ETV Bharat / state

লকডাউনে রাজ্যের দুস্থ মানুষের পরিস্থিতি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

লকডাউনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা স্বীকার অথবা বিশ্বাস করে মানুষ যথার্থই সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন । গরিব মানুষেরা যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন । সকলেই গৃহবন্দী । লকডাউনের সাফল্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে , গৃহবন্দী মানুষের কাছে খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক জরুরি বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া । কিন্তু তা করা হচ্ছে না ৷ সেক্ষেত্রে মানুষ যথেষ্টই বিপদে । এমনটাই জানাচ্ছে বিরোধীরা ৷

Kolkata
কলকাতা
author img

By

Published : Apr 25, 2020, 5:19 PM IST

কলকাতা , 25 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশ ও রাজ্যবাসী , রাজ্যের সব বিরোধীদল , লকডাউন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে । এই অবস্থায় রাজ্যের দুস্থ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি । এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন । এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের এই দুই নেতা । কিন্তু এখনও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়নি ।

লকডাউনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা স্বীকার অথবা বিশ্বাস করে মানুষ যথার্থই সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন । গরিব মানুষ , কৃষক , শ্রমজীবি , নিম্নবিত্ত মানুষ সহ প্রায় সবাই যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন । সকলেই গৃহবন্দী । লকডাউনের সাফল্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে , গৃহবন্দী মানুষের কাছে খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক জরুরি বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া । কিন্তু তা করা হচ্ছে না ৷ সেক্ষেত্রে মানুষ যথেষ্টই বিপদে । এমনটাই জানাচ্ছে বিরোধীরা ৷

এক্ষেত্রে বামপন্থী দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন , এক মাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ । মানুষের হাতে পয়সা নেই । ওষুধসহ জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী । বাজার খোলা , অথচ জরুরি এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য নেই মানুষের । খেতমজুর, দিনমজুর, অসংগঠিত শ্রমিক, অস্থায়ী-ক্যাজ়ুয়াল-চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী, সাধারণ গৃহ শিক্ষক , ছোটো দোকান-ব্যবসায়ীরা সংকটে ।

সংসার বাঁচানোর সংকট । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের মাসে ন্যূনতম সাড়ে সাত হাজার টাকার প্যাকেজ দেওয়ার জন্য । কিন্তু এই পরিবারগুলির গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তবে কিছুই করেনি । সর্বদলীয় বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছিল যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেন ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করে প্যাকেজ দেওয়া হয় । এটা খুবই জরুরি । যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হল ।

লকডাউনের এই সংকট পর্বে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য "প্রচেষ্টা" প্রকল্প চালু করেছেন । সেক্ষেত্রে সুজন চক্রবর্তী বলেন , ঘোষিত "প্রচেষ্টা" প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া থেকে মনে হয়েছে ,এই প্রকল্পে আপাতত তিনটি সংশোধন করা খুবই জরুরি । নচেৎ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সাধিত হবে না ।

এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান চিঠিতে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে BDO , SDO বা কোনও সরকারি দপ্তরে , দূরত্ব বা ভিড়ের কারণে দরখাস্ত জমা দেওয়া বা নেওয়া অসুবিধাজনক । এটা ঠিক হবে না । এছাড়া লকডাউন পর্বে বহু জায়গায় জেরক্সের দোকানও কার্যত বন্ধ । স্বভাবতই রাজ্য সরকারের অন্যান্য বহু প্রকল্পের অনুসারে অ্যাপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে "প্রচেষ্টা" প্রকল্পের দরখাস্ত জমার ব্যবস্থা করা হোক ।
লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি । SSY, NSAP ইত্যাদিতে যুক্তদের এই প্রকল্পে বাদ দিলে , "প্রচেষ্টা"র উদ্দেশ্য কার্যত অর্থহীন হয়ে যায় । বরং প্রকল্পটি সকলের জন্যই কার্যকর করা জরুরি ।

এই বিশেষ প্রকল্পে ন্যূনতম তিন মাসের জন্য মাসিক 2 হাজার টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে । পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকার আংশিক সংশোধন করে এই আর্থিক প্যাকেজ দ্রুত প্রদান করার কথাও জানানো হয়েছে।

রাজ্যের সামগ্রিক দাবি হিসেবে পরিযায়ী শ্রমিক, অসংগঠিত শ্রমিক সহ উল্লিখিত সকলের জন্য যাতে মাসিক 7500 টাকার প্যাকেজ কেন্দ্র প্রদান করে তার জন্য সার্বিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে । দুই বিরোধী দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবিও জানানো হয়েছে ৷

কলকাতা , 25 এপ্রিল : কোরোনা ভাইরাস মোকাবিলায় দেশ ও রাজ্যবাসী , রাজ্যের সব বিরোধীদল , লকডাউন প্রক্রিয়ার মধ্যেই রয়েছে । এই অবস্থায় রাজ্যের দুস্থ মানুষের জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি । এই অভিযোগ জানিয়ে আজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং পরিষদীয় দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে চিঠি দিলেন । এর আগে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ-এর আবেদন জানিয়ে চিঠি দিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলের এই দুই নেতা । কিন্তু এখনও মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়নি ।

লকডাউনের বাস্তব প্রয়োজনীয়তা স্বীকার অথবা বিশ্বাস করে মানুষ যথার্থই সদর্থক ভূমিকা পালন করছেন । গরিব মানুষ , কৃষক , শ্রমজীবি , নিম্নবিত্ত মানুষ সহ প্রায় সবাই যথেষ্ট অসুবিধার মধ্যে রয়েছেন । সকলেই গৃহবন্দী । লকডাউনের সাফল্যের মূল ভিত্তি হচ্ছে , গৃহবন্দী মানুষের কাছে খাদ্য এবং আনুষঙ্গিক জরুরি বিষয়গুলি পৌঁছে দেওয়া । কিন্তু তা করা হচ্ছে না ৷ সেক্ষেত্রে মানুষ যথেষ্টই বিপদে । এমনটাই জানাচ্ছে বিরোধীরা ৷

এক্ষেত্রে বামপন্থী দলের নেতা সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন , এক মাসের বেশি সময় ধরে শ্রমিকদের কাজ বন্ধ । মানুষের হাতে পয়সা নেই । ওষুধসহ জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী । বাজার খোলা , অথচ জরুরি এবং প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য নেই মানুষের । খেতমজুর, দিনমজুর, অসংগঠিত শ্রমিক, অস্থায়ী-ক্যাজ়ুয়াল-চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক কর্মচারী, সাধারণ গৃহ শিক্ষক , ছোটো দোকান-ব্যবসায়ীরা সংকটে ।

সংসার বাঁচানোর সংকট । কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দাবি করা হয়েছিল, তাঁদের মাসে ন্যূনতম সাড়ে সাত হাজার টাকার প্যাকেজ দেওয়ার জন্য । কিন্তু এই পরিবারগুলির গ্রাসাচ্ছাদনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার বাস্তবে কিছুই করেনি । সর্বদলীয় বৈঠকে দাবি জানানো হয়েছিল যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেন ন্যূনতম দুই হাজার টাকা করে প্যাকেজ দেওয়া হয় । এটা খুবই জরুরি । যত দ্রুত সম্ভব এই ব্যবস্থা কার্যকর করার জন্য আজ মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হল ।

লকডাউনের এই সংকট পর্বে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রী অসংগঠিত শ্রমিকদের জন্য "প্রচেষ্টা" প্রকল্প চালু করেছেন । সেক্ষেত্রে সুজন চক্রবর্তী বলেন , ঘোষিত "প্রচেষ্টা" প্রকল্প সম্পর্কে বিভিন্ন মহলের প্রতিক্রিয়া থেকে মনে হয়েছে ,এই প্রকল্পে আপাতত তিনটি সংশোধন করা খুবই জরুরি । নচেৎ প্রকল্পটির উদ্দেশ্য সাধিত হবে না ।

এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান চিঠিতে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে BDO , SDO বা কোনও সরকারি দপ্তরে , দূরত্ব বা ভিড়ের কারণে দরখাস্ত জমা দেওয়া বা নেওয়া অসুবিধাজনক । এটা ঠিক হবে না । এছাড়া লকডাউন পর্বে বহু জায়গায় জেরক্সের দোকানও কার্যত বন্ধ । স্বভাবতই রাজ্য সরকারের অন্যান্য বহু প্রকল্পের অনুসারে অ্যাপস-এর মাধ্যমে অনলাইনে "প্রচেষ্টা" প্রকল্পের দরখাস্ত জমার ব্যবস্থা করা হোক ।
লকডাউনের পরিপ্রেক্ষিতে এটি একটি বিশেষ সহায়তা কর্মসূচি । SSY, NSAP ইত্যাদিতে যুক্তদের এই প্রকল্পে বাদ দিলে , "প্রচেষ্টা"র উদ্দেশ্য কার্যত অর্থহীন হয়ে যায় । বরং প্রকল্পটি সকলের জন্যই কার্যকর করা জরুরি ।

এই বিশেষ প্রকল্পে ন্যূনতম তিন মাসের জন্য মাসিক 2 হাজার টাকা করে আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হয়েছে চিঠিতে । পাশাপাশি সরকারি নির্দেশিকার আংশিক সংশোধন করে এই আর্থিক প্যাকেজ দ্রুত প্রদান করার কথাও জানানো হয়েছে।

রাজ্যের সামগ্রিক দাবি হিসেবে পরিযায়ী শ্রমিক, অসংগঠিত শ্রমিক সহ উল্লিখিত সকলের জন্য যাতে মাসিক 7500 টাকার প্যাকেজ কেন্দ্র প্রদান করে তার জন্য সার্বিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে রাজ্যের তরফে । দুই বিরোধী দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই দাবিও জানানো হয়েছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.