বারাণসী, 26 ডিসেম্বর: বাংলাদেশের হিন্দুদের ওপর লাগাতার আক্রমণ, নিপীড়নের অভিযোগ উঠছে ৷ কোথাও হিন্দুদের বাড়ি ভাঙচুর, তো কোথাও সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া চেষ্টা। আর মন্দিরের ওপর হামলার ঘটনা সামনে এসেছে একাধিকবার ৷ এই পরিস্থিতিতে বুধবার বাংলাদেশের 12 জন হিন্দুর একটি দল উত্তরাখণ্ডের জোশীমঠের শঙ্করাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে বারাণসী পৌঁছয় ৷
শঙ্করাচার্য অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতীর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন বাংলাদেশি হিন্দুরা ৷ তাঁদের পরিস্থিতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মেদির কাছে তুলে ধরার আশ্বাস দেন শঙ্করাচার্য ৷ পাশাপাশি স্বামী আভিমুক্তেশ্বরানন্দ বাংলাদশি হিন্দুদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি সরকারকে চিঠি দেবেন ও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য । শঙ্করাচার্য বলেন, "বাংলাদেশে হিন্দুরা শুধুমাত্র তাদের বিশ্বাসের কারণে নির্যাতিত হচ্ছে। ওই পরিবারগুলো তাদের পরিস্থিতি আমাকে জানিয়েছে ৷ আমি ওদের উদ্বেগ ভারত সরকারের কাছে জানাব ৷"
পাশাপাশি, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবতের সাম্প্রতিক মন্তব্য সম্পর্কেও শঙ্করাচার্য এদিন মন্তব্য করেন ৷ ভাগবতকে নিয়ে সাংবাদিকদের তরফে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি বলেন, "ভাগবতের করা মন্তব্য রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ৷" উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মন্দির-মসজিদ বিতর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ভাগবত বলেছিলেন, 'কেউ কেউ মনে করেন, অযোধ্যার রামমন্দির নির্মাণের পর, তাঁরা এই বিতর্কের মধ্যে হিন্দুদের নেতা হয়ে উঠতে পারেন। প্রতিদিন নতুন ইস্যু তৈরি করে শত্রুতা তৈরি করা ঠিক নয়। বিশ্বকে আমাদের দেখানো উচিত যে আমরা শান্তিতে একসঙ্গে থাকি।"
শঙ্করাচার্য এই মন্তব্যেরই প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, "মোহন ভাগবত হিন্দুদের কষ্ট বুঝতে পারছেন না। অনেক হিন্দু মন্দির ভেঙে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু তিনি তারপরেও হিন্দুদের যন্ত্রণা অনুভব করছেন না। আজও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মন্দির ভাঙা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য, হিন্দুরা যদি বেদখল হয়ে যাওয়া মসজিদ পুনরুদ্ধার করার চেষ্টা করে তাহলে তাতে দোষের কী আছে?"