ETV Bharat / state

জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন শিক্ষামন্ত্রী

জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে শিক্ষা মহলের মতামত জানতে আগামীকাল রাজ্যের স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

শিক্ষামন্ত্রী
author img

By

Published : Jul 14, 2019, 11:51 PM IST

কলকাতা, 14 জুলাই : জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে শিক্ষা মহলের মতামত জানতে আগামীকাল রাজ্যের স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি ও অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়কে । শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার আজ জানান, তিনি উপস্থিত থাকবেন আগামীকালের বৈঠকে। সেখানে তিনি বিদ্যালয়ে ভাষাশিক্ষার বিষয়ে মতামত দেবেন ।

আগামীকাল বিকাশ ভবনে মোট 16টি শিক্ষক সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক হবে । তাঁদের প্রতিনিধিসহ বৈঠকে থাকবেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিরা । এছাড়াও থাকবেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারসহ শিক্ষা দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা । এই বৈঠকে মূলত জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামহলের মতামত নেওয়া হবে । আগামীকালের বৈঠকে যাওয়া নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এর আগেরবারও এই বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম এবারেও যাব । আমি মূলত ভাষা শিক্ষার উপর বক্তব্য রাখব । এছাড়াও মাধ্যমিক এডুকেশন পর্যায়ে, স্কুল এডুকেশন পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষানীতি যে সুপারিশগুলো করেছে সেগুলো নিয়ে কথা বলব।"
প্রায় প্রতিটি আমন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনই আগামীকালের এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন । তাঁরা জাতীয় শিক্ষানীতির কোন কোন বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন তা ইতিমধ্যেই ঠিক করে নিয়েছেন তাঁরা।


নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, "প্রথমত, ভারতবর্ষে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সংবিধানে আছে শিক্ষাতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এটা একদম বাদ চলে গেছে। এটাকে যুক্ত করতে হবে। সিলেবাসে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা, ঐক্য ও সংহতি কথা, সেগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে। পরিকাঠামোর বিষয়টা আছে । প্রেপ টু ফাইভ ইউনিট করতে হবে। এই বিষয়গুলোই আমরা তুলে ধরব। আমরা বলছি প্রেপটা প্রাথমিকের সঙ্গে যুক্ত করতে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত একটা ইউনিট হোক। ABPTA-র ব্যক্তিগত একটা বক্তব্য হচ্ছে যে, আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই ছিল 5+ ছিল ক্লাস ওয়ানে । সেটা করা উচিত।"

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "প্রথমত, কালকে ন্যাশনাল এডুকেশন ড্রাফ্ট পলিসি 2019-এর উপর আমাদের মতামত জানার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভায় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে, প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বোর্ডের প্রেসিডেন্টদের ডাকা হয়েছে । এই খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা আমাদের মতামত MHRD-কে জানিয়েছিলাম । এটা একটা 484 পাতার খসড়া । যেখানে স্কুল এডুকেশনের উপর 192 পাতা দেওয়া আছে । 9টি পর্যায়ে সেটা বিভক্ত করা আছে । আমরা এই খসড়া তন্নতন্ন করে দেখেছি যে, এই নীতি যদি নেওয়া যায়, তাহলে আমাদের দেশের সাধারণ একেবারে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে শিক্ষাটা অত্যন্ত সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। এটার মধ্যে দিয়ে আমরা যেটা দেখেছি যে, শিক্ষার জ্ঞানের মূলধারা বদলে যান্ত্রিক একটা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেনতেন প্রকারে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই এটার মূল লক্ষ্য । এটা জ্ঞান জগতের চিন্তাধারার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী । আমরা এটা স্বীকার করতে পারছি না ।"

আগামীকালের বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষার চারটি ভাগ এবং তার প্রথম অর্থাৎ প্রাইমারি স্তরে অঙ্গনওয়ারিদের ভূমিকা, 9-12 শ্রেণিতে সেমিস্টার ব্যবস্থা, সেমিস্টার ব্যবস্থা ন্যূনতম 24টার বেশি ও সর্বোচ্চ 40টা বিষয়ে পড়ানোর দিকটি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু।

কলকাতা, 14 জুলাই : জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে শিক্ষা মহলের মতামত জানতে আগামীকাল রাজ্যের স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি ও অরুণ কুমার চট্টোপাধ্যায়কে । শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার আজ জানান, তিনি উপস্থিত থাকবেন আগামীকালের বৈঠকে। সেখানে তিনি বিদ্যালয়ে ভাষাশিক্ষার বিষয়ে মতামত দেবেন ।

আগামীকাল বিকাশ ভবনে মোট 16টি শিক্ষক সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক হবে । তাঁদের প্রতিনিধিসহ বৈঠকে থাকবেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিরা । এছাড়াও থাকবেন সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদারসহ শিক্ষা দপ্তরের অন্য আধিকারিকরা । এই বৈঠকে মূলত জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামহলের মতামত নেওয়া হবে । আগামীকালের বৈঠকে যাওয়া নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "এর আগেরবারও এই বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম এবারেও যাব । আমি মূলত ভাষা শিক্ষার উপর বক্তব্য রাখব । এছাড়াও মাধ্যমিক এডুকেশন পর্যায়ে, স্কুল এডুকেশন পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষানীতি যে সুপারিশগুলো করেছে সেগুলো নিয়ে কথা বলব।"
প্রায় প্রতিটি আমন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনই আগামীকালের এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন । তাঁরা জাতীয় শিক্ষানীতির কোন কোন বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন তা ইতিমধ্যেই ঠিক করে নিয়েছেন তাঁরা।


নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, "প্রথমত, ভারতবর্ষে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সংবিধানে আছে শিক্ষাতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ । এটা একদম বাদ চলে গেছে। এটাকে যুক্ত করতে হবে। সিলেবাসে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা, ঐক্য ও সংহতি কথা, সেগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে। পরিকাঠামোর বিষয়টা আছে । প্রেপ টু ফাইভ ইউনিট করতে হবে। এই বিষয়গুলোই আমরা তুলে ধরব। আমরা বলছি প্রেপটা প্রাথমিকের সঙ্গে যুক্ত করতে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত একটা ইউনিট হোক। ABPTA-র ব্যক্তিগত একটা বক্তব্য হচ্ছে যে, আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই ছিল 5+ ছিল ক্লাস ওয়ানে । সেটা করা উচিত।"

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "প্রথমত, কালকে ন্যাশনাল এডুকেশন ড্রাফ্ট পলিসি 2019-এর উপর আমাদের মতামত জানার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভায় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে, প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বোর্ডের প্রেসিডেন্টদের ডাকা হয়েছে । এই খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা আমাদের মতামত MHRD-কে জানিয়েছিলাম । এটা একটা 484 পাতার খসড়া । যেখানে স্কুল এডুকেশনের উপর 192 পাতা দেওয়া আছে । 9টি পর্যায়ে সেটা বিভক্ত করা আছে । আমরা এই খসড়া তন্নতন্ন করে দেখেছি যে, এই নীতি যদি নেওয়া যায়, তাহলে আমাদের দেশের সাধারণ একেবারে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে শিক্ষাটা অত্যন্ত সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে। এটার মধ্যে দিয়ে আমরা যেটা দেখেছি যে, শিক্ষার জ্ঞানের মূলধারা বদলে যান্ত্রিক একটা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেনতেন প্রকারে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই এটার মূল লক্ষ্য । এটা জ্ঞান জগতের চিন্তাধারার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী । আমরা এটা স্বীকার করতে পারছি না ।"

আগামীকালের বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষার চারটি ভাগ এবং তার প্রথম অর্থাৎ প্রাইমারি স্তরে অঙ্গনওয়ারিদের ভূমিকা, 9-12 শ্রেণিতে সেমিস্টার ব্যবস্থা, সেমিস্টার ব্যবস্থা ন্যূনতম 24টার বেশি ও সর্বোচ্চ 40টা বিষয়ে পড়ানোর দিকটি নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্বজিৎবাবু।

Intro:কলকাতা, 14 জুলাই: জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে শিক্ষা মহলের মতামত জানতে আগামীকাল রাজ্যের স্বীকৃত শিক্ষক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। শিক্ষক সংগঠনগুলির পাশাপাশি বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার, নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ি ও অরুন কুমার চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার আজ জানান, তিনি আগামীকালের বৈঠকে যাবেন। সেখানে তিনি বিদ্যালয়ে ভাষা শিক্ষার বিষয়ে মতামত দেবেন।

Body:আগামীকাল বিকাশ ভবনে মোট 16টি শিক্ষক সংগঠনকে নিয়ে এই বৈঠক হবে। তাঁদের প্রতিনিধি সহ বৈঠকে থাকবেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিরা, সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার সহ শিক্ষা দপ্তরের অন্যান্য আধিকারিকরা। এই বৈঠকে মূলত জাতীয় শিক্ষা নীতি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষা মহলের মতামত নেওয়া হবে। আগামীকালের বৈঠকে যাওয়া নিয়ে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার বলেন, "আমি যাচ্ছি। এর আগের বারও গেছি। এবারেও যাব। আমি আমার নিজস্ব মতামত রাখব। আমি মূলত ভাষা শিক্ষার উপর বলব। মাধ্যমিক এডুকেশন পর্যায়ে, স্কুল এডুকেশন পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষানীতি যে সুপারিশগুলো করেছে সেগুলো নিয়ে আমি বলব।"

প্রায় প্রতিটি আমন্ত্রিত শিক্ষক সংগঠনই আগামীকালের এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা জাতীয় শিক্ষানীতির কোন কোন বিষয়ে মত প্রকাশ করবেন তা ইতিমধ্যেই ঠিক করে নিয়েছেন। নিখিল বঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সময় চক্রবর্তী বলেন, "শিক্ষানীতি সবসময় ভালো দিক ও খারাপ দিক নিয়ে লেখা হয়। এখানে তো সেরকম নেই। সরাসরি বড় বড় কথা বলা আছে। নালন্দা তক্ষশীলা এই মডেলে সব করা হবে। প্রি-প্রাইমারির কথা, তাদের টিফিনের ব্যবস্থা সব বলা আছে। অনেক কিছু কথা বলা আছে। কিন্তু, আর্থিক খরচ কে করবে সেই সব কিছু ব্যাপার নেই। আর্থিক বিষয়ের কোনও জায়গায় উল্লেখ নেই। তার সঙ্গে সোশ্যাল ওয়ার্কার, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের লোকরা মানে RSS-এর লোকেরা আসবে, পড়াবে। স্কুল কমপ্লেক্স হবে। তাতে কিন্তু টিচারদের কোন ভূমিকা থাকবে না। যা থাকবে ওদেরই থাকবে। বলা হয়েছে, প্যারা টিচার ২০২২ সাল থেকে থাকবে না। তাহলে প্যারা টিচাররা কী হবে? তাঁরা কি থাকবে না? তাঁদের কি স্থায়ী শিক্ষক করবে? তাঁদের কি পেনশনের অন্তর্ভুক্ত করবে? অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের কি প্রশিক্ষিত করে ওখানে আবার নিয়োগ করবে? কোনো কিছুই পরিষ্কার নয়। শুধু ভাসা ভাসা বলা আছে। এমন ভালো করে ভাসা ভাসা মুখরোচক বলা আছে যে আপনার বিরোধিতা করার বিশেষ জায়গা নেই। কোথাও অর্থসংস্থানের কথা বলা হয়নি। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার বেসরকারিকরণ, বাণিজ্যিকীকরণ করার একটা জায়গা। শিক্ষা ক্ষেত্রে সাম্প্রদায়িক করণ করার একটা চেষ্টা। অন্তর্নিহিত বিষয় কিছু নেই, এখানে বড় বড় কথা লেখা আছে।"

নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকুমার পাইন বলেন, "প্রথমত, ভারতবর্ষে যে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা সংবিধানে আছে শিক্ষাতে এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটা একদম অমিট করা হয়ে গেছে। এটাকে যুক্ত করতে হবে। পাঠক্রমে ধর্মনিরপেক্ষতার কথা, ঐক্য ও সংহতি কথা, সেগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে। পরিকাঠামোর বিষয়টা আছে। প্রেপ টু ফাইভ ইউনিট করতে হবে। এই বিষয়গুলোই আমরা তুলে ধরব। আমরা বলছি প্রেপটা প্রাথমিকের সঙ্গে যুক্ত করতে। ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত একটা ইউনিট হোক। ABPTA-র ব্যক্তিগত একটা বক্তব্য হচ্ছে যে, আগে বামফ্রন্ট সরকারের আমলেই ছিল ৫+ ছিল ক্লাস ওয়ানে। সেটা করা উচিত।"

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সভাপতি বিশ্বজিৎ মিত্র বলেন, "প্রথমত, কালকে ন্যাশনাল এডুকেশন ড্রাফ্ট পলিসি 2019-এর উপর আমাদের মতামত জানার জন্য শিক্ষা দপ্তর থেকে শিক্ষামন্ত্রীর উদ্যোগে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেই সভায় শিক্ষা বিভাগের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে, প্রাথমিক মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের বোর্ডের প্রেসিডেন্টদের ডাকা হয়েছে। এই ড্রাফ্ট প্রকাশিত হওয়ার পর আমরা আমাদের মতামত MHRD-কে জানিয়েছিলাম। এটা একটা 484 পাতার খসড়া। যেখানে স্কুল এডুকেশনের উপর 192 পাতা দেওয়া আছে। 9টি পর্যায়ে সেটা বিভক্ত করা আছে। আমরা এই ড্রাফ্টের তন্নতন্ন করে দেখেছি যে, এই নীতি যদি অ্যাডাপ্ট হয়, তাহলে আমাদের দেশের সাধারন একেবারে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে শিক্ষাটা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়বে। এটার মধ্যে দিয়ে আমরা যেটা দেখেছি যে, শিক্ষার জ্ঞানের মূলধারাটাকে বদলে দিয়ে, সেইটা ভোকেশনাল টাইপের এডুকেশনের মধ্যে দিয়ে যান্ত্রিক একটা শিক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে যেন তেন প্রকারে চাকরি পাইয়ে দেওয়াই এটার মূল লক্ষ্য। এটা জ্ঞান জগতের চিন্তাধারার সঙ্গে সম্পূর্ণ বিরোধী। আমরা এটা স্বীকার করতে পারছি না।" আগামীকালের বৈঠকে জাতীয় শিক্ষানীতিতে স্কুল শিক্ষার চারটে ভাগ এবং তার প্রথম অর্থাৎ প্রাইমারি স্তরে অঙ্গনওয়ারিদের ভূমিকা, 9-12 শ্রেনিতে সেমিস্টার ব্যবস্থা, সেমিস্টার ব্যবস্থা ন্যূনতম 24টার বেশি ও সর্বোচ্চ 40টা বিষয়ে পড়ার অবাস্তবতার বিষয়ে তুলে ধরা হবে বলে জানাচ্ছেন বিশ্বজিৎবাবু।
Conclusion:null
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.