কলকাতা , 15 মে : কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা কমেছে । 356 থেকে কনটেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা কমে হয়েছে 286 । পাশাপাশি রাজাবাজার সহ 70টি জায়গা গ্রিন জ়োনে পরিণত হয়েছে । আজ একথা জানালেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। বলেন, কলকাতায় গ্রিন জ়োনের সংখ্যা বেড়েছে।
তিনি বলেন , ‘‘ রাজাবাজার , বেলগাছিয়া-সহ শহরের বিভিন্ন কনটেনমেন্ট জ়োনগুলিতে মাইক্রো প্ল্যানিং করার ফলেই কোরোনার সংক্রমণ প্রতিরোধ করা গেছে । তবে ফের যে কোনও মুহূর্তেই সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে । তাই কলকাতা পৌরনিগম নিয়মিতভাবে এলাকাগুলিতে জীবাণুনাশক স্প্রে করার কাজ করছে ৷ এবং সেইসঙ্গে ওষুধ খাওয়ানোর কাজ চলছে ৷ আগামী দিনেও তা করে যেতে হবে ।"
আজ কোরোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈঠকের পর বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন , স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এখন থেকে কোরোনা আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে পাঠাবে কলকাতা পৌরনিগম । এবং রোগীর বাড়ির লোকদের হোম কোয়ারানটিনে থাকতে হবে । যাদের হোম কোয়ারানটিনে থাকার মতো অবস্থা নেই তাদের রাজারহাটে ও হাওড়ার বালটিকুরিতে যে নতুন কোয়ারানটিন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে সেখানে রাখা হবে । এর পাশাপাশি তিনি জানান , বহু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যাদের কোরোনার কোনও উপসর্গ নেই , তাদের পরীক্ষা করলে তবেই তা ধরা পড়ছে । প্রতিদিন 300 থেকে 400 মানুষের কোরোনা পরীক্ষা করছে কলকাতা পৌরনিগম ।
ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলিতে প্রায় প্রতিদিনই কোরোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে । বড়বাজার ও পঞ্চানন তলা , গার্ডেনরিচ এলাকায় সংক্রমণের ঘটনা বেশি ৷ তাই প্রায় প্রতিদিনই ওই এলাকায় পরীক্ষা করা হচ্ছে । বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রিপোর্ট নেগেটিভ আসছে বলে দাবি করেছেন ফিরহাদ হাকিম । কিন্তু তাও নিয়মিতভাবে পরীক্ষা চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ।
বহুতল বাড়িরগুলির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র বাড়িটিকে সিল করে দেওয়া হবে । কনটেনমেন্ট হিসেবে শুধু বাড়িটিকেই চিহ্নিত করা হবে । তবে বস্তিগুলির ক্ষেত্রে সেই এলাকাকেই কনটেনমেন্ট জ়োন হিসেবে চিহ্নিত করে সিল করা হবে ।
তিনি আরও জানান , কলকাতায় এখন বিক্ষিপ্তভাবে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে । বড় বাজারের ক্ষেত্রে সংক্রমণের ঘটনা বেশি হলেও এমন নয় যে শহরের অন্যান্য জায়গায় সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে না । বস্তিগুলির সঙ্গেও কলকাতায় বহুতল বাড়িগুলিতে সংক্রমণের ঘটনা ঘটছে ৷ তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে আবেদন করা হচ্ছে ।