তথা সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, আজ বিদ্যালয়ের উঁচু ক্লাসের ছাত্রছাত্রীরাও মৌল, অণু-পরমাণু, প্রোটন, নিউট্রন, ইলেকট্রন, এমনকী কোয়ার্ক ইত্যাদির কথা জানে ৷ অথচ একবিংশ শতাব্দীতে 'আকাশ' নামাঙ্কিত সম্মেলনের পরিচিতিপত্রে লেখা হচ্ছে ব্রহ্মাণ্ড পঞ্চভূত দ্বারা নির্মিত ! এই সমস্ত অবৈজ্ঞানিক তত্ত্ব সগৌরবে প্রচারের মাধ্যমে সারা বিশ্বের কাছে ভারতের বিজ্ঞানচর্চা নিয়ে কী বার্তা যাচ্ছে, তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রদীপ ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.