ETV Bharat / state
কলকাতায় সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত বৃদ্ধর মৃত্যু - undefined
সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের মৃত্যু হল কলকাতায়। মৃতের নাম মুকুল বিশ্বাস (৮০)। গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল সল্টলেকের বেসরকারি একটি হাসপাতালে।
ফাইল ফোটো
By
Published : Mar 22, 2019, 7:31 PM IST
কলকাতা, ২২ মার্চ : এক সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের মৃত্যু হল কলকাতায়। মৃতের নাম মুকুল বিশ্বাস (৮০)। তিনি মহেশতলা মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল সল্টলেকের বেসরকারি একটি হাসপাতালে। সেখানে গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ ওই বৃদ্ধর মৃত্যু হয়।
সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ওই বৃদ্ধর সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। বেসরকারি এই হাসপাতাল সূত্রের খবর, জ্বর, সর্দি-কাশি সহ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর H1N1 পজ়িটিভ ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত 5 জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে 10 মাস বয়সি দুই শিশু এবং 62 ও 85 বছরের দুই বৃদ্ধা রয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছিল।
কলকাতা, ২২ মার্চ : এক সোয়াইন ফ্লু আক্রান্তের মৃত্যু হল কলকাতায়। মৃতের নাম মুকুল বিশ্বাস (৮০)। তিনি মহেশতলা মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। গত মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর চিকিৎসা চলছিল সল্টলেকের বেসরকারি একটি হাসপাতালে। সেখানে গতকাল সকাল ১১টা নাগাদ ওই বৃদ্ধর মৃত্যু হয়।
সল্টলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ওই বৃদ্ধর সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। বেসরকারি এই হাসপাতাল সূত্রের খবর, জ্বর, সর্দি-কাশি সহ শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় তাঁর H1N1 পজ়িটিভ ধরা পড়ে।
প্রসঙ্গত, এই বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লুতে আক্রান্ত 5 জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। মৃতদের মধ্যে 10 মাস বয়সি দুই শিশু এবং 62 ও 85 বছরের দুই বৃদ্ধা রয়েছেন। গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সোয়াইন ফ্লু আক্রান্ত ৬ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছিল।
Intro:EXCLUSIVE
কলকাতা, ২১ মার্চ: কোনও রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, তা মুখের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেই বলে দেওয়া সম্ভব।অন্যদিকে, মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা না হলে, বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। কোন, কোন রোগ? কীভাবে-ই-বা মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখা সম্ভব? এমন বিভিন্ন বিষয়ে বলেছেন ইন্ডিয়ান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন (IDA)-এর রাজ্য সম্পাদক, চিকিৎসক রাজু বিশ্বাস।Body:মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখলে, কীভাবে শরীর সুস্থ রাখা সম্ভব? এই চিকিৎসক বলেন, "মুখ হচ্ছে শরীরের এমন এক জায়গা, যেখান দিয়ে সংক্রমণ প্রবেশ করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে মুখের স্বাস্থ্য যদি সঠিকভাবে রক্ষা করা না হয়, তা হলে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ মুখের মাধ্যমে আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এই কারণে আমাদের মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করা খুবই দরকার।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "কারও মুখ যদি সুস্থ থাকে, তা হলে আমরা একবারে বলে দিতে পারি যে, তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ। কারও মুখে যদি পায়েরিয়া থাকে, কিংবা পাথর জমতে থাকে, মুখের স্বাস্থ্য খুব খারাপ, মাড়ির অবস্থা খারাপ, মাঝে মধ্যে রক্তক্ষরণ হয়। দেখা যায় সার্বিকভাবে তিনি অসুস্থ রয়েছেন।"
খাবার চিবিয়ে খাওয়ার জন্য যে দাঁতগুলি রয়েছে, সেই দাঁতগুলির উপরেও আমাদের পুষ্টির বিষয়টি নির্ভর করে। কিন্তু, দাঁতে যদি ক্যাভিটি থাকে? এ জানিয়ে তিনি বলেন, "যেমন, ডান দিকের একটি দাঁতে যদি ক্যাভিটি থাকে, সেখানে নিরবচ্ছিন্নভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে। রোগী সাধারণত অবহেলা করেন। তবে, তিনি ডান দিক দিয়ে আর খেতে পারেন না। এর ফলে অটোমেটিক্যালি তিনি তাঁর খাদ্যাভ্যাস বদল করে বাঁ দিক দিয়ে খেতে থাকেন। এর ফলে চিবানোর কাজটি তখন সঠিকভাবে হয় না। ডান দিকে চিবানোর কাজটি হচ্ছে না, সেখানে ধীরে ধীরে পাথর জমা হতে থাকে। এবং, বাঁদিকে বেশি চাপ পড়ার কারণে, সেখানকার দাঁতগুলি নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষয়ে যেতে থাকে।" তিনি বলেন, "এর ফলে শরীরের যে TM জয়েন্টস রয়েছে, সব থেকে বেশি জটিল এই জয়েন্টসে নিরবচ্ছিন্নভাবে যন্ত্রনা হতে থাকে। যন্ত্রণার জন্য রাতে ঘুম হয় না।সঠিকভাবে খাবার না চিবানোর জন্য পুষ্টি সঠিকভাবে হয় না, খাবার হজমও সঠিকভাবে হয় না।"
এই চিকিৎসক বলেন, "সার্বিকভাবে আমরা মনে করি, একজন মানুষ তখনই শারীরিকভাবে সুস্থ যদি তাঁর মুখের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত থাকে।" সাধারণ মানুষ এই বিষয়ে কতটা সচেতন? মানুষ অনেকটা সচেতন আপাতত হচ্ছেন। কারণ, সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন উপায়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই কথা জানিয়ে তিনি বলেন, "আগে দাঁত, অবহেলার বিষয়ের মধ্যে ছিল। কয়েক বছর আগেও আই, মেন্টাল এবং ডেন্টাল, এই তিনটি খুব অবহেলার বিষয় ছিল। এখন এই সব বিষয়ে প্রভূত উন্নতি হয়েছে।"Conclusion:মুখের স্বাস্থ্য দেখে কীভাবে বোঝা যাবে শরীরে অন্য কোনও সমস্যা রয়েছে কি না? এই চিকিৎসক বলেন, "বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমরা যেটা দেখেছি, হয়তো দাঁত তোলার আগে জানতে চাওয়া হচ্ছে, অন্য কোনও অসুখ তাঁর রয়েছে কি না। কোনও হিস্ট্রি দিচ্ছেন না রোগী। তখন আমাদের মনে হল, রোগীর দাঁত কেন নড়ল? মাড়ি এবং দাঁতের সংযোগস্থলে এত সমস্যা কেন? আমাদের সন্দেহ থেকে তখন রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগীরা রক্ত পরীক্ষা করতে চান না।"
তিনি বলেন, "এমনও শুনতে হয়েছে, কোনও ডাক্তারের কাছে গেলে নড়া দাঁত তুলে দেন। কিন্তু, তার জন্য কেন রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে? শেষ পর্যন্ত রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে দেখা গেল, এই রোগীর হাই ব্লাড সুগার।" জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কার্ডিয়োলজিক্যাল সমস্যা বিভিন্ন সময় ওরাল হাইজিনের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। রক্তের রোগের বিষয়ে দেখা যায়, মাড়িতে বিভিন্ন রকমের দাগ রয়েছে। এটা দেখে বোঝা যায়, প্লেটলেট কাউন্ট যখন কমে যায় তখন তার প্রভাব মাড়িতে দেখা দেয়। এ কথা জানিয়ে চিকিৎসক রাজু বিশ্বাস বলেন, "কোনও চিকিৎসক যদি অবহেলা করে না থাকেন, খালি চোখে দেখার মতো বিষয় এটা। মাড়ি, মুখের গঠন সার্বিকভাবে শরীরের বিভিন্ন রোগের ইঙ্গিত দেয়। বোঝা যায়, শরীর খারাপ হতে চলেছে।"
মুখের স্বাস্থ্য কীভাবে সুরক্ষিত রাখা যাবে? এই চিকিৎসক বলেন, "রাতে খাওয়ার পরে ব্রাশ করা আমাদের প্রাথমিক কাজ। ব্রাশ করার পরে আর কিছু না খেয়ে ঘুমোতে যাওয়া। সকালে উঠে ব্রাশ না করলেও হবে। স্বাভাবিক ভাবে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। ব্রেকফাস্টে যদি ভাত খেয়ে অফিসে বের হন অথবা অফিসে গিয়ে খান, তখন একবার ব্রাশ করে নিতে হবে হবে।" এর ফলে ওরাল হাইজিন খুব ভালো থাকবে। এ কথা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, "ওরাল হাইজিন সঠিকভাবে রক্ষা করা হচ্ছে কি না, তা দেখে নেওয়ার জন্য অবশ্যই বছরে দুইবার ডেন্টাল সার্জনের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া প্রয়োজন। শিশুদের যখন দুধের দাঁত উঠে যায়, সেই সময় থেকে একদম বৃদ্ধ বয়স বয়স্ক পর্যন্ত যতক্ষণ মুখে দাঁত রয়েছে কত সময় পর্যন্ত এই পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। বছরে দুই বার না হলেও, অন্তত একবার ওরাল হাইজিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন।
____
RAP-এ বাইট
Indian Dental Association-এর রাজ্য সম্পাদক, চিকিৎসক রাজু বিশ্বাস
wb_kol_8002_21march_oral_health_7203421
____